Thank you for trying Sticky AMP!!

কাতারকে বিশ্বকাপ দিতে ঘুষ নেননি ব্ল্যাটার

উয়েফার নিষিদ্ধ সভাপতি মিশেল প্লাতিনির সঙ্গে অবৈধ লেনদেনের কারণে পেয়েছেন আট বছরের নিষেধাজ্ঞা। তবে সেপ ব্ল্যাটারকে ঘিরে আরও বড় অভিযোগ, ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব কাতারকে দেওয়ার বিনিময়ে নাকি মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়েছেন। বলা ভালো, দুর্নীতির অভিযোগে গত বছর ফিফায় যে ঝড় বয়ে গেল, তার মূলেও আছে এ অভিযোগটি।
৭৯ বছর বয়সী সুইস ফুটবল সংগঠক অবশ্য সব সময়ই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন। করলেন আরও একবার। নিজের জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে ব্ল্যাটার দাবি করলেন, ২০২২ বিশ্বকাপ ঘিরে কোনো দুর্নীতি হয়নি।
গত মঙ্গলবার ফিফার নৈতিকতা কমিটি আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানিতে এসেছিলেন ব্ল্যাটার। সেখানে তাঁকে কথা বলতে হলো ছয় বছর পরের বিশ্বকাপে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েই। তবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ব্ল্যাটার উল্টো বিশ্বকাপ আয়োজনকে ঘিরে রাজনৈতিক প্রভাবের কথাই বলেছেন, ‘টাকা দিয়ে কখনো বিশ্বকাপ কেনা যায় না। শেষ পর্যন্ত এটা আসলে রাজনৈতিক প্রভাব কোথায় বেশি তার ওপরই নির্ভর করে।’
২০২২ বিশ্বকাপের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করেছে এবং সেটি নাকি এসেছে প্লাতিনির মাধ্যমেই। ২০১০ সালে আয়োজক নির্ধারণের ভোটের সময় ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি নাকি প্লাতিনিকে বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ভোট দিতে। ব্ল্যাটার জানিয়েছেন, ‘২০২২ বিশ্বকাপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় প্লাতিনি আমাকে ফোন করে বলেছিলেন, “রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছি। তিনি যদি ফ্রান্সকে সমর্থন করার উদ্দেশে আমাকে ভিন্ন কিছু করতে বলেন, আমি তা-ই করব।’ পরে আবার ফোন করে বলেন, “আমার ভোট যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে যাচ্ছে না।” অবশ্য প্লাতিনি এমন কোনো ফোনালাপ বা সারকোজির পরামর্শের কথা সব সময়ই অস্বীকার করে এসেছেন।
ব্ল্যাটার ও প্লাতিনি দুজনই গত সপ্তাহে ফিফার সদর দপ্তরে আসেন শুনানিতে অংশ নিতে। ব্ল্যাটারের শুনানি ছিল মঙ্গলবার, প্লাতিনির এর আগের দিন। এই শুনানির পর রায় আসতে পারে আগামী সপ্তাহে। তবে রায় নিয়ে ভাবছেন না ব্ল্যাটার। নিজেকে পুরো নির্দোষ দাবি করে বললেন, ‘আমি নিশ্চিত পৃথিবীতে ন্যায়বিচার এখনো আছে। আর আমিও ফৌজদারি কোনো অপরাধ করিনি। কাউকে খুন করিনি, ব্যাংকও লুট করিনি। কারও কাছ থেকে কোনো অর্থ নিইনি।’ ফক্স স্পোর্টস।