Thank you for trying Sticky AMP!!

চুল কাটার শাস্তি পেয়ে খেপে গেলেন তিনি

এই ছবিই ফাঁসিয়েছে সানচোদের। ছবি: টুইটার
>লকডাউন ভেঙে চুল কাটায় শাস্তি পেয়েছেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ইংলিশ উইঙ্গার জাডন সানচো। ব্যাপারটা একদম ভালো লাগেনি তাঁর

শুধু অনুশীলনের জন্য বাসা থেকে বের হয়ে মাঠে আসা যাবে। তাও পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সাপেক্ষে। এর বাইরে পুরোপুরি লকডাউন মেনে চলতে হবে।


তাও ফুটবলাররা প্রায় সময়েই এই নিয়ম ভঙ্গ করছেন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোই যেমন, কিছুদিন আগে আঠারজনকে বাসায় ডেকে ভাগ্নির জন্মদিন উদ্‌যাপন করে তোপের মুখে পড়েছিলেন। রিয়াল মাদ্রিদের লুকা জোভিচ বান্ধবীর কাছে গিয়ে এখন জেলে যাওয়ার শঙ্কায়। বাসায় নাপিত ডেকে চুল কেটে সমালোচনার মুখে পড়েছেন টটেনহামের সার্জ অরিয়ের। এবার অরিয়েরের পথ ধরে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের দুই তারকা ইংলিশ উইঙ্গার জাডন সানচো ও সুইস ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল আকাঞ্জি। জরিমানা গুনতে হয়েছে তাঁদের।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই যুগে সানচো-আকাঞ্জির চুল কাটার ছবি ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। চুল কেটেছেন তো বটেই, তাঁর ওপর মুখে মাস্কও ছিল না। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। শাস্তির মুখে পড়েছেন এই দুজন।

জার্মান লিগ কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, জরিমানা করা হয়েছে ওই দুজনকে। তবে আশার কথা, শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য পাঁচ দিন সময় পাচ্ছেন সানচো-আকাঞ্জি। বুন্দেসলিগা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‌'সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্নতাবিধি ভঙ্গ করার দায়ে জার্মান লিগ কর্তৃপক্ষ বাসায় চুল কাটার ব্যবস্থা করা জাডন সানচো ও ম্যানুয়েল আকাঞ্জিকে জরিমানা করছে। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করার অবকাশ নেই যে খেলোয়াড়েরা চুল কাটতে পারবে কী না, কিন্তু সেটা অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে করতে হবে। কিছুক্ষেত্রে ক্লাবের সহযোগিতা নিয়ে এ ধরনের কাজ করা যেতে পারে। সঙ্গত কারণেই কত টাকার জরিমানা করা হয়েছে সেটা উল্লেখ করা হচ্ছে না। তবে খেলোয়াড়েরা চাইলে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারেন।'

ছবি প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার কারণেই মূলত ফেঁসেছেন সানচো আর আকাঞ্জি। না হয় জার্মান দৈনিক বিল্ডের খবর, শুধু এ দুজনই নন, চুল কেটেছেন লেফটব্যাক রাফায়েল গেরেরো, ডিফেন্ডার ড্যান-অ্যাক্সেল জাগাদু, উইঙ্গার থরগান হ্যাজার্ড ও মিডফিল্ডার অ্যাক্সেল উইটসেলও। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে লিগ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রমাণ না থাকার কারণে বেঁচে গেছেন তাঁরা। ছয়জন মিলে জার্মানির বিখ্যাত নরসুন্দর উইনি নানা কারকারির কাছে চুল কাটিয়েছেন গত বৃহস্পতিবার। ডর্টমুন্ড নিজেও জানিয়েছে, মাস্ক পরে যদি খেলোয়াড়েরা সেবা নিতেন, তাহলে হয়তো এ সমস্যাটা হত না।

এদিকে উইনি কারকারি জানিয়েছেন, কাজের সময় সবার মুখে মাস্ক পরাই ছিল। শুধু ছবি তোলার সময়ে মাস্ক খুলে পোজ দিয়েছে তাঁরা।

গোটা ব্যাপারটাই এদিকে হাস্যকর লাগছে উইঙ্গার জাডন সানচোর কাছে। লিগ কর্তৃপক্ষের ওপর একটু খেপেও গেছেন তিনি। টুইটারে মাথা নাড়ার ইমোজি দিয়ে লিখেছেন, 'ডিএফএল কর্তৃপক্ষ আসলেই একটা ভাঁড়!'