Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনা ধরা পড়েছে জেনেই আত্মহত্যা

গঞ্জালেসের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে রেঁসের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে এই ছবি।

করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে কী করবেন, সে নিয়ে অনেক কথা, অনেক আলোচনাই হচ্ছে। করোনাভাইরাস শরীরে ঢুকে গেলে কী করবেন, তা-ও পইপই করে বলে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ প্রতিটি দেশের সরকার। কিন্তু ফ্রান্সের ফুটবল ক্লাব স্তাদ দো রেঁসের ডাক্তার যা করেছেন, তা কারওই করা উচিত নয়। সেটি শুধু করোনা নয়, কখনোই করা উচিত নয়। শরীরে করোনা ধরা পড়েছে জানতে পেরেই আত্মহত্যা করেছেন রেঁসের ৬০ বছর বয়সী ডাক্তার বের্নার্দ গঞ্জালেস!

করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ টেস্টে পজিটিভ হলে আইসোলেশনে যাওয়াই সবচেয়ে ভালো উপায়। এরপর সেরে ওঠা-না ওঠা বা দ্রুত সেরে ওঠা নির্ভর করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর। ডাক্তার হিসেবে সেসব তো অন্য যে কারও চেয়ে ভালোই জানার কথা গঞ্জালেসের। কিন্তু তারপরও কেন আত্মহত্যা করেছেন তিনি, তা জানা যায়নি। জানার উপায়ও আর নেই।

‘খবরটা শুনে সবাই বিধ্বস্ত, রেঁস কাঁদছে বের্নার্দ গঞ্জালেসের জন্য। শুধু এই ক্লাবই নয়, রেঁসের শত শত নর-নারীও কাঁদছে’—আজ বিবৃতিতে লিখেছে ফ্রান্সের শীর্ষ ফুটবল লিগ লিগ আঁ-র ক্লাবটি। রেঁসের মেয়র আর্নো রোবিনে এএফপিকে বলেছেন, ‘আমি জানতে পেরেছি ডক্টর গঞ্জালেস একটা নোট লিখে গেছেন, যেখানে তিনি লিখেছেন, তিনি কোভিড-১৯ টেস্টে পজিটিভ হয়েছেন।’ চিকিৎসার সঙ্গে সম্পৃক্ত আরেকটি উৎস থেকেও এমন একটি চিঠি ছিল বলে নিশ্চিত হয়েছে সংবাদসংস্থা এএফপি। সঙ্গে এ-ও জানিয়েছে, দুদিন আগেও শারীরিকভাবে বেশ ভালো অবস্থায় ছিলে গঞ্জালেস।

১৯৫৬ সালে প্রথম ইউরোপিয়ান কাপের (বর্তমান চ্যাম্পিয়নস লিগ) ফাইনালে খেলা রেঁসে ২০ বছর ধরে কাজ করেছেন গঞ্জালেস। রেঁসের সভাপতি জাঁ-পিয়ের কাইওর শোক, ‘মহামারিটা রেঁসের হৃদয়ে আঘাত করল। দারুণ একজন মানুষ ও অসাধারণ একজন পেশাদার আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন।’

করোনাভাইরাস এ পর্যন্ত ৮ হাজারেরও বেশি প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ফ্রান্সে।