Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনার আঘাত ঠেকাতে পারলেন না তিনি

এবার রুস্তুকে ধরণ করোনাভাইরাস
>

২০০২ বিশ্বকাপে তুরস্কের গোলরক্ষক ছিলেন তিনি। দুর্দান্ত নৈপুণ্যে দলকে তুলেছিলেন সেমিতে। এক সময় বার্সেলোনাতেও যোগ দিয়েছিলেন। তাঁকেই আক্রান্ত করেছে করোনাভাইরাস

রুস্তু রেকবারকে মনে পড়ে?

২০০২ বিশ্বকাপের চমক ছিল তুরস্ক। সেমিফাইনালে ওঠা সেই দলটার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ ছিলেন লম্বা চুলের গোলরক্ষক রুস্তু রেকবার। সে বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে বেশ ভুগিয়েছিলেন তিনি। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার স্বরূপ ২০০৩ সালে তুরস্কের ক্লাব ফেনেরবাচে থেকে নাম লিখিয়েছিলেন বার্সেলোনায়। গোলবারের অতন্দ্র প্রহরী হয়ে একের পর এক শট ঠেকিয়ে যেতেন। কিন্তু করোনাভাইরাসকে ঠেকাতে পারলেন না রেকবার। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি।

স্ত্রী ইসিল রেকবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছেন মন খারাপ করা সংবাদটা, ‘আপনাদের কোনো একটা সুখের সংবাদ জানাতে পারলে হয়তো ভালো লাগত আমার। কিন্তু সত্যের প্রতি নিষ্ঠাবান থাকতে হচ্ছে আমাকে। আমার স্বামী হাসপাতালে ভর্তি। কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছে সে।’

হুট করেই জীবনটা ওলট-পালট হয়ে গেছে রেকবার পরিবারের, জানিয়েছেন ইসিল, ‘সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। রুস্তু সুস্থ ছিল। কিন্তু হুট করে সবকিছু পালটে গেল। ওর মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিল। হুট করে সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত হলো রুস্তু। ব্যাপারগুলো এত তাড়াতাড়ি ঘটেছে যে, আমরা এখনো ধাক্কা সামলে উঠতে পারছি না। আমাদের পরিবারের অনেক কঠিন সময় এটা।’

করোনাভাইরাসকে হালকা করে না দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন ইসিল, ‘আমি, আমার ছেলে ও মেয়ে সবার ফলাফল নেগেটিভ এসেছিল। শুধু রুস্তুরটাই পজিটিভ আসল। ও এখন একা হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমরা চাইলেও ওর সঙ্গে দেখা করতে পারছি না। এটাই সবচেয়ে বড় কষ্টের বিষয়। তবে সৃষ্টিকর্তা মহান, রুস্তুও তুরস্কের ডাক্তারদের ওপর ভরসা রেখেছে। আশা করি এই কঠিন সময়টাও কেটে যাবে। ওর জন্য প্রার্থনা করবেন আপনারা। আপনারা দয়া করে করোনাভাইরাস সম্পর্কে জানুন, কেউ এটাকে হালকাভাবে নেবেন না।’

২০০৩ সালে বার্সায় এসে রোনালদিনহো-জাভি-পুয়োলদের সতীর্থ ছিলেন রেকবার। স্প্যানিশ বলতে পারতেন না, এই ‘অপরাধে’ তাঁকে দলের মূল গোলরক্ষক বানাতে চাননি তৎকালীন কোচ ফ্রাঙ্ক রাইকার্ড। ফলে কপাল খুলে যায় স্প্যানিশ গোলরক্ষক ভিক্টর ভালদেসের। তিন বছর বার্সায় থেকে মাত্র চারটা লিগ ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন রেকবার। পরে আবারও ফেনেরবাচেতে ফিরে যান ১৮ বছর ধরে তুরস্কের গোলবার আগলে রাখা এই তারকা।

শুধু বিশ্বকাপই নয়, ২০০৮ ইউরোতেও সমান উজ্জ্বল ছিলেন রেকবার। রেকবারের জাদুতেই কোয়ার্টার ফাইনালে পেনাল্টি শুট আউটে হার মানে ক্রোয়েশিয়া, তুরস্ক ওঠে সেমিতে। ৪৬ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ১২০ ম্যাচ।