Thank you for trying Sticky AMP!!

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডার

অ্যালান বোর্ডারের ৬৭–তে তাঁর সেরা ‘৫’

আশির দশকে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের নবজাগরণ ঘটেছিল তাঁর হাত ধরেই। ডেনিস লিলি, রডনি মার্শ, গ্রেগ চ্যাপেলদের পর অস্ট্রেলীয় দলে যে বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল, সেই কঠিন সময়ই দলের অধিনায়কত্বের গুরুভার বর্তেছিল তাঁর কাঁধে। অ্যালান বোর্ডার অবশ্য এর আগে থেকেই অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের বড় নাম। ১৯৮৭ বিশ্বকাপে স্টিভ ওয়াহ, ক্রেইগ ম্যাকডারমট, স্টিভ ওয়াহ, জিওফ মার্শ, ব্রুস রিডদের নিয়ে জিতিয়েছিলেন শিরোপা। ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের পরিচয়েই পরিচিত তিনি। সুনীল গাভাস্কারের ১০ হাজার টেস্ট রানের রেকর্ড তিনিই প্রথম ভেঙেছিলেন। টানা সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার রেকর্ডও তাঁর। বাঁহাতি অর্থোডক্স বোলার হিসেবেও মন্দ ছিলেন না। দলের প্রয়োজনে বহুবার কার্যকর প্রমাণিত হয়েছেন। একবার তো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে ৯৬ রানে নিয়েছিলেন ১১ উইকেট। সেই বোর্ডার আজ উদ্‌যাপন করছেন তাঁর ৬৭তম জন্মদিন। তাঁর ক্যারিয়ারের দুর্দান্ত পাঁচটি ইনিংসের স্মৃতি রোমন্থনের আজই যে সেরা দিন...

টানা ১৫৩টি টেস্ট খেলেছেন সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডার।

২০৫, প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড, অ্যাডিলেড, ১৯৮৭

১৯৮৭ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়ায় তিন টেস্টের সিরিজ খেলতে আসে। অ্যাডিলেডে অ্যালান বোর্ডার খেলেছিলেন ২০৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। ৪৮৫ বলে খেলা সেই ইনিংসের কল্যাণেই ৯ উইকেটের জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া সেবার ১-০ ব্যবধানে সিরিজটা জেতে। বোর্ডারের সেই ইনিংসে ছিল ২০টি বাউন্ডারি। কিউই বোলারদের নাকের জল, চোখের জল একাকার হয়ে গিয়েছিল ইনিংসের একপর্যায়ের বোর্ডারের মারমুখী ব্যাটিংয়ে।

১৯৬, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, লর্ডস, ১৯৮৫

ক্রিকেটের ‘কেন্দ্রভূমি’ লর্ডসে বোর্ডার সেদিন অল্পের জন্য দ্বিশতক করতে পারেননি। তবে তাঁর ১৯৬ রানের ইনিংসটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়াকে এনে দিয়েছিল জয়। ৪০০ মিনিট উইকেটে ছিলেন তিনি, খেলেছিলেন ৩১৮ বল। দ্বিশতক থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থাকতে ইয়ান বোথামের বলে আউট হয়েছিলেন বোর্ডার।

সুনীল গাভাস্কারের ১০ হাজার রেকর্ডের মাইল ফলক বোর্ডারই প্রথম অতিক্রম করেন

১৬৩, প্রতিপক্ষ ভারত, মেলবোর্ন, ১৯৮৫

ভারতের বিপক্ষে মেলবোর্ন টেস্টের সেই ইনিংস বোর্ডারের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ভারত ৪৪৫ রান করে এগিয়ে যায় ১৮৩ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে বোর্ডার একাই নেতৃত্ব দেন সামনে থেকে। বোর্ডার ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার কোনো ব্যাটসম্যানই ২৫ রানের বেশি করতে পারেননি সেদিন। তিনি ৪১০ মিনিট উইকেটে থেকে ৩১৮ বল খেলেন ১৬৩ রানের ইনিংস। ১৬ বাউন্ডারিতে গড়া সেই ইনিংসেই নিশ্চিত হারের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে টেস্টটি ড্র করে অস্ট্রেলিয়া।

১৯৮৭ বিশ্বকাপ হাতে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে সতীর্থদের কাঁধে বোর্ডার। তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত

১৬২, প্রতিপক্ষ ভারত, চেন্নাই, ১৯৭৯

চেন্নাইয়ের (তখন মাদ্রাজ) গরমে ব্যাটিং করাটা ছিল খুব কঠিন একটা কাজ। সেই কঠিন কাজই সেদিন বোর্ডার করেছিলেন ১৬২ রান করে। ভারতের বিপক্ষে সেই ইনিংস ছিল ৩৬০ বলে। ছয় ঘণ্টা ধরে ব্যাটিং করে রানআউট হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। টেস্টটি শেষ পর্যন্ত ড্র হয়েছিল।

১৮১, প্রতিপক্ষ ভারত, মেলবোর্ন, ১৯৮১

বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন কন্ডিশনে নিজের সেরাটা দিয়ে গেছেন বোর্ডার। ভারতের বিপক্ষে তাঁর বেশ কয়েকটি সেরা ইনিংস আছে। ১৯৮১ সালে মেলবোর্নে ভারতের বিপক্ষে ১২ ঘণ্টা ব্যাটিং করে ২৬৫ বলে ১২৪ রান করেছিলেন। তবে তাঁর এই ধৈর্যশীল ইনিংসটা বিফলেই গিয়েছিল। ভারত টেস্ট ম্যাচটা জিতেছিল ৫৯ রানে।