Thank you for trying Sticky AMP!!

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত উসাইন বোল্ট

যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট নিয়ে আশা উসাইন বোল্টের

বেড়ে উঠেছেন জ্যামাইকায় ক্রিকেট খেলে। অন্যদিকে এনবিএর মতো আমেরিকান খেলাও বেশ ভালোভাবে অনুসরণ করেন। সেই উসাইন বোল্ট যখন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটের সম্ভাবনার কথা বলেন, তখন সেটির আলাদা গুরুত্বই থাকে।

বিশ্বের দ্রুততম মানব বলছেন, একবার আমেরিকানদের ক্রিকেটের মধ্যে আনতে পারলে তারা বেশ ভালোভাবেই এটি অনুসরণ করবে। অলিম্পিকে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তিও ক্রিকেটের প্রসারে কাজ করবে বলে আশা তাঁর।

আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে যৌথভাবে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আজ ঘোষণা করা হয়েছে অলিম্পিকে আটটি সোনাজয়ী সাবেক এই স্প্রিন্টারকে। ক্রিস গেইলের দীর্ঘদিনের বন্ধু বোল্ট এ ব্যাপারে বেশ উচ্ছ্বসিত। ৩৭ বছর বয়সী বোল্টের আশা, বৈশ্বিকভাবে ক্রিকেটের সম্প্রসারে তিনি নিজের জীবনীশক্তি ও উৎসাহ দিয়ে সহায়তা করতে পারবেন। তিনি বলেছেন, ‘ক্যারিবীয় অঞ্চলে ক্রিকেট হচ্ছে জীবনের অংশ। আমার হৃদয়ে সব সময়ই এর জন্য বিশেষ জায়গা আছে। এমন মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টের অংশ হতে পেরে আমি সম্মানিত।’

Also Read: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের থিম সং গাইলেন কারা, কেমন হলো

যুক্তরাষ্ট্রে এবারই প্রথম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ক্রিকেটের এমন কোনো টুর্নামেন্ট। ক্রিকেটের সম্প্রসারণের একটি উদ্যোগ হিসেবেই দেখা হচ্ছে এটিকে। দেশটিতে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়েও আশাবাদী বোল্ট, ‘আমেরিকা খেলায় এবং এর তীব্রতায় বিশ্বাস করে। এমন বাজারে ঢোকা আমার কাছে বড় ব্যাপার বলে মনে হয়। তারা যখন কোনো খেলা অনুসরণ করে, সেটি একেবারে ঠিকঠাকভাবে করে। তারা উজাড় করে দেয়। যদি তারা এদিকে ঝোঁকে, তাহলে তারা ঠিকঠাকভাবেই এগোবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেমন উৎসাহ থাকবে, তেমন কিছু হলে দারুণ হবে।’

উসাইন বোল্ট ও ক্রিস গেইল

বোল্টের মতে, অলিম্পিকে ক্রিকেটের ফেরাটাও বড় একটা ধাপ। ১৯০০ সালের পর এই প্রথম ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে দেখা যাবে ক্রিকেটকে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বোল্ট বলেছেন, ‘এনবিএ খেলোয়াড়দের কথা শুনলে বুঝবেন, তারা যেভাবে সোনা জেতার ব্যাপারে কথা বলে—তারা এনবিএর শিরোপা জিতেছে, রিং পেয়েছে, কিন্ত এরপরও তাদের ভাবটা এমন, “আমরা অলিম্পিকে গিয়েছিলাম।”’

Also Read: বিশ্বকাপ খেলার প্রস্তাব নিয়ে নারাইন, ‘দরজাটা বন্ধ করে দিয়েছি’

এরপর বোল্ট যোগ করেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল দল) কীভাবে (২০০৪ সালের অলিম্পিকে) হেরেছিল, এরপর তারা “রিডিম টিম”(২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্রের দলের নাম) পাঠাল—এ নিয়ে সেদিন একটা তথ্যচিত্র দেখেছি। তাদের নজর কীভাবে এক জায়গায় নিবদ্ধ ছিল, কতটা কঠোর পরিশ্রম করেছিল (জিততে)। সোনার পদক পাওয়া এতটাই গুরুত্বপূর্ণ। সব খেলাই অলিম্পিকে ঢুকতে চায়। কারণ, এটা এতটাই বড় ব্যাপার। সোনার পদক জেতার পর পোডিয়ামে ওঠার ওই অনুভূতি দুর্দান্ত।’