Thank you for trying Sticky AMP!!

কাতারে হবে বাংলাদেশ- আফগানিস্তান ম্যাচ?

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি হবে কাতারে! ফাইল ছবি
>১০ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন আফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফাজিল মোহাম্মদ সাহাব।

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে নিজেদের গ্রুপ দেখে বাংলাদেশ সন্তুষ্ট। কিন্তু এর মধ্যে আছে বড় উদ্বেগও। সে উদ্বেগটা হলো গ্রুপের অন্যতম দল আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু নিয়ে। সন্ত্রাসকবলিত দেশটিতে বাংলাদেশের অ্যাওয়ে ম্যাচ পড়লে সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতিই শঙ্কা তৈরি করেছিল বাংলাদেশের ফুটবল মহলে। তবে এ ব্যাপারে আফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশন প্রথম আলোকে জানিয়েছে,ম্যাচটি কাবুল বা অন্য কোনো আফগান শহরে আয়োজনের পরিকল্পনা তাদের নেই। এ ম্যাচের জন্য বেছে নেওয়া হবে কাতারের দোহা বা আরব আমিরাতের কোনো শহর।

আগামী ১০ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়েই শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ মিশন। আফগান ফুটবল ফেডারেশনের সম্পাদক ফাজিল মোহাম্মদ সাহাব ভেন্যু নিয়ে বাংলাদেশকে আশ্বস্তই করেছেন, ‘আমরা কাতারের রাজধানী দোহাকে ভেন্যু হিসেবে বেছে নিয়েছি। সেখানেই আমরা হোম ম্যাচ আয়োজন করব। আর আফগানিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচ দোহায় হবে তা প্রায় নিশ্চিত। তবে কোনো কারণে দোহায় ম্যাচ আয়োজন সম্ভব না হলে আমাদের দ্বিতীয় পছন্দ আরব আমিরাতের কোনো শহর।’

আফগানিস্তান গত বছর আগস্টে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে কাবুলে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল। বাফুফের শঙ্কা ছিল তারা আবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি কাবুলে না ফেলে! একবার ফিফা অনুমোদন দিয়ে দিলে বাংলাদেশকে সে ম্যাচটি খেলতে যেতে হতোই। ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা এসব ব্যাপারে খুবই কড়া। ফেডারেশন জাতীয় দলকে আফগানিস্তান পাঠান বা না পাঠাক, কোচ জেমি ডে জানিয়ে দিয়েছিলেন দল গেলেও তিনি সন্ত্রাসকবলিত দেশটিতে যাবেন না।

এদিকে আগামী ৫ সেপ্টেম্বরে দোহায় ইরানের সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচের সম্ভাবনা আছে। ইরানি পত্রিকা তেহরান টাইমস জানিয়েছে, ইরান নাকি বাংলাদেশের বিপক্ষে এ ম্যাচটি খেলার ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহী। দুই ফেডারেশনে ম্যাচটি নিয়ে আলোচনা চলছে বলেও পত্রিকাটি জানিয়েছিল। বাফুফেও ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছিল। তবে ম্যাচটি হবে কিনা, সেটি নিশ্চিত হবে আর কিছুদিন পর।

আফগানিস্তান ম্যাচ সামনে রেখে কবে নাগাদ জাতীয় দলের প্রস্তুতি শুরু হবে, তা ঠিক হয়নি। ৩০ জুলাই প্রিমিয়ার লিগ শেষ হওয়ার পরপরই আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম দিকে ঈদুল আজহা। ঈদের জন্য ১০-১২ দিন ছুটি শেষে সম্ভবত আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে প্রস্তুতিতে নেমে পড়বে বাংলাদেশ। তত দিনে জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে ঢাকায় ফিরবেন ইংল্যান্ডে ছুটি কাটিয়ে।