Thank you for trying Sticky AMP!!

একদিন সবাই ওজিলের সত্যটা জানবে

আর্সেনালের জার্সিতে অনুশীলনে ওজিল।

দুই বছর আগেও আর্সেনালের মাঝমাঠের মেরুদণ্ড ছিলেন মেসুত ওজিল। কিন্তু গত মৌসুম থেকেই দলে ব্রাত্য হয়ে উঠেছেন জার্মানির এই মিডফিল্ডার। বিশেষ করে এই মৌসুমে আর্সেনালের মাঠের খেলার সঙ্গে ওজিলের কোনো নামগন্ধই নেই। প্রিমিয়ার লিগ ছাড়াও ইউরোপা লিগ, মিকেল আরতেতার দলের কোথাও নেই ওজিলের নাম। অনেকের প্রশ্ন ওজিলের সঙ্গে হচ্ছেটা কী? কোনো একদিন সত্য ঘটনাটা বের হয়ে আসবে বলে মনে করেন ওজিলের সাবেক সতীর্থ জ্যাক উইলশায়ার।

২০০৮ থেকে ২০১৮ টানা এক দশক আর্সেনালে খেলেছেন উইলশায়ার আর ২০১৩ সাল থেকে আর্সেনালে আছেন ওজিল। অর্থাৎ গানার্সদের জার্সিতে একই সঙ্গে দুজন খেলেছেন প্রায় পাঁচ মৌসুম। সে হিসেবে ওজিলকে ভালোই জানা আছে ইংলিশ এই মিডফিল্ডারের। বর্তমানে ওজিলকে মাঠে খেলতে না দেখে হতাশ তিনি। ওজিলকে খেলতে দেখলে তাঁর ভালো লাগত বলে জানিয়েছেন উইলশায়ার, ‘আমি মনে করি সে দলের বড় একজন খেলোয়াড়। আরতেতার অধীনে তাঁকে খেলতে দেখলে ভালো লাগত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তা হচ্ছে না। বল পায়ে ভালো হওয়ায় পিয়েরি এমরিক ও আলেকসান্দ্রোকে ভালো খেলাতে পারতেন।’

Also Read: ওজিলের নামও মুখে আনতে চান না তিনি

এর আগে আর্সেনালে ছয়-সাত বছর দাপটের সঙ্গে খেলেছেন জার্মানির জার্সিতে ২০১৪ বিশ্বকাপ জেতা ওজিল। মাঝমাঠে ওজিলের সঙ্গে উইলশায়ারকেও খেলতে দেখা গেছে অনেকবার। আর্সেন ওয়েঙ্গার–যুগে কত ম্যাচই না আর্সেনালকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন এই যুগল। পারফরম্যান্সে পতন না হওয়া সত্ত্বেও সেই ওজিলকে এখন দলের বাতিলের খাতায় দেখে ভালো লাগে না উইলশায়ারের। ওজিলের সঙ্গে এমন আচরণের কারণগুলো একদিন বের হয়ে আসবে বলে মনে করেন তিনি, ‘আমি তার সঙ্গে খেলতে পছন্দ করতাম। সে শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড় ছিলেন। এটা খুবই লজ্জাজনক যে তার সঙ্গে কী হচ্ছে এবং তা কেউ জানে না। আমি নিশ্চিত যে একদিন সবাই সে বিষয়গুলো খুঁজে বের করবে।’

মাঠের বাইরে ফুরফুরে মেসুত ওজিল।

আর্সেনালের জার্সিতে সর্বশেষ কবে খেলতে দেখা গেছে ওজিলকে, তা ভুলে যাওয়ারই কথা। করোনাভাইরাস এসে ফুটবল–বিশ্বকে থামিয়ে দেওয়ার আগে আগে সর্বশেষ ৭ মার্চ আর্সেনালের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন ওজিল। ওজিলের প্রতি আর্সেনাল কোচ অবিচার করছেন বলে উইলশায়ারের মতো মনে করেন অনেকেই। গেল দুই মৌসুম ওয়েস্টহামে খেলেছেন ২৮ বছর বয়সী উইলশায়ার। এই মৌসুমে দল ছেড়েছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, আমেরিকার এমএলএসে নাম লেখাতে পারেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা থাকা এই মিডফিল্ডারের।