Thank you for trying Sticky AMP!!

এমবাপ্পে-কাভানির ইতিহাস গড়ার রাতে নায়ক নেইমার

নেইমার-এমবাপ্পে

ফরাসি লিগে তাঁর শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। চ্যাম্পিয়নসও লিগেও পিএসজির জার্সি গায়ে শুভ আরম্ভ করলেন নেইমার। সেল্টিকের মাঠে গিয়ে ৫-০ গোলে জিতে এসেছে পিএসজি। দুটি গোলে নেইমারের নাম জড়িয়ে। গোল করেছেন, এমবাপ্পের গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন। জোড়া গোল করেছেন এডিনসন কাভানি। অন্য গোলটি আত্মঘাতী।
স্কটিশ ক্লাব সেল্টিকের আগের সেই সুদিন নেই। তবে নিজেদের মাঠে ইউরোপীয় লড়াইয়ে ৫-০ গোলে এর আগে কখনোই তারা হারেনি। পিএসজির গোল মেশিন চলছে চ্যাম্পিয়নস লিগেও। এই আশা করেই তো বিস্তর টাকা বিনিয়োগ করেছে ক্লাবটির কাতারি মালিক।
ইতিহাসের সবচেয়ে দামি দুই ট্রান্সফারের রেকর্ড ক্লাবটি গড়েছে কয়েক দিনের ব্যবধানে। প্রথমে নেইমারকে ২২০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে ভাগিয়ে এনেছে বার্সেলোনা থেকে। এরপর রিয়াল মাদ্রিদের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পে নামের বিস্ময়-কিশোরকে দলে ভিড়িয়েছে ১৮০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে। যদিও এক মৌসুমে টাকা খরচের সর্বোচ্চ সীমা পেরিয়ে যাচ্ছিল বলে বুদ্ধি করে আপাতত ধারে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে মোনাকো থেকে।
১৮ বছর বয়সী এমবাপ্পে শুরু থেকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, ভুল ঘোড়ায় বাজি ধরেনি পিএসজি। আজ নেইমারের বাড়িয়ে দেওয়া বলে কাভানির গোলমুখে ভুল শট শাপে বর হয়ে এসেছিল তাঁর জন্য। কাভানি না পারলেও এমবাপ্পে ভুল করেননি গোল করতে। প্রথম টিনএজার হিসেবে ভিন্ন দুটি ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল করার কীর্তি গড়লেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। যেন গত মৌসুমের ফর্মটাই টেনে আনলেন। গতবার চ্যাম্পিয়নস লিগে নকআউট পর্বে ৬টি গোল করেই আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন এমবাপ্পে।
তাঁর ৩৪ মিনিটের গোলটির আগেই অবশ্য পিএসজির খাতা খোলা হয়ে গিয়েছিল। ১৯ মিনিটে ঝড়ের বেগের পাল্টা আক্রমণ থেকে নেইমার দলকে এগিয়ে দেন। বার্সার হয়ে খেলার সময়ও সেল্টিকের বিপক্ষে ঝলসে উঠতেন নেইমার। এই দলের বিপক্ষে ৫ ম্যাচে নেইমারের নাম জড়িয়ে থাকল ১১ গোলে। ৫টি করেছেন, ৬টি করিয়েছেন।
নেইমার-এমবাপ্পের পরই শুরু কাভানি শো। পেনাল্টি আদায় করে নিয়ে ৪০ মিনিটে নির্ভুল নিশানায় বল পাঠিয়েছেন। প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল পিএসজি। ৮৩ মিনিটে লাস্টিগের আত্মঘাতী গোলের জ্বালা না জুড়োতেই দুই মিনিটের মধ্যে ব্যবধান ৫-০ করে ফেলেন কাভানি।
পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে ২২ গোল হয়ে গেল কাভানির। আর এতে তিনি ভেঙে দিলেন প্যারিসের ক্লাবটির হয়ে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের করা গোলের রেকর্ড (২০ গোল)।
তবে এ রাতে সবচেয়ে খুশি নিশ্চয়ই এমবাপ্পে। বয়স ১৯ পেরোনোর আগেই চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের নামের পাশে মোট ৭ গোল লেখালেন। টিনএজ বয়সে প্যাট্রিক ক্লাইভার্টও ৭ গোল করেছিলেন। এই রেকর্ড ভেঙে দেওয়া এমবাপ্পের জন্য এখন সময়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছে।

এক নজরে ফল

বার্সেলোনা ৩-০ জুভেন্টাস

সেল্টিক ০-৫ পিএসজি

চেলসি ৬-০ কারাবাগ

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৩-০ বাসেল

রোমা ০-০ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ

বেনফিকা ১-২ সিএসকেএ মস্কো

অলিম্পিয়াকস ২-৩ স্পোর্টিং লিসবন

বায়ার্ন মিউনিখ ৩-০ আন্ডারলেখট