Thank you for trying Sticky AMP!!

আকাশ থেকে এবার মাটিতে আবাহনী

এবার এএফসি কাপের মূল পর্বেই খেলতে পারল না আবাহনী। ছবি: এএফসি
>গতবার এএফসি কাপের আন্তআঞ্চলিক সেমিফাইনাল খেলা আবাহনী লিমিটেড এবার এএফসি কাপে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারল না।

এ যেন একেবারে আকাশ থেকে মাটিতে পড়া! গত বছর এএফসি কাপের আন্তআঞ্চলিক সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল আবাহনী লিমিটেড। শেষ পর্যন্ত ফাইনালে খেলা না হলেও সেমিফাইনালে পা রাখাই ছিল বিশাল ব্যাপার। অথচ পাঁচ মাসের ব্যবধানে আবাহনী নতুন মৌসুমে এএফসি কাপে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারল না।

এএফসি কাপের প্রাথমিক রাউন্ডের প্রথম পর্বে মালদ্বীপ ক্লাব মাজিয়া স্পোর্টসের বিপক্ষে প্রথম পর্বে ঘরের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করেছিল আবাহনী। মালের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচটা হলো গোলশূন্য ড্র। ফলে দুই পর্ব মিলিয়ে ঘরের মাঠে গোল হজম করায় প্রিলিমিনারি রাউন্ড থেকেই আবাহনীর বিদায় নিশ্চিত হলো।

গত বছর সরাসরি এএফসি কাপে খেলার সুযোগ পেয়েছিল আবাহনী। প্রথমবারের মতো ভারতের দুটি ক্লাবকে পেছনে ফেলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আন্তআঞ্চলিক সেমিফাইনালে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছিল। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রথম পর্বে ২০১০ বিশ্বকাপ খেলা উত্তর কোরিয়ার চ্যাম্পিয়ন এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের মতো ক্লাবকেও হারিয়ে দিয়েছিল মারিও লেমোসের আবাহনী। অ্যাওয়ে ম্যাচে ২-০ গোলে হেরে এএফসি কাপে আবাহনীর স্বপ্ন যাত্রা থামে। কিন্তু থামার আগ পর্যন্ত যা করে দেখিয়েছে, তা রীতিমতো ইতিহাস।

লিগ চ্যাম্পিয়ন না হতে পারায় রানার্সআপ হিসেবে এবার এএফসি কাপের প্রাথমিক রাউন্ড খেলতে হয়েছে আবাহনীকে। প্রিলিমিনারি রাউন্ডের প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিল বাংলাদেশের ছয়বারের লিগ চ্যাম্পিয়নরা।

গতবার আবাহনীর সাফল্যের কারিগর ছিলেন যে পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোস, এবারও তিনি ছিলেন কোচ। এবারের দলের সামর্থ্যের অভাবটাকেই দায়ী করেছেন তিনি , ‘ছেলেরা এএফসি কাপের মানের খেলা উপহার দিতে পারেনি। আমরা রক্ষণে ভালো করলেও গোল দরকার ছিল আমাদের। কিন্তু গোলটাই করতে পারিনি। এ ছাড়া এই পর্যায়ে খেলার জন্য যে নিষ্ঠা ও সামর্থ্য প্রয়োজন ছিল, তা এই দলটার মধ্যে দেখা যায়নি।’