Thank you for trying Sticky AMP!!

অভিষেক টেস্টেই ৭ উইকেট নিয়েছেন টড মার্ফি

৭ উইকেট নেওয়া মার্ফিকে দ্বিতীয় টেস্টে দলে চাইছেন না বোর্ডার

বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়া স্বাভাবিকভাবেই ভুলে যেতে চাইবে। নাগপুর টেস্টে মাত্র তিন দিনে ইনিংস ও ১৩২ রানে হেরেছে প্যাট কামিন্সের দল। সেই টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রাপ্তি বলতে শুধু অভিষিক্ত টড মার্ফি। এক ইনিংস বল করার সুযোগ পেয়েই এই অফ স্পিনার নিয়েছিলেন ৭ উইকেট।আর সেই মার্ফিকেই কি না সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে দলে চাইছেন না অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অ্যালান বোর্ডার!

বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির দ্বিতীয় টেস্ট শুক্রবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে শুরু হবে। দিল্লিতেও যে ভারতের বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দেবেন স্পিনাররা, সেটা সহজেই অনুমান করা যায়। অ্যালান বোর্ডারও মনে করেন, দিল্লির উইকেটেও স্পিনারদের জন্য বাড়তি সহায়তা থাকবে।

Also Read: চশমা ছাড়া মুশকিলে পড়া ছেলেটির সঙ্গে ওয়ার্নের তুলনা

তবুও অস্ট্রেলিয়ার এই সাবেক অধিনায়কের মতে, অস্ট্রেলিয়ার তিন পেসার ও এক স্পিনার নিয়ে মাঠে নামা উচিত। একজন স্পিনার হিসেবে তাঁর পছন্দ নাথান লায়নকে। প্রথম টেস্ট প্রত্যাশামতো পারফরম্যান্স করতে না পারলেও, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৪৬১ উইকেট নেওয়া লায়নকেই পছন্দ বোর্ডারের। সে ক্ষেত্রে জায়গা ছাড়তে হবে মার্ফিকে।

স্মিথের সমালোচনাও করেছেন অ্যালান বোর্ডার

মার্ফিকে দলে না রাখার প্রসঙ্গে অ্যালান বোর্ডার বলেছেন, ‘মার্ফি, শাবাশ। ওকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কঠিন। আমি জানি উইকেট বাঁক থাকবে, কিন্তু আমি মনে করি ভারতের মাটিতে আমাদের সফল হওয়ার কৌশল তিন পেসার ও এক স্পিনার। একজন স্পিনার খেললে লায়নকেই নিতে হবে।’

Also Read: বোর্ডারের সমালোচনার জবাবে স্মিথের হয়ে ব্যাট ধরলেন ক্যারি

অস্ট্রেলিয়ার কেন এই কৌশলেই খেলা উচিত, তার ব্যাখ্যাও করেছেন বোর্ডার, ‘শুধু স্টাম্প বরাবর অবিরাম বল করে যেতে হবে। স্পিনে ওদের পরাস্ত করতে চাওয়ার চেয়ে এই কৌশলটাই ভালো। স্পিনে ওদের হারানোর কৌশল তো দীর্ঘদিন ধরেই করছি, কাজে আসছে না। আমরা যেভাবে সফল, সেই কৌশলেই ফিরে যাওয়া উচিত আর সেটা হলো পেস।’

১৯৮৭ সালের পর এই মাঠে কখনো টেস্ট হারেনি ভারত। শেষবার অস্ট্রেলিয়া এখানে টেস্ট জিতেছিল ১৯৫৯ সালে। বোধ হয় কঠিন একটা সময়ই অস্ট্রেলিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।