Thank you for trying Sticky AMP!!

এই ব্রাজিল 'কুৎসিত', বললেন রিভালদো

রোনালদো-রিভালদো-রোনালদিনহো! কোথায় হারাল সেই ব্রাজিল! ফাইল ছবি

পেলের জাদুঘর দেখতে গেছেন নেইমার। রবিনহো বউ-বাচ্চা নিয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন। টাইব্রেকারে শট মিস করে ‘জাতীয় খলনায়ক’ হয়ে যাওয়া রিবেইরো আর কস্তা সম্ভবত আত্মগোপনে। অকাল ছুটিটা যে যেখানেই যাঁর মতো করেই কাটান না কেন, সবার দিকেই ধেয়ে যাচ্ছে অদৃশ্য তির। সমালোচনার চাবুক। ব্রাজিলের সাবেক তারকা রিভালদো তো বিশ্বাসই করতে পারছেন না, তাঁর উত্তরসূরিরা এ কোন ফুটবল খেলছে। যে ফুটবলে নেই জোগো বনিতোর সামান্য সুবাস!
এই দলটাকে বোঝাতে খুবই রূঢ় একটা বিশেষণ ব্যবহার করতে তাই একটুও বাধেনি ২০০২ বিশ্বকাপজয়ীর। রিভালদো বলেই দিয়েছেন, এই ব্রাজিল ‘কুৎ​সিত’! নিজের ফেসবুক পেজে রিভালদো লিখেছেন, ‘সাধারণত আমি এসব ব্যাপারে চুপ থাকি কিন্তু এখন দলের খেলা এতটাই কুৎসিত হয়ে উঠেছে যে আর চুপ থাকা সম্ভব হলো না।’
পেলে-সক্রেটিস হয়ে রোনালদো-রবিনহো ঘুরে নেইমার—ব্রাজিলে প্রতিভার সংকট কখনোই হয়নি। তারকা খেলোয়াড়দেরও জাতীয় দলে এসে বেঞ্চ গরম করতে হয়েছে। অথচ দুঙ্গার এই ব্রাজিল দলে আছে চীন আর আরব আমিরাতের অখ্যাত লিগে খেলা খেলোয়াড়! অথচ আগের বিশ্বকাপ জয়ে ভূমিকা রেখেও ২০০৬ বিশ্বকাপে রিভালদো জায়গা পাননি স্রেফ শীর্ষ লিগে খেলতেন না বলে। নিজের এই উদাহরণ টেনে রিভালদো যেন প্রশ্ন তুলতে চাইলেন, ব্রাজিল দল এগোচ্ছে, নাকি পেছাচ্ছে?
গতকাল মঙ্গলবার ছিল ব্রাজিলের সর্বশেষ বিশ্বকাপ জয়ের বর্ষপূর্তি। এ উপলক্ষে দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে রিভালদো লিখেছেন, ‘১৩ বছর হয়ে গেল ব্রাজিলের সর্বশেষ বিশ্বকাপ জেতার। এই স্মৃতি সব সময় আমার সঙ্গেই থাকবে।’
২০০২ বিশ্বকাপে কী একটা দলই না ছিল ব্রাজিল। অথচ সেই ব্রাজিলের হলুদ জার্সিটার দাম এখন এত সস্তা হয়ে গেছে, যেন ভাবতেই পারছেন না। বলেছেন, ‘এখন মনে হচ্ছে যেকেউ জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছে! আমার মনে পড়ে কেবল গ্রিসের লিগে খেলতাম বলে ২০০৬ বিশ্বকাপের দলে আমাকে ডাকা হয়নি। অথচ তখন আমি দুবার লিগের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলাম। তা ছাড়া এখন যেসব লিগের কিছু কিছু খেলোয়াড় জায়গা পাচ্ছে, তার চেয়ে গ্রিক লিগ অনেক সম্মানজনকও।’

ব্রাজিলের মতো দলের জন্য ১৩ বছর শিরোপা-খরায় ভোগা অনেক বড় কিছু। এবং বর্তমান পথরেখাও ভবিষ্যতের উজ্জ্বল কোনো গন্তব্যও নির্দেশ করছে না রিভালদোর কাছে। গত বছর দুই দশকের পেশাদার ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দেওয়া এই ৪৩ বছর বয়সী বলেছেন, ‘এ রকম চলতে থাকলে আমাদের জাতীয় দল ৩০ বছরেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে না। দয়া করে ভালো খেলোয়াড়দের দলে নিন। কারণ তা করা না হলে আমরা আবার লজ্জায় ডুবব।’
সাধারণত ব্রাজিলের ফুটবল নিয়ে খুব একটা কথা বলতে দেখা যায় না তাঁকে। সংবাদমাধ্যমের আলো থেকেও দূরে সরে গেছেন। কিন্তু এবারের কোপায় উত্তরসূরিদের খেলা দেখে আর নিশ্চুপ থাকতে পারেননি, ‘চুপ করে থাকতেই পছন্দ করি। কিন্তু দেশ হিসেবেও সব কিছু এত কুৎ​সিত হয়ে গেছে, আর চুপ করে থাকতে পারলাম না।’