Thank you for trying Sticky AMP!!

আনন্দ আর ধরেনি, গ্রেপ্তারও এড়ানো যায়নি

অ্যানফিল্ডের সামনে লিভারপুল সমর্থকদের ভিড়। ছবি: টুইটার

ঘরে থাকতে বলা হয়েছিল তাঁদের। উদযাপন হোক ঘরে। বাইরে বের হয়ে করোনাঝুঁকি বাড়াতে তাঁদের নিষেধ করেছিল দুই ক্লাবই। কিন্তু কে শোনে কার কথা! লিভারপুল এবার লিগ জিতেছে ৩০ বছর পর। ওদিকে লিডস ইউনাইটেড দ্বিতীয় বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইংলিশ ফুটবলের শীর্ষ স্তর প্রিমিয়ার লিগে উঠে এসেছে দীর্ঘ ১৬ বছর পর। এ দুটি দলের সমর্থকদের মনের অবস্থা বোঝা সহজ। আনন্দের বাঁধ ভেঙে গেছে!

কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারিতে আনন্দের বাঁধ ভাঙলে তো চলবে না। সমর্থকদের অবশ্য বিধিনিষেধ মানতে বয়েই গেছে। কাল রাতে তাই মানা স্বত্ত্বেও লিভারপুল ও লিডসের স্টেডিয়ামের সামনে জড়ো হয়েছিলেন দুই দলের সমর্থকেরা। তাঁদের বাঁধভাঙা উদযাপনে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বালাই ছিল না। ফলে যা ঘটার তাই ঘটেছে। দুই দলের মোট ১৩জন সমর্থককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অ্যানফিল্ডে কাল চেলসির মুখোমুখি হয়েছিল লিভারপুল। এবার লিগে ঘরের মাঠে এটাই ছিল লিভারপুলের শেষ ম্যাচ। এ ম্যাচ শেষে লিগ শিরোপা তুলে দেওয়া হয় জর্ডান হেন্ডারসনদের হাতে। খুব স্বাভাবিকভাবেই শিরোপা উদযাপন দেখতে আসার ঢল নেমেছিল অ্যানফিল্ডে।

মাঠে যেহেতু ঢোকা যাবে না তাই সবাই জমায়েত হয়েছিল স্টেডিয়ামের সামনে। কিন্তু সেখানে আগেই ৪৮ ঘন্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মার্সিসাইড পুলিশ। অর্থাৎ অ্যানফিল্ডে জমায়েত হওয়া যাবে না। কিন্তু এ নিয়ম ভাঙায় সেখান থেকে ৯ সমর্থককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মার্সিসাইড পুলিশের ভাষ্য, 'আরও অনেক বেশি লোক হতে পারত। তবে বিধিনিষেধ না মানায় আমরা হতাশ। এতে কোভিড–১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের ঝুঁকি বেড়েছে।'

লিডসের মাঠ এল্যান্ড রোড থেকে ৪ সমর্থককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেখানে আহতও হয়েছেন সমর্থকেরা। ট্রফি পাওয়ার পর বাসে উঠে উদযাপন করেন খেলোয়াড়েরা। সমর্থকেরা ভিড় জমায় বাসের পাশে।