Thank you for trying Sticky AMP!!

শন মার্শের অবসর

পেশাদার ক্রিকেট থেকে শন মার্শের অবসরের ঘোষণা

সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শন মার্শ। এবারের বিগ ব্যাশে মেলবোর্ন রেনেগেডসের শেষ ম্যাচই হতে যাচ্ছে ৪০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের পেশাদার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। গত বছরের মার্চে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন মার্শ। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০১৯ সালের জুনে, ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওভালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

শন মার্শ ২০১৯ বিশ্বকাপের পর আর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে না খেললেও তাঁর ছোট ভাই মিচেল মার্শ এখনো খেলছেন। তাঁরা দুজনে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটসম্যান জিওফ মার্শের ছেলে।

Also Read: দেখা না হলেও কোহলি–জোকোভিচ ‘বন্ধু’, দুজন দুজনায় মুগ্ধ

শন মার্শ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছেন ৩৮টি টেস্ট, ৭৩টি ওয়ানডে ও ১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। টেস্টের ৬৮ ইনিংসে ৬ শতক ৩৪.৩১ গড়ে মার্শের রান ২২৬৫। ওয়ানডেতে ৭২ ইনিংসে ৭ শতকে ৪০.৭৭ গড়ে রান ২৭৭৩। টি-টোয়েন্টিতে ১৫ ইনিংসে ১৮.২১ গড়ে রান ২৫৫।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে না পারলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে বেশ সফল মার্শ। বিগ ব্যাশে এই বাঁহাতির রান ৭৯ ইনিংসে ২৮১০, যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ। আইপিএলের প্রথম মৌসুমে ৬১৬ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন মার্শ। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে খেলেছেন ৯ মৌসুম। ৬৯ ইনিংসে প্রায় ৪০ গড়ে করেছেন ২৪৭৭ রান। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩২.৭৪।

Also Read: মেন্ডিস–হারিস–নজিবুল্লাহরাই ভরসা চট্টগ্রামের

স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে মার্শের রান ৭০৫০। গড় ৩৭.৯০, স্ট্রাইক রেট ১২৮.৫৩।
বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে রেনেগেডস সম্পর্কে মার্শ বলেছেন, ‘রেনেগেডসের হয়ে খেলাটা বেশ উপভোগ করেছি। গত পাঁচ বছরে অনেকের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে এবং এরা সবাই আমার ভালো বন্ধু হয়ে থাকবে।’

মার্শ পরিবার

এই বিগ ব্যাশ মৌসুমেও মার্শ দুর্দান্তই খেলছিলেন। ৫ ম্যাচ খেলে রান করেছেন ১৮১। ৪৫. ২৫ গড় ও স্ট্রাইক রেট ১৩৮.১৬। ২০১৯-২০ মৌসুম থেকে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে বিগ ব্যাশ খেলেন মার্শ। এর আগে খেলতেন পার্থ স্কর্চার্সের হয়ে।

সেখানে ৪০ ম্যাচে রান করেছেন ৪৭.৪৬ গড়ে। সেই দল সম্পর্কে মার্শ বলেছেন, ‘পার্থ স্কর্চার্সের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ। ওদের সঙ্গে খেলাটাও আমি বেশ উপভোগ করতাম এবং অনেক দারুণ স্মৃতি আছে। ক্রিকেট মাঠের স্মৃতির মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে সেরা হলো তাদের হয়ে টানা দুবার শিরোপা জেতা।’