Thank you for trying Sticky AMP!!

উরুগুয়ের বিপক্ষে গোটা ম্যাচেই মেসি ছিলেন দুর্দান্ত

কোপায় অনন্য রেকর্ড মেসির

একটা অ্যাসিস্টের যে কত বড় মাহাত্ম্য!

বাঁ প্রান্ত থেকে মেসির মাপা ক্রসে মাথা না ঠেকিয়ে জো ছিল না গিদো রদ্রিগেজের। সেই গোলে উরুগুয়ের মতো শক্তিশালী দল হেরেছে তো বটেই, টানা তিন ম্যাচ ড্র করা আর্জেন্টিনা আত্মবিশ্বাসও ফিরিয়েছে এই এক গোলের মাধ্যমে। ওদিকে গিদো রদ্রিগেজও হয়তো আগামী কয়েক ম্যাচের জন্য জায়গা পাকা করে নিয়েছেন এই এক গোলের মাধ্যমে।

অধিনায়কসুলভ পারফরম্যান্সই দেখাচ্ছেন মেসি

মেসির অ্যাসিস্টের মাহাত্ম্য কি এতটুকুতেই থেমে থাকছে? অবশ্যই নয়! আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে এ নিয়ে ১০টি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলেছেন মেসি। এই অ্যাসিস্টের মাধ্যমে প্রতিটি টুর্নামেন্টেই গোলে সহায়তা করা হয়ে গেল তাঁর। চার বিশ্বকাপে খেলেছেন (২০০৬, ২০১০, ২০১৪, ২০১৮), খেলেছেন ছয়টি কোপা আমেরিকায় (২০০৭, ২০১১, ২০১৫, ২০১৬, ২০১৯, ২০২১)। প্রতিটি টুর্নামেন্টেই অন্তত একটিবার সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়েছেন।

এর মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন ২০১৬ সালের কোপায়, যেবার সতীর্থদের দিয়ে চারটি গোল করিয়েছিলেন মেসি। ২০১১ আর ২০১৫ কোপায় গোল করিয়েছেন তিনবার। এবার দুই ম্যাচেই একবার গোল করানো হয়ে গেছে তাঁর। আর্জেন্টিনা যদি ফাইনালে ওঠার আশা করে, সে ক্ষেত্রে মেসিকে ২০১৬ সালের রেকর্ডটা ভাঙতে হতেও পারে!

এবার কোপায় দুই ম্যাচ খেলে একটি গোল সহায়তার পাশাপাশি নিজেও চিলির বিপক্ষে একটি গোল করেছেন। সফল ড্রিবলের তালিকাতেও তাঁর নাম সবার ওপরে। ১২টি সফল ড্রিবল করা মেসির আগে কেউ নেই। দুই ম্যাচেই হয়েছেন ম্যাচসেরা। আর্জেন্টিনাকে এই শেষবেলায় একটা শিরোপা এনে দেওয়ার জন্য কতটা উন্মুখ তিনি, বুঝছেন তো?

আগের ম্যাচে দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিকে গোলও করেছেন

উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটার কথাই ধরা যাক। একটি গোলে সহায়তা করার পাশাপাশি এক ম্যাচেই সফল ড্রিবল করেছেন নয়বার, সবচেয়ে বেশি ফাউলের শিকার হয়েছেন (৫), ডুয়েলেও জিতেছেন সবচেয়ে বেশি (১৫)। ৪৭টা পাস দিতে গিয়ে সফল হয়েছেন ৪০ বার। ‘কি পাস’ দিয়েছেন চারটি। গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন পাঁচবার। নিজে গোলমুখে শট নিয়েছেন দুবার। একবার ভেবে দেখুন, লাওতারো মার্তিনেজ কিংবা নিকোলাস গঞ্জালেসরা যদি সুযোগ নষ্ট না করতেন, জয়ের ব্যবধানটা আরও কত বড় হতে পারত আর্জেন্টিনার!

শুধু সৃষ্টিশীলতার দিক দিয়েই নয়, বল কেড়ে নেওয়ার ব্যাপারেও দায়িত্ব দেখিয়েছেন। ট্যাকল করেছেন একবার, প্রতিপক্ষের পা থেকে বল উদ্ধার করেছেন দুবার। আসল ‘অলরাউন্ডার’-এর মতো পারফরম্যান্স বুঝি একেই বলে!

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, এই এক গোল অ্যাসিস্ট দিয়েই কোপার ইতিহাসের সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টদাতা হয়ে গিয়েছেন মেসি। ১৩টি অ্যাসিস্ট এখন তাঁর। টুর্নামেন্ট যত এগোবে, এ সংখ্যা বাড়ানোর জন্য মেসির আরও বেশি উদ্‌গ্রীব থাকবেন, এ কথা না বলে দিলেও চলছে।