Thank you for trying Sticky AMP!!

সাকিব আল হাসান বিশ্বাস রেখেছিলেন ওই ছক্কাটা পর্যন্ত

‘ওই ছক্কাটা পর্যন্ত বিশ্বাস ছিল’

জয়ের জন্য ভারতের দরকার ১৬ রান। বাংলাদেশের ৩ উইকেট। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ২৬ ও শ্রেয়াস আইয়ার ২৯ রানে অপরাজিত। দুজনই স্পিন খেলছিলেন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে। বাংলাদেশের হয়ে ৫ উইকেট নেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজকে প্রেস বক্স প্রান্ত থেকে বোলিংয়ে ফিরিয়ে আনলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। চমকপ্রদ কিছু করে দেখাবেন মিরাজ—এমনই আশা সাকিবের, বাংলাদেশ দলের এবং মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা দর্শকদের।

Also Read: অষ্টম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিল ভারত

কিন্তু সে ওভারের প্রথম বলটা মিরাজ করলেন শর্ট লেংথে। অশ্বিন এক হাতে সেটিকে আঁছড়ে ফেললেন মিড উইকেট বাউন্ডারির ওপারে। ঠিক যেদিকে বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুম। গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড গ্যালারির দর্শকেরা তাসকিন আহমেদকে বলের দিকে দৌড়াতে দেখে কয়েক সেকেন্ডের জন্য আশাবাদী হয়ে উঠেছিল। কিন্তু বলটি ছক্কা হতে দেখে হতাশায় মুষড়ে পড়েন দর্শকেরা। বাংলাদেশ দলের বিশ্বাসের দেয়ালও ভেঙে পড়ে সে ছক্কায়। এরপর একই ওভারে আরও দুটি চার মারেন অশ্বিন। ভারত ম্যাচ জিতে নেয় ৩ উইকেট হাতে রেখে।

দলের মানসিকতার প্রশংসা সাকিবের

ম্যাচ শেষে অশ্বিনের সে ছক্কার প্রসঙ্গটা এল সাকিব আল হাসানের সংবাদ সম্মেলনেও। তার আগ পর্যন্ত চতুর্থ ইনিংসে ভারতকে মাত্র ১৪৫ রানের লক্ষ্য দিয়েও জয়ের বিশ্বাস ছিল বাংলাদেশ দলের মধ্যে। সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব সেটিই বললেন, ‘মিরাজের বলে ওই ছক্কাটা হওয়ার আগ পর্যন্ত বিশ্বাস ছিল। কারণ, সে সময় যেকোনো কিছুই হতে পারত। একজন বোলার হ্যাটট্রিকও করতে পারত।’

Also Read: আর ১ উইকেট নিতে পারলেই ...

অশ্বিন ও আইয়ারকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন সাকিব, ‘ওরা খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। উইকেট সহজ ছিল না। ওদের কৃতিত্ব দিতেই হয়। আমরা সব কিছুই চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছুটা শর্ট ছিলাম।’ সাকিব আরও যোগ করেন, ‘৭৫ রানে ৭ উইকেট ফেলে দেওয়ার পর আপনি আশা করবেন যে দল জিতবে। এখন অবশ্য বলা কঠিন, কি হলে কি হতে পারত। আমরা হয়তো আরেকটু ভালো বল করতে পারতাম। হয়তো আরেকটু লড়াই…!’

দ্রুত ৩ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের আশাটা আজ ভালোই জাগিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা

চোটের কারণে চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় দিন পর আর বোলিং করেননি সাকিব। মিরপুর টেস্টে বোলিং করলেও সাকিব সেরা ছন্দে ছিলেন কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি নিজেই বলেছেন, ‘আমি আরও ভালো বল করতে পারি। আরও ধারাবাহিকভাবে এক জায়গায় বল করা উচিত ছিল।’

তবে মিরপুর টেস্টজুড়ে বাংলাদেশ দলের লড়াই করার মানসিকতার প্রশংসা করেছেন সাকিব, ‘আক্ষেপ নেই। আমরা পুরো টেস্ট ম্যাচেই লড়াই করেছি। এই মানসিকতাটা ধরে রাখতে পারলে অনেক টেস্ট ম্যাচের ফল আমাদের পক্ষে আসবে।’ জয়ের খুব কাছে গিয়ে হারার মধ্যেও সাকিব ইতিবাচকতা খুঁজে পেয়েছেন, ‘কাছে গিয়ে হেরে যাওয়ার আক্ষেপ তো আছেই। তবে এটাও ভালো যে আমরা জয়ের কাছে যেতে পারছি। নতুন আশা করি, ফল আসা শুরু করবে।’