Thank you for trying Sticky AMP!!

কাভালা এফসির মাঠ আনথি কারাজিয়ান্নি মিউনিসিপ্যাল স্টেডিয়াম

ক্লাবে ফুটবলার ৩ জন, একাদশ গড়তে ডাক এলাকার বক্সার আর বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের

‘কেউ মরে বিল সেচে, কেউ খায় কই।’

বাংলা এই প্রবাদের মতো সমস্যায় পড়েছে গ্রিসের দ্বিতীয় বিভাগীয় ক্লাব কাভালা। লিগে বাকি ক্লাবগুলো ঠিকই ম্যাচের পর ম্যাচ দল গড়ছে। অন্তত একাদশ সাজাতে কারও সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু কাভালার এ সংগতিটুকুও নেই!

রোববার লিগ ম্যাচে মাঠে নামবে ক্লাবটি। পর্যাপ্ত ফুটবলার না থাকায় কিকবক্সার ও বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের নিয়ে একাদশ গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাভালা। ক্লাবটির জেনারেল ম্যানেজার সংবাদ সংস্থা এএফপিকে খবরটি নিশ্চিত করেন।

গ্রিসের রেডিও স্টেশন ‘মেট্রোপলিস ৯৫.৫ এফএম’কে কাভালার জেনারেল ম্যানেজার কস্তাস মানাফিস বলেন, তিন-চার মাস ধরে যা ঘটছে, তা নজিরবিহীন। মানাফিস জানিয়েছে, আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ডুবতে বসেছে দল। এ ছাড়া নতুন খেলোয়াড় সই করাতে না পারায় এখন দলে খেলানোর মতো মাত্র তিনজন ফুটবলার আছেন।

একাদশ গড়তেই হিমশিম খাচ্ছে কাভালা এফসি

এই ঘাটতি পূরণে কিকবক্সার ও বাস্কেটবলের মতো অন্য খেলার খেলোয়াড় দিয়ে দল সাজানোর কারণ ব্যাখ্যায় মানাফিস বলেন, ‘পেশাদার দল হিসেবে আমরা তো আর অপেশাদার খেলোয়াড় (ফুটবলার) নিতে পারি না। তাই কিকবক্সিং ও বাস্কেটবলের অ্যাথলেটদের সাহায্য চেয়েছি আমরা। তারা কাভালার বাসিন্দা এবং সাহায্য করতে উন্মুখ।’

এর আগে মৌসুমে নিজেদের প্রথম দুটি ম্যাচ খেলেনি কাভালা। দল মাঠে নামানোর মতো পর্যাপ্ত খেলোয়াড় ছিল না ক্লাবটির। মানাফিস এ নিয়ে বলেন, ‘আমরা আদালতে গিয়ে দুটি ম্যাচ আবার খেলার সুযোগ দেওয়ার আবেদন করব। ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা এই খেলোয়াড়দের নিয়েই খেলব। তখন আমরা দলবদল করতে পারব। তাতে আর পয়েন্ট হারাতে হবে না।’

তিনটি ক্লাব একীভূত করে ১৯৬৫ সালে কাভালা ক্লাব গড়া হয়। ২০১০-১১ মৌসুমে সর্বশেষ গ্রিসের শীর্ষ বিভাগে খেলেছে কাভালা।