Thank you for trying Sticky AMP!!

এক রোনালদোয় তোলপাড় দুই লিগে

রোনালদো উৎসব শুরু গেছে ইতালিতে। ছবি: রয়টার্স
>এই শতাব্দীতে এখন পর্যন্ত ১৮টি চ্যাম্পিয়নস লিগের ৯টি গেছে স্পেনে আর ৩টি ইতালিতে। সংখ্যাই বলে দিচ্ছে, ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বে কারা এগিয়ে। জিদান-কাকার মতো বিশ্বসেরা তারকারা ইতালি থেকে দলে ভিড়িয়েছিল স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে। তবে এবার বিশ্বসেরা ফুটবলার স্পেন থেকে গেলেন ইতালিতে। এবার কি ইতালি হারানো ঐতিহ্য আর দর্শক ফিরে পাবে? তাহলে স্প্যানিশ ফুটবলের চিত্রটা কী হবে?


মেসি-রোনালদোর সৌজন্যে ফুটবলপ্রেমীরা প্রায় এক দশক বুঁদ হয়ে ছিল স্প্যানিশ লিগে। কোনো বছর মেসির সুদিন যায় তো কোনো বছর রোনালদোর। ফুটবল বলতে ভক্ত-সমর্থকদের বড় অংশ এখন মেসি-রোনালদোকেই বোঝে। এতে যে স্প্যানিশ ফুটবলের বিরাট অবদান, না বললেও চলছে। এই দুই মহাতারকা জাদু দেখান স্পেনের দুই শীর্ষ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সালোনার জার্সিতে।

দুই মহাতারকাকে ঘিরেই রিয়াল-বার্সা প্রভাববিস্তারী ফুটবল খেলে, ‘এল ক্লাসিকো’ হয়ে ওঠে বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফুটবল ম্যাচ। এবার মাদ্রিদ ছেড়ে রোনালদো পাড়ি জমিয়েছেন তুরিনে। রোনালদোর প্রস্থানে স্প্যানিশ লিগ তার জৌলুশ হারাবে কি না, সেই প্রশ্ন এসেই যাচ্ছে।

গত এক দশকে বিশ্বসেরা খেলোয়াড়দের দলে ভিড়িয়ে স্প্যানিশ লিগকে সেরা বানিয়েছে রিয়াল আর বার্সালোনা। শেষ কবে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল ইতালির কোনো ক্লাব? আট বছর আগে, ২০১০ সালে। ইন্টার মিলানকে ইউরোপ সেরা করেছিলেন হোসে মরিনহো। কিন্তু সেটা তো ‘স্পেশাল ওয়ানে’র জাদুতে। ২০০৭ সালে এসি মিলান যেবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতে, সিরি আর জনপ্রিয়তা হুট করে পড়ে গেল। তখনকার বিশ্বসেরা খেলোয়াড় কাকাকে নিজেদের দলে নিয়ে আসে রিয়াল মাদ্রিদ।

জুভেন্টাস থেকে জিদান যেবার রিয়ালে গেলেন, আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এল স্প্যানিশ ফুটবল। এবার চিত্রটা উল্টো। বিশ্বসেরা খেলোয়াড়কে দলে ভিড়িয়ে বড় এক চমক দিয়েছে ইতালীয় ক্লাব জুভেন্টাস। এবার সিরি ‘আ’তে দর্শক ফিরবে—এমনটা মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। শেষ চার বছরে দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছিল জুভরা। একবার বাদ পড়েছে বার্সার সঙ্গে হেরে, আরেকবার রিয়ালের বিপক্ষে। গত চার বছরে ইতালির ফুটবল হার মেনেছে স্প্যানিশ ফুটবলের কাছে। এখন যে ছবিটা বদলাবে, রোনালদো সেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে জুভেন্টাসের জার্সি গায়ে চাপাবেন নিশ্চয়ই। সিরি ‘আ’ তো বটেই, চ্যাম্পিয়নস লিগে তাঁর দল খেলবে চ্যাম্পিয়ন হতে।

সিরি ‘আ’র সুদিন ফিরছে, ভালো কথা। কিন্তু বার্সা-রিয়াল দ্বৈরথ ধরে রাখতে রিয়াল এবার কাকে দলে ভেড়াবে? রোনালদোর বিকল্প হিসেবে নেইমার-এমবাপ্পেকে দেখতে চাইবেন রিয়াল-সমর্থকেরা। নেইমার পিএসজিতে সুখী নন, এমন খবর শোনা যাচ্ছে অনেক দিন ধরে। নেইমারকে দলে ভেড়াতে পারে এমন গুঞ্জনও চলছে ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমে। শোনা যাচ্ছে এডেন হ্যাজার্ডের নামও। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার সঙ্গে টেক্কা দিতে রিয়ালের এখন দরকার বড় তারকা।

রোনালদোর বিদায়ে লা লিগায় প্রভাব ফেলবে, নাকি রিয়াল সামনে আরও বড় চমক দিতে যাচ্ছে, সেটা ঠিক হয়ে যাবে কিছুদিনের মধ্যেই। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় আছে দলবদলের।