Thank you for trying Sticky AMP!!

ইতিহাস গড়ার ভিডিও দেখলেই চোখ ভিজে যায় এই ব্রাজিলিয়ানের

লুকাস মউরা। আয়াক্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের পর। ছবি: টুইটার
>লুকাস মউরার হ্যাটট্রিকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের দেখা পেয়েছে টটেনহাম হটস্পার্স। সেমির ফিরতি লেগের সেই ম্যাচের ভিডিও যতবার দেখেছেন ততবারই কেঁদেছেন এই ব্রাজিলিয়ান

টটেনহাম সমর্থকদের কাছে স্বপ্ন-স্বপ্ন লাগতেই পারে। তাঁদের দল এর আগে যে কখনো ওঠেনি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। তাহলে টটেনহামকে যিনি ফাইনালে তুললেন, তাঁর কেমন লাগতে পারে? ওই একই, তা না হলে আরেকটু বেশি। স্বপ্ন-স্বপ্ন, কান্না-কান্না, এক অনির্বচনীয় অনুভূতি!

আয়াক্সের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সেমির প্রথম লেগে ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল টটেনহাম। ফিরতি লেগে ডাচ ক্লাবটির মাঠে গিয়ে ৩-২ গোলে জিতেছে ইংলিশ ক্লাবটি। শ্রেয়তর ‘অ্যাওয়ে গোল’ সংখ্যা নিয়ে ফাইনালে উঠেছে টটেনহাম। আর ফিরতি লেগে দলটির হয়ে এই তিন গোলই করেছেন লুকাস মউরা। সেদিন রাতে টটেনহামের সবাই প্রাণপণ খেললেও ‘হ্যাটট্রিকম্যান’ মউরাই যে জিতিয়েছেন, সে কথা দ্ব্যর্থ ছাড়াই বলা যায়।

ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের জীবনেও এমন মুহূর্ত প্রথম। সেমিতে হ্যাটট্রিক করে দলকে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে তোলা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। মউরা ঠিক এ কাজটাই করেছেন প্রথম ব্রাজিলিয়ান এবং ইতিহাসের পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে। এর চেয়েও বড় কথা, তাঁর হ্যাটট্রিকে চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবার ফাইনালের দেখা পেয়েছে টটেনহাম। মউরা এই ম্যাচের ভিডিও যে সারা জীবন আগলে রাখবেন, সেটাই স্বাভাবিক। আর এখন সুযোগ পেলেই দেখছেন ম্যাচের ভিডিও। ৫৫, ৫৯ ও ৯৬ মিনিটে গোলের মুহূর্তগুলো যতবার দেখছেন ততবারই চোখ ভিজেছে মউরার।

টটেনহামের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটকে ২৬ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড বলেন, ‘মনে হয় স্বপ্ন দেখছি। এটা ছিল অবিশ্বাস্য দিন। আমি খুবই খুশি ও গর্বিত। পরে ম্যাচের ভিডিও দেখেছি। যতবার দেখেছি ততবারই কেঁদেছি, কারণ এটা ভীষণ আবেগময় ব্যাপার। সব খেলোয়াড় এই মুহূর্তের দেখা পেতে চেয়েছে। মুহূর্তটা ধারণ করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছে।’

প্রথম লেগে ১ গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকা আয়াক্স ফিরতি লেগের প্রথমার্ধে আরও ২ গোল করেছিল। এখান থেকে হ্যাটট্রিক করে মউরা অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন টটেনহামকে। ফুটবল কতটা নাটকীয়, কতটা রোমাঞ্চকর, সে কথাও মনে করিয়ে দিলেন টটেনহাম ফরোয়ার্ড, ‘ফুটবল এ কারণে ভীষণ রোমাঞ্চকর। আমি ফুটবল ভালোবাসি। এটা আবেগের জায়গা। জীবনে এ ধরনের মুহূর্ত ধরে রাখা প্রয়োজন।’