Thank you for trying Sticky AMP!!

টেস্ট ক্রিকেটে স্টোকস–বেয়ারস্টোদের মারকুটে ব্যাটিংয়ের কৌশলে সমর্থন নেই দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডিন এলগারের

ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ কৌশলের ভবিষ্যৎ দেখছেন না এলগার

সারি–বল, জাভি–বল, খেলার কৌশল বিচারে ফুটবলে এমন নামের প্রচলন থাকলেও ক্রিকেটে ‘বাজবল’ই প্রথম। সেদিক থেকে ‘বাজবল’ অনন্যই। তাই আলোচনাও একটু বেশি। ইংল্যান্ডের এই ‘বাজবল’ কৌশল টেস্ট ক্রিকেটকেই বদলে দেবে, এমন মতামতের পক্ষে অনেকেই। সবাই যখন খেলার এই কৌশলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, ঠিক তখনই এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের কোচ মার্ক বাউচার। তিনি বলেছিলেন, সব দলের বিপক্ষে আর সব অবস্থায় কাজে লাগবে না ইংল্যান্ডের এই কৌশল।

কোচ মার্ক বাউচারের সঙ্গে সুরে সুর মিলিয়ে এবার ‘বাজবল’ কৌশলের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট অধিনায়ক ডিন এলগার। তাঁর দাবি, দীর্ঘ মেয়াদে আক্রমণাত্মক ‘বাজবল’ খেলার কৌশল ইংল্যান্ডের ক্ষতির কারণও হতে পারে।
তবে ইংল্যান্ড যে রোমাঞ্চকর ক্রিকেট খেলছে, সে বিষয়ে একমত এলগার, ‘ইংল্যান্ডের নতুন কৌশল রোমাঞ্চকর। কিন্তু আমি এর ভবিষ্যৎ দেখছি না। কারণ, টেস্ট ক্রিকেটে অনেক কিছু সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যায়।’

ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস ও কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম

কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের অধীনে ও অধিনায়ক বেন স্টোকসের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের প্রথম মিশন ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সে সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করার পথে ৩ টেস্টেই ২৭০ রানের বেশি তাড়া করে জিতেছিল ইংল্যান্ড। এলগার মনে করেন, নিউজিল্যান্ড সে সিরিজ হেরেছে নিজেদের ভুলেই, ইংল্যান্ড–নিউজিল্যান্ড প্রায় একই রকম লড়াই করেছিল। যদি নিউজিল্যান্ড ইংল্যান্ডের দেওয়া সুযোগ নিতে পারত, ক্যাচগুলো লুফে নিত, তাহলে পুরো গল্প অন্য রকম হতো। ইংল্যান্ডকে মুখ কালো করে ফিরতে হতো।

দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলের অধিনায়ক ডিন এলগার

যদিও বাজবল যে শুধু ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেট নয়, তা আগেই স্পষ্ট করেছেন ম্যাককালাম। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অধিনায়ক অ্যাডাম গিলক্রিস্টের সঞ্চালনায় অস্ট্রেলিয়ান ‘এসইএন রেডিওর ডব্লুএ ব্রেকফাস্ট শো’-তে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের কৌশল তো শুধু ধরো-মারো খেলা নয়। কারণ, এখানে ছেলেরা কীভাবে খেলবে, কেমন খেলবে সেটার পেছনে অনেক চিন্তাভাবনা থাকে। কখন প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর চাপ বাড়াবে, কোন বোলারের ওপর চড়াও হবে… এমন অনেক মুহূর্তও ছিল, যখন ওরা (ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান-বোলাররা) দারুণভাবে চাপ সয়ে নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’

কথার লড়াই শেষে, দর্শকদের মাঠের লড়াইয়ের জন্য খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। কারণ, ১৭ আগস্ট শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ড–দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজ। অনেক প্রশ্নের উত্তরই মিলবে সে সিরিজে।