Thank you for trying Sticky AMP!!

দক্ষিণ আফ্রিকার ফাস্ট বোলার কাগিসো রাবাদা

‘নিজের পায়ে গুলি করা’ দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ডকে ধুয়ে দিলেন রাবাদা

সিরিজটি শেষ হওয়ার দুই মাস পেরিয়ে গেছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার আলোচিত সেই নিউজিল্যান্ড সফর নিয়ে এখনো ক্ষোভ আছে কাগিসো রাবাদার। দ্বিতীয় সারির একটি দলকে টেস্ট খেলতে পাঠানোর ঘটনাটিকে তিনি বলছেন ‘অগ্রহণযোগ্য’। এ ব্যাপারে তাঁদের মত দেওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না বলেও জানিয়েছেন এ ফাস্ট বোলার। এ ব্যাপারে বোর্ডের দায়ও দেখছেন তিনি।  

ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগ এসএটোয়েন্টিতে শীর্ষসারির খেলোয়াড়দের সুযোগ করে দিতে অধিনায়কসহ অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা সাতজনকে নিয়ে টেস্ট দল পাঠিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অনুমিতভাবেই সে সিরিজটি তারা হারে ২-০ ব্যবধানে। টেস্ট ক্রিকেটকে এভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার মূল্যায়ন নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে বেশ।

Also Read: বলছেন স্মিথ: এসএ টোয়েন্টি বছরে চার সপ্তাহ, টেস্টের জন্য প্রচুর সময়

সে ঘটনার দিকে ফিরে তাকিয়ে রাবাদা বলেছেন, তাঁর আশা খেলোয়াড়দের যাতে আবার এমন কিছুর মধ্য দিয়ে যেতে না হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৬২ টেস্টে ২৯১টি উইকেট নেওয়া রাবাদা বলেছেন, ‘খুব খুব অগ্রহণযোগ্য একটা ব্যাপার ছিল। এখনো অগ্রহণযোগ্য। অবশ্যই পরিকল্পনার ব্যাপার ছিল। অগ্রহণযোগ্য—আমি এটিই বলব।’

অনুমিতভাবেই নিউজিল্যান্ডের কাছে সিরিজে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা

এ মুহূর্তে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে আইপিএল খেলতে ভারতে থাকা রাবাদা আরও বলেছেন, ‘পরিকল্পনার ব্যাপার, ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার শীর্ষ পর্যায়ের ব্যাপার। এটি আসলে ‘ডাবল বুক’ করার মতো ঘটনা।’ এ ব্যাপারে তাঁদের মত দেওয়ার সুযোগ ছিল না বলেও জানিয়েছেন রাবাদা, ‘এসএটোয়েন্টির গুরুত্ব এমন ছিল, আমাদের নিউজিল্যান্ড যাওয়ার সুযোগও ছিল না। এটা আসলে নিজের পায়ে নিজে গুলি করার মতো।’

Also Read: ‘বার্নলি যেন প্রতি সপ্তাহে অ্যানফিল্ড যাচ্ছে’, মনে হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা কোচের

তাঁদের বদলে যাঁরা খেলেছেন, তাদের সমালোচনা করাটা অন্যায্য বলেও মনে করেন রাবাদা। টেস্ট ক্রিকেটকে সেরা সংস্করণও মনে করেন এই ফাস্ট বোলার, ‘টেস্ট ক্রিকেট থেকেই ক্রিকেট এসেছে। আমি মনে করি টেস্টই সেরা সংস্করণ। আমার ধারণা যেসব বড় খেলোয়াড় এ সংস্করণে খেলেছেন, তাঁরা এটিকেই নিজেদের প্রিয় সংস্করণ বলবেন। আমার কাছেও একই।’

অবশ্য টেস্ট ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থাটাও জানেন তিনি। ‘তিন মোড়ল’ ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বাইরে টেস্ট ক্রিকেটের অবস্থাকে রাবাদা বলছেন ‘দুর্ভাগ্যজনক’ হিসেবে। সে দেশগুলোকে কী করতে হবে, সেটি তিনি বলেছেন এভাবে, ‘আমি যা মনে করি, অর্থ আর টিভিস্বত্বের সুবিধা যাদের নেই, তাদের শক্তিশালী হয়ে ওঠার উপায় ভালো ক্রিকেট খেলা। আপনি যত ভালো খেলবেন, তত বেশি দল আপনার সঙ্গে খেলতে চাইবে। তারা কেন শুধু একে অন্যের সঙ্গে খেলতে চাচ্ছে, সেটি আসলে বোঝাই যায়। কারণ, দিন শেষে ক্রিকেটের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হবে, যেখানে লাভ করতে হবে। এভাবেই ক্রিকেট বাঁচবে।’