Thank you for trying Sticky AMP!!

খেলোয়াড় কিনতে চাওয়ায় বার্সেলোনা কোচকে হুমকি

ডিপাইকে পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন কোমান।

রোনাল্ড কোমান এক ভয়ংকর ভুল করেছেন। এবারের দলবদলের মৌসুমে দলে স্ট্রাইকার হিসেবে তাঁর মনে ধরেছিল স্বদেশি মেম্ফিস ডিপাইকে। তাই বার্সেলোনার আক্রমণভাগে শূন্যস্থান পূরণে লিওঁ থেকে আনার চেষ্টা করেছিলেন তাঁকে। ডিপাইয়ের ক্লাবও রাজি হয়ে গিয়েছিল তাঁকে বিক্রি করতে। চুক্তির মাত্র এক মৌসুম বাকি, এমন অবস্থায় বিক্রি করে দেওয়াটাই তো ভালো! কিন্তু সবকিছু ঠিক হওয়ার পরও ডিপাইকে নিতে পারেনি বার্সেলোনা। এই ফরোয়ার্ডের জন্য নির্ধারিত ১৫ মিলিয়ন ইউরো জোগাড় করতে পারেনি করোনায় আর্থিক দুর্দশায় পড়া ক্লাবটি।

গ্রীষ্মের দলবদলে ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েননি কোমান। জানুয়ারিতেই নতুন কোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবেন ডিপাই। কোমান আগাম চুক্তি নয়, পারলে একেবারে তখনই নিয়ে যাবেন পছন্দের খেলোয়াড়কে। এখনো ডিপাইকে পাওয়ার ইচ্ছার কথা জানাতে কোনো রাখঢাক করেন না। কিন্তু এভাবে একজন খেলোয়াড়কে পাওয়ার ইচ্ছা জানানো মানে, তাঁর বর্তমান ক্লাব নিয়ে অমনোযোগী করে তোলা। আর এটাই খেপিয়েছে রুডি গার্সিয়াকে। লিওঁকে গতবার চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে তোলা এই কোচ তাই হুমকি দিয়েছেন, দেখা হলে কোমানকে ধারালো স্পাইক দিয়ে খোঁচাবেন!

কোমানের ওপর খেপে উঠেছেন গার্সিয়া।

যত সহজে ধারালো স্পাইকের কথা বলা হলো, তাতে গার্সিয়ার ক্ষোভের তীব্রতা টের পাওয়া যাচ্ছে না। সেপ্টেম্বরে দল বদলানোর সব চেষ্টা করেছিলেন ডিপাই। সবকিছু ঠিক হয়ে যাওয়ার পরও দল বদলাতে পারেননি। পরে এ নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে অকপটেই বলেছিলেন, ‘চুক্তিটি প্রায় সম্পন্নই হয়ে গিয়েছিল। আমি পুরো বিষয়টি বলতে চাচ্ছি না। তবে এটি মূলত সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে কিছু ঘটেছিল। জীবনে এমন ঘটে।’ সেটা ভুলে এ মৌসুমে লিওঁর হয়ে সর্বোচ্চ দেওয়ার প্রতিজ্ঞাও করেছিলেন। নিজের সেরা অস্ত্রকে হারানোর ভয়ে থাকা গার্সিয়াও ব্যাপারটা ভুলে যেতে চেয়েছিলেন।

কোমান তাঁকে ভুলতে দিলে তো! মৌসুম পুরোদমে শুরু হওয়ার পরও ডিপাইয়ের শোক ভোলেননি কোমান। নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের কোচ থাকার সময়টায় তাঁর অধীনে আলো ছড়িয়েছেন ডিপাই, যে কারণে তাঁকে একসময় কিনেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, সে প্রতিশ্রুতি যেন বাস্তবে দেখা দিচ্ছে অবশেষে। তাই ডিপাইকে বার্সেলোনায় আনার ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ দেখিয়েছেন কোমান, ‘সম্ভাবনা আছে (জানুয়ারিতে ডিপাইকে কেনার)। আমি অবশ্যই চেষ্টা করব, কারণ, তাকে বার্সেলোনায় চাই। তবে ক্লাবের আর্থিক অবস্থা তখন কেমন থাকবে, তা জানি না। অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।’

স্ট্রাইকার হিসেবে গ্রিজমান বা ব্রাথওয়েটের ওপর ভরসা পাচ্ছেন না কোমান।

এভাবে বারবার নিজের খেলোয়াড়কে টানার চেষ্টা সহ্য হচ্ছে না গার্সিয়ার। গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ডিপাইয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই তাই খেপে উঠলেন এই কোচ। রাগে ফেটে পড়ে বললেন, ‘রোনাল্ড কোমানের সঙ্গে দেখা হলে মনে করিয়ে দেবেন। এখন সময় আসেনি। নিশ্চিন্তে থাকুন, সুযোগ আসবেই। ১৮ সেন্টিমিটার লম্বা স্পাইক আমার বুটে সব সময় থাকে। যখন সময় হবে, তখন আমি আমার সবচেয়ে ভালো বুটটাই পরব (খোঁচানোর জন্য)।’

বার্সেলোনায় যাওয়ার ইচ্ছা পূরণ না হলেও মাঠে এর কোনো ছাপ ফেলতে দেননি ডিপাই। এ মৌসুমে এর মধ্যেই পাঁচটি গোল করেছেন, সতীর্থদের দিয়ে তিনটি গোল করিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। মাঝে চোটে পড়ার পরও এমন পারফরম্যান্স তাঁর। গার্সিয়ার মুখে তাই ডিপাইয়ের প্রশংসা, ‘লম্বা চোটের পর সেরে উঠতে সময় লেগেছে...আমরা আশা করছিলাম ও ভালো করবে, যতটা এখন করছে। সে খুব ভালো ফর্মে আছে, সে দারুণ খেলোয়াড় ও অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বটা ভালোভাবেই পালন করছে।’