Thank you for trying Sticky AMP!!

কে এই নতুন রোনালদো?

নতুন পর্তুগিজ সেনসেশন জোয়াও ফেলিক্স। ফাইল ছবি

রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনা। বায়ার্ন মিউনিখ। লিভারপুল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ম্যানচেস্টার সিটি। জুভেন্টাস। 

তাঁর নামের সঙ্গে এই ক্লাবগুলোর কোনো একটি অথবা কয়েকটিকে একসঙ্গে জড়িয়ে গুঞ্জন বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে, সে-ও মাস কয়েক হলো। ‘নতুন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো’ নাম পেয়েছেন আরও অনেক আগেই। তাঁর প্রতিভা আর ইউরোপের শীর্ষ সব ক্লাবের আগ্রহ দেখেই তাঁর ক্লাব বেনফিকা চুক্তির ‘রিলিজ ক্লজ’ বাড়িয়ে করেছে ১২ কোটি ইউরো! মাত্র ১৯ বছর বয়সী এক ফরোয়ার্ডের জন্য এত দাম!

কিন্তু কেন এত দাম, সেটি পরশু রাতেই হয়তো প্রমাণ দিলেন জোয়াও ফেলিক্স। ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে জার্মানির এইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে বেনফিকা, তাতে ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক ফেলিক্সের। রেকর্ডও হয়েছে—পরশু তাঁর বয়স ছিল ১৯ বছর ১৫২ দিন, ইউরোপা লিগে এর চেয়ে কম বয়সে কারও হ্যাটট্রিক নেই। ইউরোপা লিগের গণ্ডি ছাড়িয়ে ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টে পর্তুগিজদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সে হ্যাটট্রিকের রেকর্ডও হয়েছে। সেটি এত দিন কার দখলে ছিল? পর্তুগাল কিংবদন্তি ইউসেবিওর (২০ বছর ৩০১ দিন)।

২১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল, ৫৪ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ। মাঝখানে ৪৩ মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে জোরালো শটে যে গোলটি করেছেন, সেটি চোখে লেগে থাকার মতো। দলের অন্য গোলটিতেও শেষ পাস তাঁরই। ম্যাচ শেষে ধারাভাষ্যকার বলছিলেন, ‘এই সেই রাত, যে রাতে ও বিশ্বের কাছে নিজেকে চিনিয়েছে।’

পরশু গ্যালারিতে বসেছিলেন ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোর অনেক ‘স্কাউট’ও। সবাই তাঁকেই দেখতে এসেছেন এমন নিশ্চিত করে বলা যায় না, ফ্রাঙ্কফুর্টের লুকা ইয়োভিচের দিকেও নজর হয়তো ছিল। এই মৌসুমে ইউরোপে চমক দেখানো ইয়োভিচও একটা গোল করেছেন। তা যাঁকেই দেখতে আসুন, ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোর স্কাউটদের ডায়েরিতে একটা নাম নিয়েই গবেষণা আরও বেড়েছে পরশু রাতের পর—জোয়াও ফেলিক্স!

চারদিকে ফেলিক্স-বন্দনা হওয়াই স্বাভাবিক, তবে বেনফিকা কোচ ব্রুনু লাজের তা সম্ভবত পছন্দ হচ্ছে না। উচ্ছ্বাসে রাশ টানছেন পর্তুগিজ কোচ, ‘ও আজ গোল করতে না পারলে সবাই বলত ওর ফর্ম খারাপ যাচ্ছে। কিন্তু ৩ গোল করায় সবাই বলছে, ও উড়ছে! আসুন, সবকিছু সহজভাবেই নিই আমরা। ওকে আরও উন্নতি করতে দিন, উপভোগ করতে দিন। একদিন হয়তো ও ৩ গোল করল, অন্য দিন একটাও করতে পারবে না। স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে উঠতে দিন ওকে।’

এই স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে দেওয়ার আকুতি করাই স্বাভাবিক। এখনই রোনালদোর সঙ্গে মিলিয়ে ফেললে যে অন্তহীন চাপ তৈরি হয়ে যাবে, সেটা সামলাতে পারবেন তো এই তরুণ?

রোনালদোর সঙ্গে অবশ্য তাঁর মিলের চেয়ে অমিলই বেশি। রোনালদো শুরুটা করেছিলেন স্পোর্টিং দিয়ে, ফেলিক্স মূলত পোর্তোর আবিষ্কার, যদিও পেশাদার ফুটবলে যাত্রা শুরুর আগেই ভিড়ে গিয়েছিলেন বেনফিকায়।

মূলত তিনি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবেই যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু স্ট্রাইকার বা উইঙ্গার পজিশনেও খেলতে পারেন অনায়াসে। এবারের পর্তুগিজ প্রিমিয়ার লিগে ২০ ম্যাচে করেছেন ১০ গোল। এর সঙ্গে ইউরোপা লিগে হ্যাটট্রিক মিলিয়ে গোলসংখ্যা মোট ১৫। তাঁর ওপর চোখ তো পড়বেই। সবচেয়ে আগ্রহী নাকি রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনা!