Thank you for trying Sticky AMP!!

ইউরোপের শীর্ষ লিগে বাংলাদেশির অভিষেক

নতুন ক্লাবের জার্সিতে রিয়াসাত। ছবি: ফেসবুক
>২০১৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিলেন রিয়াসাত খাতন। লক্ষ্য ছিল জন্মভূমির জার্সিতে খেলবেন। কিন্তু সেবার সুযোগ না পেলেও ২০১৫ সালে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ দলের স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছিলেন ডাচ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফের অধীনে। কিন্তু অভিষেকটা হয়নি। এবার রিয়াসাত প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইউরোপের অন্যতম শীর্ষ লিগে মাঠে নামলেন। নতুন ইতিহাস গড়লেন।


বাংলাদেশ ফুটবল দল গতকালই দেশকে ঈদ উপহার দিয়েছে। র‍্যাঙ্কিংয়ে ৯৬ ধাপ এগিয়ে থাকা ও পরবর্তী বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকা কাতারকে হারিয়ে এশিয়ান গেমসের দ্বিতীয় পর্বে পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশের ফুটবল সাফল্যের বাতাস অবশ্য তার একদিন আগেই পেয়েছে। ১৮ আগস্টই সৃষ্টি হয়েছে আরেক ইতিহাস। প্রথমবারের মতো ইউরোপের কোনো লিগের শীর্ষ পর্যায়ে অভিষেক হলো কোনো বাংলাদেশির। ওয়েলশ প্রিমিয়ার লিগে পরশু মাঠে নেমেছিলেন রিয়াসাত খাতন।

জার্মানিতে শৈশব ও কৈশোর পার করা রিয়াসাত ফ্রেইবুর্গের একাডেমিতে বেড়ে উঠেছেন। তবে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার তেমন সাফল্যমণ্ডিত নয়। এর মাঝেই দুবার বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলতে ঢাকায় এসেছিলেন রিয়াসাত। ২০১৩ সালে চোটের কারণে স্কোয়াডে ডাক পাননি। তবে ২০১৫ সালে ঠিকই সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচের স্কোয়াডে ঢুকে পড়েছিলেন। কিন্তু দেশের জার্সিতে আরাধ্য অভিষেকটা হয়নি তাঁর।

জাতীয় দলে না খেলতে পারলেও বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সম্পর্ক গড়ে দিলেন তিনি। পরশু চেফন ড্রুইডসের বিরুদ্ধে লানেল্লি টাউনের হয়ে ম্যাচের ৯০ মিনিটে বদলি নেমেছিলেন রিয়াসাত। মাঠে নেমে সৌভাগ্য এনে দিয়েছেন দলকে। নির্ধারিত সময়ে ২-২ সমতায় থাকা ম্যাচ যোগ করা সময়ের পেনাল্টিতে জিতেছে লানেল্লি টাউন।

ইতিহাস গড়ার পর সে আনন্দ ফেসবুকে জানিয়েছেন রিয়াসাত, ‘ইতিহাসে লেখা থাকবে এটি, বাংলাদেশের ফুটবলের ইতিহাসেও লেখার মতোই কিছু এটি। গতকাল (১৮ আগস্ট) ওয়েলস প্রিমিয়ার লিগে লানেল্লি টাউন এফসির হয়ে প্রথম ম্যাচ খেললাম। এতে বাংলাদেশি হিসেবে জন্ম নেওয়া কোনো খেলোয়াড় হিসেবে এবং প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইউরোপের কোনো দেশের শীর্ষ লিগে খেলা প্রথম খেলোয়াড় হয়েছি আমি। আশা করি এ বছর এবং ভবিষ্যতে এমন আরও ভালো খবর দেওয়া যাবে।’