Thank you for trying Sticky AMP!!

গোল না খাওয়ার মন্ত্রে জয়ী দুই দল

রাতের ম্যাচও শেষ হলো সমতায়। সৌজন্য ছবি
>হার এড়াতে পারলেই বসুন্ধরা কিংসের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত। আর কলিন্দ্রেসদের বিপক্ষে ড্র করে মাঠ ছাড়তে পারলেই সন্তুষ্ট মনে হয়েছে শেখ রাসেলকে। পূরণ হয়েছে দুই দলের ‘লক্ষ্যই’

হার এড়াতে পারলেই বসুন্ধরা কিংসের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত। আর কলিন্দ্রেসদের বিপক্ষে ড্র করে মাঠ ছাড়তে পারলেই যেন খুশি শেখ রাসেল। পূরণ হয়েছে দুই দলের ‘লক্ষ্যই’। গোলশূন্য এক ম্যাচ উপহার দিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছে দুই দল। এখন গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শেখ জামালের বিপক্ষে হার এড়াতে পারলেই ‘গ্রুপ অব ডেথ’ থেকে শেষ আটে পা রাখবে শেখ রাসেল। যেহেতু বসুন্ধরার বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছিল জামাল।

তাই বলে কোনো গোলরক্ষকের-ই একবার পরীক্ষা হবে না! ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই এই স্বগতোক্তি শোনালেন একজন। বসুন্ধরা কিংস ও শেখ রাসেলের মধ্যকার ম্যাচের সারাংশ এটাই। না জিতলেও চলবে, এই মনোভাব নিয়েই যেন খেলল দুই দল। খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষাতেও তাই মনে হলো।

ফেডারেশন কাপে সেমিফাইনালে শেখ রাসেলের বিপক্ষে বসুন্ধরার ১-০ গোলের জয়ের ম্যাচটি ছিল অপূর্ব। কিন্তু আজকের ম্যাচটির হাইলাইটস দেখতে বসলে অধৈর্য হতে হবে নিশ্চিত। যত ইতিবাচক ফুটবল সমর্থকই হন না কেন, দুইটির বেশি মুভ মনে ধরবে না। প্রথমার্ধের ১৪ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে মতিন মিয়ার ক্রসে গোলমুখ থেকে ঠিকঠাক পা লাগাতে পারেনি মাসুক মিয়া জনি। আর দ্বিতীয়ার্ধে রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা তারকা কোস্টারিকান কলিন্দ্রেসের একটি জোরালো শট। যা কিনা আবার জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকেই আরামে ফিস্ট করেছেন রাসেল গোলরক্ষক আশরাফুল রানা।

তবে বঙ্গবন্ধুতে আজ সন্ধ্যার দুই দলের মধ্যে ‘কৌশলগত লড়াই’ হয়েছে বলাই যায়। শেখ রাসেলের ডাগ আউটে দেশের অন্যতম সেরা কোচ সাইফুল বারি টিটু আর বসুন্ধরার ডাগ আউটে স্প্যানিশ অস্কার ব্রুজোন। প্রথম জনের ডিফেন্ডিং ট্যাকটিকসের জুড়ি নেই। অন্যদিকে অস্কার আক্রমণের পূজারি। কিন্তু অস্কারের শিষ্যদের বিপক্ষে বাজে গোল খাওয়ার বদ অভ্যাসের অভিযোগ উঠেছে বলেই স্বাধীনতা কাপের শুরু থেকে তাঁরা বেশ সতর্ক। আক্রমণে তাঁদের দুই সাইড ব্যাকের অংশগ্রহণ না করাটা তাই ভালোভাবেই চোখে পড়ছে।

বলের দখলে এগিয়ে ছিল বসুন্ধরা। নিজেদের মধ্যে পাসের পর পাসের মালা গেঁথেছে। কিন্তু তা শুধু দেখার জন্যই সুন্দর, প্রতিপক্ষের জন্য কোনো হুমকিই নয়। হুমকি হয়ে ওঠার সুযোগ না দেওয়াটাই টিটুর কারিশমা। নিয়মিত হোল্ডিং মিডফিল্ডার সোহেল রানা নেই। তাঁর স্থলে খেলানো হলো সেন্টার ব্যাক আরিফুল ইসলামকে। রক্ষণভাগকে ভালোই ছায়া দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এই ডিফেন্ডার। তাঁর ওপরেই ছিল কলিন্দ্রেসকে বাড়তি পাহারায় রাখার দায়িত্ব।

বসুন্ধরা অ্যাটাকিং থার্ডে আসলেই টাইট জোনাল মার্কিং। নয়জন মিলে মিডল করিডরে পায়ের জঙ্গল বানিয়ে রেখেছিল। এর পাল্টা কৌশল হিসেবে উইং দিয়ে খেলা ছড়িয়ে দিতে হবে, তা অজানা ছিল না স্প্যানিশ কোচ অস্কারের। চেষ্টায় কমতি থাকলেও উইং প্লে ছিল। কিন্তু পুরো ম্যাচেই রাসেলের দুই উইং নিচে নেমে এসে বাড়তি সুরক্ষা দিয়েছে দলকে। ফলে এই কৌশলেও মার খেয়েছেন অস্কার।

ম্যাচ শেষে তাই শিষ্যদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন রাসেল কোচ সাইফুল বারি, ‘যে কোনো টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে পয়েন্ট পাওয়াটা ভালো দিক। সেটা ড্র হলেও ভালো। আমাদের খেলোয়াড়েরা ফেডারেশন কাপের চেয়ে এখন অনেক উন্নতি করেছে। ফেডারেশন কাপে বসুন্ধরার বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিলাম। আজ ওরা আমাদের তেমন বিপদেই ফেলতে পারেনি।’