Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন সাকিব আল হাসানকে সর্বোচ্চ নম্বর দিয়েছেন

সাকিব ৯, মুশফিক ৬

ম্যাচ জিতলে রেটিং একরকম হবে, হারলে আরেক রকম—এটাই স্বাভাবিক। ম্যাচের ফলাফলে পারফরম্যান্স কী প্রভাব ফেলছে, সেটিও বিবেচ্য। আজও কিছু খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম করেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এত দিন ধরে খেলার অভিজ্ঞতা, দলে অবদানের কারণে লিটন দাস, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ ও মোস্তাফিজের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২ নম্বর দেব।

তামিম ইকবাল ৩/১০

এ সিরিজে খুব বেশি নম্বর তাকে দিতে পারব না, এমনটা ভাবিনি। আজকের ম্যাচে হয়তো স্ট্রাইক রেটটাই শুধু পক্ষে যায় তার। তবে দলকে জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে ভালোভাবেই। এ কারণে ন্যূনতম নম্বরের সঙ্গে বাড়তি ১ পাবে।

লিটন দাস ২/১০

ওপেনার বলে রান করার সুযোগ সবচেয়ে বেশি। এ সিরিজে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেছিলাম। উল্টো সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে সে। এ ম্যাচেও প্রাপ্তি নেই কোনো।

নাজমুল হোসেন ফিফটি তুলে নেওয়ার পর দূর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হন

নাজমুল হোসেন ৫.৫/১০

দুটি ম্যাচে শুরুতে বিপর্যয়ের পর জুটি গড়তে অবদান রেখেছে। ভালো একটা স্কোর গড়েছে, যদিও রানআউটে তার ভূমিকা পছন্দ হয়নি, আরও আগে সাড়া দিতে পারত।

মুশফিকুর রহিম ৬/১০

আরেকবার প্রমাণিত হলো, সে রান করলে দল লড়াই করার মতো অবস্থায় যায়। স্ট্রাইক রেট হয়তো খুব একটা ভালো ছিল না। তবে মাথায় রাখতে হবে, এ ম্যাচের আগে সে ফর্মে ছিল না, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ছিল। এসব কাটিয়ে রানে ফিরেছে, দুটি ভালো জুটিতে অবদান রেখেছে।

Also Read: তামিমের কাছে সাকিবকে পাওয়া ‘আশীর্বাদ’

Also Read: সাকিবের যত কীর্তি

সাকিব আল হাসান ৯/১০

ভালো ফর্মে আছে, আত্মবিশ্বাসী। ব্যাটিংয়ে অন্যদের সঙ্গ পেলে হয়তো আরও কিছু করতে পারত। এরপরও যা করেছে, ইংল্যান্ডকে সেটিই চাপে ফেলেছে। বোলিংয়েও সাকিব সেরাটা দিয়েছে।

মাহমুদউল্লাহ ২/১০

নড়বড়ে অবস্থায় থেকেও তিনটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছে। তবে সুযোগের অপচয়ই করেছে বলব। এ ম্যাচেও ব্যাটিংয়ে তেমন অবদান রাখতে পারেনি। তার কাছ থেকে তো আরেকটু বেশি আশা থাকে, তার জন্য খারাপই লাগছে।

সাকিব–মুশফিক দুজনেই ফিফটি তুলে নেন

আফিফ হোসেন ১.৫/১০

দ্রুত উইকেট পড়ার পর হয়তো একটু বিপর্যয় সামাল দিয়েছে। তবে সাকিবের সঙ্গে জুটিতে স্ট্রাইক বদল আরেকটু ভালোভাবে করতে পারত, সিঙ্গেল নিলেও স্ট্রাইক রেট আরেকটু ভালো হতে পারত। আউটের ধরনটাও বাজে ছিল।

মেহেদী হাসান মিরাজ ৩/১০

সাকিবকে ব্যাটিংয়ে যেভাবে সমর্থন দিতে পারত, সেটি পারেনি। ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বোলিংয়ের চ্যালেঞ্জ নিয়েছে। তবে ব্যাটিংয়ে তেমন আলাদা করে কিছু করতে পারেনি।

Also Read: সাকিবের হাত ধরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারাল বাংলাদেশ

Also Read: প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সাকিবের ৩০০

তাইজুল ইসলাম ৬/১০

খোলা চোখে হয়তো সাদামাটা পারফরম্যান্স করেছে। তবে জস বাটলার ক্রিজে থাকলে বাংলাদেশের জেতা সম্ভব হতো না, এটি প্রায় নিশ্চিত। সে উইকেট নিয়েছে। আদিল রশিদও ক্রিজে থাকলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারত। দুটি উইকেট নিয়ে তাইজুল ইংল্যান্ডকে ওই সময়ে বেশ চাপেই ফেলে দিয়েছে।

ইবাদত হোসেন ৫/১০

সুযোগ পেয়ে কাজে লাগানো গুরুত্বপূর্ণ। ইবাদত সেটি করেছে। দ্রুত উইকেট এনে দিয়েছে দলকে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মঈন আলীর মতো বিপজ্জনক ফিনিশারকেও ফিরিয়েছে।

মোস্তাফিজুর রহমান ৩.৫/১০

প্রায় ৪০ শতাংশ ওভার অব্যবহৃতই থেকে গেছে ওর। অবদান রাখার সুযোগটা তাই কম ছিল। তবে ভালো একটা ইকোনমি রেটে বোলিং করেছে।