Thank you for trying Sticky AMP!!

এবার গোলের পাশাপাশি এল জয়ও

লিগে আজ দারুণ জয় পেয়েছে রহমতগঞ্জ। ছবি: বাফুফে।

ম্যাচ শেষে রহমতগঞ্জ কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানী যেন স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন। প্রিমিয়ার লিগে এ পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলেও জয়ের দেখা পাচ্ছিল না রহমতগঞ্জ। প্রথম তিন ম্যাচে তো গোলও করতে পারেনি পুরোনো ঢাকার দলটা। সাইফ স্পোর্টিং ও আবাহনীর বিপক্ষে হেরেছে ১-০ গোলে, আর শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের সঙ্গে ম্যাচটা গোলশূন্য ড্র করে রহমতগঞ্জ। চার দিন আগে সর্বশেষ ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে গোল পেয়েছিল বটে, তবে দুর্দান্ত লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হারে রহমতগঞ্জ।

কিন্তু আজ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গোলের পাশাপাশি দাপুটে এক জয়ও পেয়েছে গোলাম জিলানীর দল। উত্তর বারিধারাকে রহমতগঞ্জ হারিয়েছে ৩-১ গোলে।

এমনিতেই লিগের তলানিতে উত্তর বারিধারা। এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচেও জয় পায়নি। একটি ম্যাচ ড্র করেছে ব্রাদার্সের সঙ্গে। কিন্তু উত্তর বারিধারার বিরুদ্ধে অভিযোগ, খেলোয়াড়রা লিগের ম্যাচ বাদ দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় খ্যাপ খেলে বেড়াচ্ছেন। মাঠেও আজ খুব একটা গোছালো ফুটবল উপহার দিতে পারেনি বারিধারা।

শুরু থেকেই আক্রমণে উঠেছে রহমতগঞ্জ। আর ২৩ মিনিটে দলের প্রথম গোলটি যেভাবে দিয়েছেন রহমতগঞ্জ স্ট্রাইকার মোমোদু বা, তাতে অনেকটাই বোকা হয়ে গেছেন উত্তর বারিধারার ডিফেন্ডাররা। বক্সের বাইরে থেকে প্রথমে মাহমুদুল হাসান ব্যাকহিলে বলটা দেন সুহেল মিয়াকে। সেই বলটি মুহূর্তেই সুহেল বাড়িয়ে দেন মোমোদু বা-র সামনে। আলতো প্লেসিংয়ে ১-০ করেন এই গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড।

১৩ মিনিট পর আবারও গোল বা-র, এবার ফ্রি-কিকে। গোল শোধে চেষ্টা ছিল উত্তর বারিধারার। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে সেই সুযোগ পেয়ে যান ল্যান্ডিং দারবোয়ে। বক্স ছেড়ে বেরিয়ে আসা রহমতগঞ্জের গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে বল তুলে দিয়েই উল্লাসে মেতে ওঠেন বারিধারার ফরোয়ার্ড। তবে তাদের সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেনি। আবারও আক্রণে ওঠে রহমতগঞ্জ, ৪৫ মিনিটে পেয়েও যায় নিজেদের তৃতীয় গোল।

গোলটি দারুণ দর্শনীয়ই। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া সিয়োভাকশ আসরোরভের ফ্রি-কিক মানবদেওয়ালের ওপর দিয়ে শূন্যে ভেসে ঢোকে জালে। উত্তর বারিধরার গোলকিপার আজাদ হোসেন শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলেন।

৫ ম্যাচে এক জয় ও এক ড্রয়ে রহমতগঞ্জের পয়েন্ট ৪। ১৩ দলের লিগে তাদের অবস্থান দশম। আর ৩ ম্যাচে তিন হার ও এক ড্রয়ে ১ পয়েন্ট নিয়ে ১২তম উত্তর বারিধারা।