Thank you for trying Sticky AMP!!

ম্যাচের আগেই এরিকসেনের বিশাল ১০ নম্বর জার্সি রাখা হয় মাঠের মাঝে।

ছবিতে ছবিতে এরিকসেনে উজ্জ্বীবিত ডেনমার্কের দারুণ লড়াই আর বেলজিয়ামের জয়

ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন হাসপাতালে। ম্যাচের আগে ডেনমার্কের কোচ কাসপার হিউলমান্দ বলছিলেন, এরিকসেন নিশ্চিত হাসপাতালে ম্যাচের জার্সি পরেই দলের খেলা দেখতে বসবেন। ডেনমার্কের অধিনায়ক সিমন কিয়েরও ম্যাচের আগে বলে রেখেছিলেন, এরিকসেনকে কিছুটা সুস্থ দেখে তাঁরা আগের চেয়ে নির্ভার আছেন। বেলজিয়ামের বিপক্ষে ইউরোতে আজ কোপেনহেগেনে ম্যাচটা এরিকসেনের জন্যেই খেলতে নামবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন কিয়ের।

ডেনমার্ক কী দারুণই না খেলেছে! ম্যাচের অনেকটা সময় পর্যন্ত মনেই হয়নি, ড্যানিশদের প্রতিপক্ষ বর্তমানে র‍্যাঙ্কিংয়ের সেরা দল বেলজিয়াম! ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে এগিয়েও গিয়েছিল ডেনমার্ক, প্রথমার্ধে পাত্তাই দেয়নি বেলজিয়ামকে।

কিন্তু চোট কাটিয়ে ফেরা কেভিন ডি ব্রুইনা দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নামতেই বদলে যায় হিসেব-নিকেশ। প্রথমে থরগান হ্যাজার্ডকে দিয়ে গোল করালেন ডি ব্রুইনা, পরে এদেন হ্যাজার্ডের পাস থেকে করলেন বেলজিয়ামের দ্বিতীয় গোল। বেলজিয়াম জিতল ২-১ গোলে।

ডেনমার্ক অধিনায়ক কিয়েরের হাতে এরিকসেনের জার্সি। জার্সি নম্বরের নিচে ড্যানিশ ভাষায় লেখা কথাটা বাংলায় দাঁড়ায়, 'দ্রুত সেরে ওঠো।'
ডেনমার্কের পাশাপাশি বেলজিয়ামের সমর্থকেরাও ভালোবাসায় ভাসিয়েছেন এরিকসেনকে।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিট। দারুণ শুরু ডেনমার্কের। পোলসেনের শট জড়িয়ে যাচ্ছে বেলজিয়ামের জালে।
পোলসেনের উল্লাস। তাঁকে ঘিরে সতীর্থদের উচ্ছ্বাস।
ম্যাচের দশম মিনিট। ডেনমার্কে এরিকসেনের জার্সি নম্বর দশ, সে কারণে ম্যাচের দশম মিনিটে তাঁর জন্যে করতালি বাজায় পুরো স্টেডিয়াম। ছবিতে করতালি বাজাচ্ছেন ডেনমার্ক অধিনায়ক কিয়ের ও ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানে এরিকসেনের সতীর্থ বেলজিয়ান স্ট্রাইকার লুকাকু।
প্রথমার্ধে বেলজিয়ামকে পুরো বিবশ করে রেখেছিল ডেনমার্ক। লুকাকুরা তখন তেমন কোনো সুযোগই পাননি।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া বদল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডে দ্রিস মের্তেনসকে উঠিয়ে কেভিন ডি ব্রুইনাকে নামায় বেলজিয়াম।
৫৪ মিনিট। সমতায় বেলজিয়াম! বদলি নামা ডি ব্রুইনার পাস ধরে দলকে সমতায় ফেরান থরগান হ্যাজার্ড।
তখনো গোল করেননি তিনি। ডি ব্রুইনার এই উদ্‌যাপন থরগান হ্যাজার্ডকে দিয়ে গোল করিয়ে। তবে কিছুক্ষণ পরই নিজেও গোল পেয়েছেন বেলজিয়ান প্লেমেকার।
ডি ব্রুইনার পাশাপাশি চোট কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে বেলজিয়ামের হয়ে মাঠে ফিরেছেন এডেন হ্যাজার্ডও।
৭০ মিনিট। বেলজিয়ামের দ্বিতীয় গোলের উচ্ছ্বাস। হ্যাজার্ডের পাস ধরে দলকে এগিয়ে দিলেন ডি ব্রুইনা। তাঁকে ঘিরেই দলের উদ্‌যাপন।
ডি ব্রুইনা চোট কাটিয়ে ফিরে গোল করানোর পর নিজেও করেছেন। প্রত্যাবর্তন একেই বলে!
জয়ের পর সমর্থকদের অভিবাদন পেলেন বেলজিয়ামের খেলোয়াড়েরা।
দল দুই ম্যাচেই হেরেছে। ইউরোর গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়ের শঙ্কা। কিন্তু ডেনমার্কের জন্য এবারের ইউরো তো আর জয়-পরাজয়ে সীমাবদ্ধ নেই। সত্যি বলতে, ফুটবলই এখন ড্যানিশদের কাছে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ লড়েও হারের পর সমর্থকদের করতালির জবাব দিচ্ছেন ডেনমার্কের খেলোয়াড়েরা।