Thank you for trying Sticky AMP!!

আরেকবার ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন জ্যাক ক্রলি

বাজবলের পেছনে লুকিয়ে লাভ নেই ইংল্যান্ডের: নাসের হুসেইন

বাজবলের পেছনে লুকিয়ে লাভ নেই, বরং নিজেদের ব্যাটিংয়ের উন্নতি করতে হবে ইংল্যান্ডকে, মনে করেন নাসের হুসেইন। ধর্মশালায় প্রথম দিন প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের আরেকটি ব্যাটিং ধসের পর এমন বলেছেন সাবেক এই অধিনায়ক ও এখনকার ধারাভাষ্যকার।

টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে গতকাল কুলদীপ যাদব ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ঘূর্ণিতে ২১৮ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। অথচ এক সময় তাদের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১৭৫ রান। মানে ৪৩ রানেই শেষ ৭টি উইকেট হারায় বেন স্টোকসের দল।

ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের গল্পটা ঘুরেফিরে একই হয়ে যাচ্ছে কি না—স্কাই স্পোর্টস নিউজে এমন এক প্রশ্নের জবাবে নাসের হুসেইন বলেন, ‘(ধর্মশালায় প্রথম দিনের) দ্বিতীয় সেশনটি ইংল্যান্ডের এ সফরের সবচেয়ে হতাশাজনক ছিল। একই জিনিস ঘুরেফিরে হচ্ছে, যেটা দুশ্চিন্তার।’

Also Read: ধর্মশালায় ইংল্যান্ডের কোচরাও যখন ফিল্ডার

ওপেনাররা ভালো শুরু এনে দিলেও এ সফরে ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার ব্যর্থ হয়েছে বারবার। ওলি পোপ ও জো রুট একটি করে সেঞ্চুরি করেছেন, তবে এর বাইরে চিত্রটা ইংলিশদের জন্য হতাশার। হুসেইন বলছেন সেটিই, ‘প্রত্যেক ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানকে নিজের কাছে প্রশ্ন রাখতে হবে, “কীভাবে উন্নতি করব?” জ্যাক ক্রলি উন্নতি করেছে, সে ধারাবাহিক হয়েছে। তবে সে এখন ৫০-৭০-এর মধ্যে আউট হয়ে যাচ্ছে। মিডল অর্ডারে জনি বেয়ারস্টো পাল্টা আক্রমণ করছে, কিন্তু ৩০-এর মধ্যে আউট হয়ে যাচ্ছে। বেন স্টোকসের কিন্তু কঠিন এক সফর গেল। কুলদীপ যাদবকে পড়তে পারছে না। এরপর বেন ফোকস টেল-এন্ডারদের নিয়ে আটকে যাচ্ছে।’

ধর্মশালায় প্রথম দিনই চাপে পড়ে ইংল্যান্ড

দিন শেষে খেলা একান্তই নিজের ব্যাপার, হুসেইন মনে করিয়ে দিয়েছেন সেটিও, ‘ব্যাটিং হচ্ছে নিজের খেলার উন্নতি করা। যেখানেই খেলুন না কেন, যে কোচ বা অধিনায়কের অধীনেই খেলুন না কেন। যারা বড় খেলোয়াড়, ভালো খেলোয়াড়-অশ্বিনের দিকে তাকান, তারা সব সময় উন্নতি করতে চাইবে। কুলদীপ যাদবের দিকে দেখুন, সে কিন্তু এ নিয়ে দ্বিতীয়বার টেস্ট ক্রিকেটে ফিরল। সে শিখেছে, উন্নতি করেছে, আরও দ্রুতগতিতে বোলিং করছে, বৈচিত্র্য আছে।’

Also Read: কুলদীপ, জয়সোয়াল আর ভারতীয় স্পিনারদের রেকর্ডের এক দিন

হায়দরাবাদে প্রথম টেস্ট জিতলেও পরের তিনটিতে হেরে সিরিজ আগেই খুইয়েছে ইংল্যান্ড। তবে রাঁচিতে চতুর্থ টেস্টেও জয়ের দারুণ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তাদের। ইংল্যান্ড এ সফরে একাধিকবার সুযোগ হারিয়েছে বলেও মনে করেন নাসের, ‘শেষ দুই ম্যাচে অবশ্যই সুযোগ হারিয়েছে। তাদের জেতার সুযোগ ছিল।’

ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেইন

ধর্মশালায় শেষ টেস্টে জয় ইংল্যান্ডের জন্য হতে পারত সান্ত্বনার। স্টোকস যেমন বলেছিলেন, ৪-১-এর চেয়ে ৩-২ ভালো শোনায়। তবে প্রথম দিনই ৩-২ থেকে অনেকটা দূরে সরে গেছে ইংল্যান্ডের সম্ভাবনা। নাসেরের মতে, এ সফর থেকে শেখার আছে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের, ‘আপনি যে কোচ বা অধিনায়কের অধীনে খেলুন না কেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাটি কিন্তু তারা বলবে না। এটি বলবে আপনার নিজের মস্তিষ্কের ভেতরের আওয়াজটা। নিজের চিন্তাভাবনার প্রক্রিয়া। আশা করা যায়, এ সফরের শেষে সবাই বুঝবে বাজবলের পেছনে লুকিয়ে লাভ নেই। নিজেদের খেলার উন্নতি করতে হবে।’