Thank you for trying Sticky AMP!!

এক তরুণ অ্যাথলেটকে ফুটবলার বানাতে চান সালাউদ্দিন

>

তরুণ অ্যাথলেট শাওন সর্বশেষ জুনিয়র অ্যাথলেটিকসে ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতেছেন। তিনি আবার প্রতিভাবান ফুটবলার হিসেবেও পরিচিত। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন চান এই শাওনের ফুটবল প্রতিভার সঙ্গে তাঁর দৌড়ের সামর্থ্যের মিশেল ঘটাতে।

জুনিয়র অ্যাথলেটিকসে ১০০ ও ২০০ মিটারে সোনা জিতেছেন শাওন(ডানে)। ফাইল ছবি

একটি ছেলের ফুটবল প্রতিভা খুব মনে ধরেছে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের। ১৮ বছর বয়সী এই ছেলের নাম শাওন আহমেদ। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই শাওনই গত মাসে শেষ হওয়া জুনিয়র অ্যাথলেটিকসে ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতেছিলেন। সালাউদ্দিন চান শাওনের ফুটবল প্রতিভার সঙ্গে দৌড়ের সামর্থ্যের মিশেল। বাফুফে সভাপতি মনে করেন, শাওনকে একটু পরিচর্যা করলে তাঁর কাছ থেকে ভালো কিছু পাওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশের ফুটবলে এই মুহূর্তে একজন স্ট্রাইকারের বড় প্রয়োজন। দেশের হয়ে গোল করার কেউ নেই। এই শাওনকে একজন স্ট্রাইকার হিসেবে গড়ে তুলতে চান সালাউদ্দিন। সেটার অবশ্য কারণও আছে। এবারের অনূর্ধ্ব-১৭ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে তিনি খেলেছেন কুষ্টিয়া সদর পরিষদের হয়ে। তিন ম্যাচে তাঁর গোল চারটি। তাঁর গতি দুর্দান্ত। ফুটবলীয় স্কিলের সঙ্গে গতির মিশেলে তিনি হয়ে ওঠেন সমীহ জাগানিয়া এক ফুটবলার। কুষ্টিয়াতে নিজের এলাকায় খেপ খেলায় তাঁর খুব নামডাক। গত কয়েক বছরে নাকি তিনি আয় করেছেন তিন-চার লাখ টাকা। এসব খেপে নিয়মিতই গোল পায় তিনি। গণমাধ্যমে শাওনকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন পড়েই নাকি বাফুফে সভাপতির এই আগ্রহ, ‘আমি পত্রিকায় পড়েছি শাওনের কথা। তার দৌড়ের স্টাইলও দেখেছি। আমি ছেলেটিকে খুঁজছি। ওকে পলের (বাফুফে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর) কাছে এনে এক মাস রেখে দেখতে চাই। ওর গতিটাকে কাজে লাগাতে হবে। ঘষামাজা করে যদি তৈরি করা যায়।’
শাওন নিজেও চান ফুটবল খেলতে। এমন একটা সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন তিনি, ‘কিছুদিন আগেও কুষ্টিয়া দ্বিতীয় বিভাগে খেলেছি। আমি তো ফুটবলই খেলতে চাই। বাফুফে আমাকে ডাকলে আর ফুটবলে আমার ভালো সুযোগ হলে আমি অ্যাথলেটিকস ছাড়তেও রাজি আছি।’