Thank you for trying Sticky AMP!!

স্মার্ট’ ব্যাটিং দেখতে চান সিডন্স

‘স্মার্ট’ ব্যাটিংয়ের খোঁজে সিডন্স

লক্ষ্য যখন ২০৬ রান, সময় নিয়ে ব্যাটিংয়ের সুযোগটা একটু কমই থাকে। তবে দ্রুত রানের পেছনে ছুটতে গেলে কার ওভার বা বলের মেধা বুঝে খেলার ব্যাপারটিও ভুলে গেলে চলে না। আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ দল ইনিংস সে ভারসাম্যটা মেনেই এগোচ্ছিল।

কাগিসো রাবাদার করা ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই মিড অনের ওপর দিয়ে চার মারেন নাজমুল হোসেন। একই ওভারের শেষ দুটি বল মিড উইকেট বাউন্ডারিতে উড়িয়ে মারেন সৌম্য সরকার। দুটিই ছিল পায়ের ওপরের বল। রাবাদার গতি কাজে লাগিয়ে সৌম্য বল সীমানা ছাড়া করেন স্বচ্ছন্দে। বাংলাদেশও প্রথম ওভারে পেয়ে যায় ১৭ রান।

Also Read: স্পিনারদের কাছে প্রত্যাশা আরও বেশি ছিল

দুই বাঁহাতির বল স্ট্রাইকিং মনে করিয়ে দিচ্ছিল ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সেই ঐতিহাসিক রান তাড়ার গল্প। কলম্বোয় সে রাতে শ্রীলঙ্কার ২১৪ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ পাওয়ারপ্লেতেই পেয়ে যায় ৭৪ রান। এরপর ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত এটাই বাংলাদেশের দুই শর বেশি রান তাড়া করে জেতার একমাত্র ঘটনা।

মাঠে ধরা দিয়েছে বাংলাদেশের সেই পুরোনো রূপ

কিন্তু সেদিন বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ছিল নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসন, যা আজ বাংলাদেশ দলের ইনিংসের প্রথম ওভারের পর থেকে ছিল না বললেই চলে। ২০৬ রানের পেছনে ছুটতে গিয়ে বাংলাদেশ খেই হারিয়ে অলআউট হয়েছে ১০১ রানে। প্রথম ওভারের সেই মাথার অবস্থান, হিটিং ভিত্তি—সবই যেন দ্বিতীয় ওভারে এসে হাওয়া! রানের পেছনে ছুটতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাট চালিয়েছে এলোপাতাড়ি। সেটা করতে গিয়ে চার-ছক্কা মারার মৌলিক দিকটা ভুলে বসেছেন ব্যাটসম্যানরা।

বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের হতাশা সেখানেই। ম্যাচ শেষে মিক্স জোনে বিশ্বকাপ কাভার করতে যাওয়া বাংলাদেশি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বেরিয়ে এসেছে সে হতাশা, ‘আমরা বিগ হিটার না। আমাদের আরও স্মার্ট হতে হবে। আমাদের বাতাসে বল মারার প্রবণতা বেশি। আমাদের আজ বার্তা ছিল, মাঠে যাও, ব্যাটিং করো। এরপর দেখ কী হয়। কিন্তু সবাই গিয়ে বল বাতাসে মারার চেষ্টা করল। উইকেট হারাল। এটা আমাদের চাপে ফেলে দিয়েছে।’  

ব্যর্থ ছিলেন সাকিবও

Also Read: বারবার উন্নতির কথা বলতে সাকিবের ভালো লাগে না

দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের গতির ভয় এ ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে কি না, সে প্রশ্নও উঠেছে। সিডন্স অবশ্য সেটা উড়িয়ে দিয়ে আঙুল তুলেছেন ব্যাটসম্যানদের দিকে, ‘আমরা স্পিনের বিপক্ষেও আউট হয়েছি। এটা গতির কারণে নয়। একজন বোলারেরই শুধু গতি বেশি ছিল। বাকিদের আমরা ভালোই সামলাচ্ছিলাম। আমরা ভালো ক্রিকেট শট খেলছিলাম। এরপর আমরা স্লগিং শুরু করি। এটা আমরা করতে পারি না। এটা আমাদের খেলা নয়।’

রাইলি রুশো ও কুইন্টন ডি ককের উদাহরণও টেনেছেন সিডন্স, ‘আমরা খুব বেশি ২০০ রান তাড়া করিনি। যদি করতে পারি, তাহলে সেটা উদাহরণ হয়ে থাকবে। তবে আমাদের চেষ্টা তো করতে হবে। চেষ্টা না করে হারের মানে হয় না। আজ চেষ্টা করতে গিয়ে আউট হয়েছি। সীমানা ছাড়াতে গিয়ে অনেক উইকেট হারিয়েছি। আমাদের আরও স্মার্ট হতে হবে। আমাদের কৌশল হতে হবে রুশোদের থেকে ভিন্ন। সীমানা ছাড়ানো, অনেক ছক্কা মারার চেষ্টা করে আমরা খুব বেশি ম্যাচ জিততে পারব না।’