Thank you for trying Sticky AMP!!

আর্জেন্টিনার জার্সির অপমান করছেন মেসিরা!

কলম্বিয়ার বিপক্ষে উত্তরসূরিদের খেলার ধরন দেখে ফুঁসেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ছবি: এএফপি
কলম্বিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরে কোপা আমেরিকা শুরু করেছে আর্জেন্টিনা। এমন বাজে শুরুর পর দলকে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। বলেছেন, এমন খেলা খেলে আর্জেন্টিনার জার্সিরই অপমান করছেন মেসিরা।

কলম্বিয়ার কাছে হেরে কোপা আমেরিকা অভিযান শুরু করা আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্স মন ভরাতে পারেনি একেবারেই। শুধু হেরেছে বলে নয়, শরীরী ভাষাতেও ঝাঁজ খুঁজে পাওয়া যায়নি ১৪ বারের কোপা জয়ীদের। এবার আর্জেন্টিনার কঠোর সমালোচনা করলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনাও। বলেছেন, আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে এমন ফুটবল খেলে জার্সিটারই অপমান করছেন তারা!

১৯৯৩ এর পর থেকে কোনো বড় আন্তর্জাতিক শিরোপা জিততে পারেনি আর্জেন্টিনা। নানা সময়ে তাই উত্তরসূরিদের সমালোচনায় মেতেছেন ম্যারাডোনা। সমালোচনা করতে গিয়ে কোনো রাখঢাকও রাখেন না অনেক সময়। এবারও হয়েছে তাই। রীতিমতো ধুয়েই দিয়েছেন মেসির দলকে।

মেসিদের খেলা দেখে ক্ষুব্ধ ম্যারাডোনা বলেছেন, ‘এদের (আর্জেন্টিনা দলের) খেলা দেখলে আপনার মনে হবে, টোঙ্গাও আমাদের হারিয়ে দিতে পারবে। বছরের পর বছর ধরে আমরা এই দলের একটি সম্মান গড়ে তুলেছি। আর কি বাকি আছে সেই সম্মানের? এই জার্সির কোনো সম্মান আছে আর? তোমরা সবাই এই জার্সির অপমান করছ।’

কলম্বিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধে নিরাপদ ফুটবলই খেলেছে আলবিসেলেস্তেরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য খেলতে গিয়েই বিপত্তি বেঁধেছে। শেষ ২০ মিনিটে দুই গোল খেয়ে হার দিয়ে শুরু করতে হয়েছে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্ট। প্রথম গোল খাওয়ার পর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছেন মেসিরা, তবে গোলের দেখা আর পাননি।

তবে পরিসংখ্যান বলছে, ৭১ মিনিটে রক্ষার মার্টিনের গোলের পরই আর্জেন্টিনার হার অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। একবার গোল খেয়ে গেলে ম্যাচে ফেরার উপায় যে ভুলতে বসেছে মেসির দল! শেষ ১০ ম্যাচে শুরুতে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি আর্জেন্টিনা। এই ১০ ম্যাচের মধ্যে হেরেছে ৯টিতেই, ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে একটি ম্যাচ শুধু ও করতে পেরেছে।

শুরুতে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনা শেষ বার জিতেছিল ২০১৮ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে। ইকুয়েডরের কাছে গোল খেয়েও লিওনেল মেসির হ্যাটট্রিকে ৩-১ গোলে জিতে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছিল দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।