ম্যাচের আগে দুই দলের খেলোয়াড়দের হাঁটু গেড়ে বসে বর্ণবাদের প্রতিবাদ। বেলের দারুণ থ্রু থেকে এমন অবস্থায় গিয়েও গোল করতে পারেননি রামসি। কেউ গোল করার চেষ্টায়, কেউ বাঁচানোর। ওয়েলসের স্ট্রাইকার কিফার মুর আর তুরস্কের ডিফেন্ডার চাগলার সোয়ুঞ্জুর সে লড়াই চলছে। রামসির নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না। পরপর দুবার একই ভুল করলেন! ম্যাচে দ্বিতীয়বার বেলের থ্রু ধরে গোল করার দারুণ সুযোগ হারানোর আক্ষেপ ওয়েলশ মিডফিল্ডারের চোখেমুখে স্পষ্ট। এক উইংয়ে তো বেল ছিলেন, ওয়েলসের অন্য উইংয়ে ড্যানিয়েল জেমসও গতির দারুণ ঝলক দেখিয়েছেন ম্যাচজুড়ে। অবশেষে! দানে দানে তিন দান! তৃতীয়বারে এসে গ্যারেথ বেলের থ্রু ধরে গোল করতে পারলেন রামসি। গোল করে জড়িয়ে ধরলেন বেলকেই।৪২ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোলের দৃশ্য। বেলের থ্রু ধরে রামসি তুরস্কের গোলকিপার উগুরচান চাকিরকে ফাঁকি দিয়ে বল জড়াচ্ছেন জালে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে তুরস্কও কম সুযোগ পায়নি। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। এখানে যেমন এত কাছ থেকেও ভলি করে বল জালে রাখতে পারেননি তুরস্কের স্ট্রাইকার ও অধিনায়ক বুরাক ইলমাজ। গ্যারেথ বেলের প্রমাদ গোনার মুহুর্ত। আকাশপানে ছুটে চলেছে পেনাল্টি থেকে মারা তাঁর শট। ম্যাচের তখন ৬১তম মিনিট, ওয়েলস তখন ১-০ গোলে এগিয়ে। হেডে গোল করার চেষ্টা তুরস্কের মেরিহ দেমিরালের। আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণ হলো। গোল হলো। গোল মিস হলো। পেনাল্টি থেকে ব্যর্থতাও হলো। হাতাহাতিও হলো। ম্যাচের শেষদিকে হাতাহাতির এক পর্যায়ে তুরস্কের ইলমাজকে ধাক্কা দিয়ে ফেলছেন ওয়েলসের খেলোয়াড়েরা। ইলমাজও অবশ্য একেবারে বসে ছিলেন না! ৯৪ মিনিট। দ্বিতীয় গোল এসে গেছে। জয় নিশ্চিত। হয়তো নিশ্চিত দ্বিতীয় পর্বে ওঠাও। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে দলের দ্বিতীয় গোলের পর ওয়েলসের খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস সবকিছুই যেন বলে গেল। বেলের পাস থেকে ওয়েলসের দ্বিতীয় গোলটি করার পর উচ্ছ্বাস কনর রবার্টসের (সামনে)। টানা দ্বিতীয় হার। বলতে গেলে সব শেষ। চূড়ান্ত নাটকীয় কিছু না হলে তুরস্কের গ্রুপ পর্বেই বিদায় নিশ্চিত। তুরস্কের খেলোয়াড়দের শরীরের ভাষায় সেই হতাশা স্পষ্ট। অথচ এই তুরস্কের তরুণ প্রতিভাবান দলকে এবারের সম্ভাব্য চমক দেখানো দলগুলোর একটি ভাবা হচ্ছিল। দল জিতেছে। গ্যারেথ বেল আনন্দ পেয়েছেন, সম্ভবত তার চেয়েও বেশি পেয়েছেন স্বস্তি।