Thank you for trying Sticky AMP!!

এএফসি কাপে সপ্তাহের সেরা গোল মামুনুলের

সেদিন গোলের পর মামুনুলের উল্লাস। ছবি: তানভীর আহাম্মেদ
বুধবার এএফসি কাপে নেপালের মানাং মার্শিয়াংদি ক্লাবের বিপক্ষে ৫-০ গোলে জয় পায় আবাহনী লিমিটেড। ম্যাচে দুর্দান্ত একটি গোল করেছিলেন মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম। সেই গোলটি এএফসি কাপের সপ্তাহ সেরা গোলের মর্যাদা পেয়েছে।

দেশের ফুটবলারদের পায়ে দেখা যায় না দৃষ্টিনন্দন গোল। অভিযোগটি আগে শোনা যেত প্রায়ই। সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিচ্ছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম। এএফসি কাপে নেপালের মানাং মার্শিয়াংদির বিপক্ষে আবাহনীর ৫-০ গোলের জয়ের ম্যাচে দুর্দান্ত এক গোল করেছিলেন। সেই গোলটি এএফসি কাপের সপ্তাহের সেরা গোলের মর্যাদা পেয়েছে।

এএফসি কাপের আগের সপ্তাহের মোট ৪টি গোল সেরার তালিকায় রেখেছিল এএফসি ডট কম। সেরা গোল বেছে নিতে এএফসি ডট কমের পক্ষ থেকে ভোট চাওয়া হয়েছিল অনলাইনে। সমর্থকদের ভোটে আবাহনীর মিডফিল্ডার মামুনুলের গোলটি সেরা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় মোট ভোট পড়েছে ১৫ হাজার ৫২০টি। মামুনুলের বাক্সে জমা পড়েছে ৫২ শতাংশ বা ৭৯৯৭টি ভোট। ৭১৯০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন সিরিয়ার মোহামেদ আল ওয়াকিদ, তৃতীয় হওয়া তাজিকিস্তানের দিলশদ ভেসিভ ভোট পেয়েছেন ২৯৯টি। সর্বনিম্ন ৩৪ ভোট পেয়েছেন ভারতের লালমুয়ানপাইয়া।

কেমন ছিল মামুনুলের সেই গোলটি? বক্সের ওপর থেকে ব্যাক পাস করেছিলেন সানডে চিজোবা। প্রথম স্পর্শেই বলটা সামনে বানিয়ে নিয়ে পেনাল্টি আর্কের ওপর থেকে বাম পায়ের জোরালো শট সরাসরি জালে। ৫-০ গোলের জয়ের ম্যাচে পঞ্চম গোলটি করেছিলেন মামুনুল। এএফসি কাপে এর আগের ম্যাচেও তাঁর দুর্দান্ত গোলেই ভারতের আইএসএলের ক্লাব চেন্নাইয়িন এফসির বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ও নাটকীয় ম্যাচের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।

গোল পাল্টা গোলে অনেক নাটকীয়তা শেষে ২-২ গোলে ড্রয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল ম্যাচটি। আর ড্র হলে আরও একবার এএফসি কাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই আবাহনীর থেমে যাওয়ার চোখ রাঙানি। ঠিক তখনই ৮৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের ভলিতে গোল করেছিলেন মামুনুল।

১৯৯৬ সালের আগস্টে এশিয়ার ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ হয়েছিলেন আলফাজ আহমেদ। এশিয়ান কাপ উইনার্স কাপে মোহামেডানের জার্সি গায়ে লাওসের ইলেকট্রিসিটি ক্লাবের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেন জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার। দুই লেগে করেন ৫ গোল। ঢাকায় ৮-০ জয়ে আলফাজের ছিল ৪ গোল। বাংলাদেশের আর কোনো ফুটবলারের নামের পাশে এশিয়ার ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ তকমা নেই। আলফাজের তুলনায় মামুনুলের খেতাবটা ছোট হলেও মন্দ নয় স্বীকৃতি হিসেবে।

দেখে নিতে পারেন মামুনুলের গোলটি