Thank you for trying Sticky AMP!!

একাধিক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন সালাহ

ভক্তদের ভালোবাসায় পরিবেষ্টিত সালাহ। ফাইল ছবি
>মোহাম্মদ সালাহ ২০১৪ সালে চেলসিতে খুব কম সময়ের জন্য ছিলেন। মাঝখানে ইতালির রোমায় খেলে এসে গত বছর ইংল্যান্ডে ফেরেন লিভারপুলের হয়ে। লিভারপুলে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কঠিন বিষয় কী ছিল? সালাহ সেই উত্তর দিলেন


ভিনি ভিডি ভিসি। এলেন দেখলেন জয় করলেন! এতটাই সহজ ছিল লিভারপুলে মোহাম্মদ সালাহর প্রথম মৌসুম। লিগে ৩৬ ম্যাচে খেলে ৩২ গোল করেছেন, পুরো মৌসুমে ৫২ ম্যাচে ৪৪ গোল। সহজ নয়তো কী! ভুল। সালাহ জানালেন, ইতালির রোম থেকে ইংল্যান্ডের লিভারপুলে এসে প্রথম বছরটায় মানিয়ে নিতে অনেক কষ্টের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। মাঠে নয়, রাস্তায়! একাধিকবার দুর্ঘটনাতেও পড়েছিলেন তিনি!

একটি বিজ্ঞাপনী প্রচারণার জন্য শুটিংয়ে সালাহকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ইংল্যান্ডে আসার পর কোন ব্যাপারটা মানিয়ে নিতে সবচেয়ে কষ্ট হয়েছে। জবাবে মিসরের এই ফরোয়ার্ড বলেছেন, ইতালি ও ইংল্যান্ডের সড়কপথের ধরন একেবারে উল্টো। ইতালিতে যে পথে গাড়ি চালাতেন, ইংল্যান্ডে চালাতে হয়েছে তার উল্টো দিকে। এটাই সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে।

সালাহ বলেছেন, ‘প্রথম কয়েক সপ্তাহ এটা তো খুবই কঠিন ছিল। বেশ কয়েকবার সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েছি, কয়েকবার তো ফুটপাতে গাড়ি তুলে দিয়েছিলাম। পরে অবশ্য মানিয়ে নিয়েছি।’

গত মৌসুমে দুর্দান্ত খেলেও দলকে কোনো ট্রফি এনে দিতে পারেননি। এই আক্ষেপ রয়ে গেছে তাঁর। অবশ্য চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে শুরুতে যেভাবে খেলছিল লিভারপুল, সালাহকে চোটের কারণে হারিয়ে ফেলার পর আর পারেনি। এটাও আক্ষেপের কারণ। গত মৌসুমে নিজের সেরা অর্জন বলতে হ্যারি কেইন আর সার্জিও আগুয়েরোকে হারিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সেরা খেলোয়াড় হওয়াটাকেই বেছে নিলেন।

গত মৌসুমটা সালাহর জীবনই আসলে বদলে দিয়েছে। মিসরে এখন তিনি কতটা জনপ্রিয়, সেই গল্পও শুনিয়েছেন, ‘আমি তখন মিসরে আমার বাসায়। এক ভক্ত এসে বলল, আমার সঙ্গে ছবি তুলবে। আমি তুললামও। দুই ঘণ্টা পর দেখি, সে আবার এসে হাজির। এবার ওর সঙ্গে আটজন। ওরাও নাকি ছবি তুলবে। আমি বললাম, আচ্ছা, তোলো। রাতের বেলা দেখি, আবার দরজার কড়া নাড়া। খুলে দেখি, ওই ভক্ত আবার এসেছে। এবার একটা বাসভর্তি মানুষ! আমি ওকে বললাম, এসব কী করছ! ও বলল, এই ছবি তোলার কথা সবাই বলছে আর লোক নিয়ে আসছে। পরের দিন নাকি আরও অনেকে আসবে!’