Thank you for trying Sticky AMP!!

এমন অনন্য রেকর্ড হাতছাড়া করবে মিসর?

বিশ্বকাপে এখনো মাঠে নামা হয়নি নিয়মিত অধিনায়ক হাদারির! ছবি: রয়টার্স

মিসরের অধিনায়ক, দলে জায়গা তো নিশ্চিত এসাম এল-হাদারির। বিশ্বকাপের আগে সবাই তাই ধরে নেন, সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ডটা হয়তো প্রথম ম্যাচেই করে ফেলবেন ৪৫ বছর বয়সী গোলরক্ষক। কিন্তু টানা দুই ম্যাচে হেরে মিসরের বিদায়ঘণ্টা বাজলেও এখনো মাঠে নামা হয়নি এল-হাদারির। সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপে মাঠে নামার রেকর্ডটি তাই এখনো কলম্বিয়ার ফরিদ মনদ্রাগনের।

রেকর্ড ভাঙার সুযোগ অবশ্য এখনো শেষ হয়ে যায়নি এল-হাদারির। আজ সৌদি আরব-মিসর গুরুত্বহীন ম্যাচে সুযোগ পেলেই রেকর্ডটা নিজের করে নেবেন তিনি। কিন্তু বড় প্রশ্ন হলো, মিসরের কোচ হেক্টর কুপার কি সেই সুযোগটা দেবেন এল-হাদারিকে?

প্রথম রাউন্ড থেকেই বাড়ি ফেরার টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে আরব দুই দেশ মিসর ও সৌদি আরব। শেষ ম্যাচটি তাই আনুষ্ঠানিকতার হলেও দুই আরব প্রতিবেশীর কাছে অন্য রকমই। এই ম্যাচটি জিতলে অন্তত একটু মাথা উঁচু করে দেশে ফেরা যাবে। সেই ম্যাচের আগে অবশ্য এল-হাদারিকে নিয়ে মুখ বন্ধ করে আছেন কুপার। আজ ৪৫ বছর ৫ মাস ১২ দিনে পা দেওয়া গোলরক্ষককে মাঠে নামানোর কোনো ইঙ্গিতই দেননি কোচ।

বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে মিসরের বেশির ভাগ ম্যাচই খেলেছেন এল-হাদারি। কিন্তু মূল পর্ব আসতেই সেই হাদারিকে গরম করতে হচ্ছে বেঞ্চ। তাতে গুঞ্জনও কম ডালাপালা মেলেনি। এল-হাদারি নাকি কোচকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেছেন, কেন তাঁকে নেওয়া হচ্ছে না একাদশে। তবে মিসর ফুটবল ফেডারেশন অস্বীকার করেছে এমন কিছু।

১৯৯৬ সালে মিসরের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেন এল-হাদারি। এরপর জিতেছেন চারটি আফ্রিকান নেশনস কাপ। তবে বিশ্বকাপে এলেন এবারই প্রথম। ২৮ বছর পর দলকে বিশ্বকাপে ওঠানোর পর এক সাক্ষাৎকারে এল-হাদারি বলেছিলেন নিজের স্বপ্নের কথা, ‘রাশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ মেলার পরই নিজেকে আরও উঁচুতে নিয়ে যেতে কঠোর পরিশ্রম শুরু করেছি। দলের অনুশীলনে যোগ দেওয়ার আগে সকালে একবার নিজে নিজেই অনুশীলন করি। আমাকে কোনো কিছুই থামাতে পারবে না। আমার নাম বা ইতিহাস দিয়ে নয়, চেষ্টা ও অর্জন দিয়েই দলে জায়গা পেতে চাই।’

কুপার কি কাল এল-হাদারিকে সুযোগ দেবেন ইতিহাসে জায়গা করে নিতে? প্রশ্ন এখন এটাই।