Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনার মধ্যে প্রিয় দলকে এভাবে সমর্থন দিতে হয়

কোলনের স্টেডিয়ামের আসনে বিছিয়ে রাখা সমর্থকদের জার্সি। ছবি: এফসি কোলন টুইটার পেজ

সব কিছু ঠিক থাকলে হয়তো এই সময়ে গ্যালারিতে উঠতো হাজারো দর্শকের গর্জন। ভর করত ঢেউ খেলানো উন্মাদনা। সব কিছু ঠিক নেই তাই, অবতারণা ঘটল এমন মহিমাণ্বিত দৃশ্যের।

করোনাভাইরাস মহামারিতে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে খেলা ফেরানোয় 'প্রথম' হয়েছে বুন্দেসলিগা। প্রচুর স্বাস্থ্যগত নিয়মের বেড়াজালে ফুটবলকে বেঁধে মাঠে নামিয়েছে তারা। জীবাণুমুক্ত বল, গোল উদযাপনে দূরত্ব, দর্শকহীন গ্যালারি, ম্যাচের আগে বাধ্যতামূলক করোনা-পরীক্ষা, অনুশীলনে প্রতি সেশনের আগেও। এসব নিয়মে খেলাটা আর খেলা নেই।

মাঠে ফুটবলাররা খেলছেন ঠিকই কিন্তু আগের সেই উচ্ছল প্রাণটা যেন নেই! কাল ডর্টমুন্ড-শালকে ম্যাচে ছিল শশ্মানের মতো নীরবতা। আজ কোলন-মেইনজ ম্যাচেও দেখা গেল ঠিক তাই। পার্থক্য হয়ে রইল শুধু গ্যালারির আসনে বিছিয়ে রাখা সমর্থকদের জার্সিগুলো।
মাঠে দর্শক নেই তো কী হয়েছে! দর্শকদের উপস্থিতির অদ্ভূত এক বিকল্প ব্যবস্থা করেছে কোলন। মেইনজের বিপক্ষে খেলা শুরুর ঘন্টা চারেক আগে 'ভুতুড়ে দর্শক'দের মাঠে এনেছে ক্লাবটি। যেখানে সমর্থকদের শরীরটাই শুধু নেই!

জার্সি দিয়ে সমর্থকেরা যেন বোঝাতে চেয়েছেন, তারা না থেকেও আছেন! ছবি: টুইটার

কোলনের স্টেডিয়ামের গ্যালারির আসনে বিছিয়ে রাখা হয় ক্লাবের হোম, অ্যাওয়ে ও তৃতীয় আরেকটি জার্সি। কোথাও বসিয়ে রাখা হয়েছে প্লাস্টিকের 'পুতুল দর্শক।' তার মাথায় ক্লাবের টুপি, গায়ে জার্সি। কোথাও বসানো হয়েছে সমর্থকদের শার্ট ও স্কার্ফ। এত সব আয়োজনের মাধ্যমে তারা জানান দিচ্ছে যেন মাঠে বসেই প্রিয় ক্লাব কোলন এফসিকে সমর্থন দিতে ব্যস্ত দর্শকেরা। তবে করোনার মধ্যে আজ প্রথম মাঠে ফিরে জয়ের মুখ দেখেনি কোলন। ৫৩ মিনিট পর্যন্ত দুই গোলে এগিয়ে থেকেও ২-২ ব্যবধানে ড্র করেছে স্বাগতিকরা।

গ্যালারিতে সারি সারি করে রাখা সমর্থকদের স্কার্ফ। ছবি: এফসি কোলন টুইটার পেজ

গ্যালারির আসনে জার্সি বিছিয়ে রাখা নিয়ে কোলনের পক্ষ থেকে টুইটে বলা হয়, 'আমরা ভক্তদের বলেছিলাম, সামনের ম্যাচগুলোতে নিজেদের সৌভাগ্যের জার্সি কিংবা স্কার্ফ স্টেডিয়ামের আসনে রাখতে চান কি না? এখানে থেকে খেলা দেখলে যেমন লাগত বিষয়টি তেমন নয় কখনো তা হবেও না, তবু ধন্যবাদ।'