Thank you for trying Sticky AMP!!

জিনেদিন, এনজোর পর এবার লুকা জিদান

কাল রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে অভিষেক হয়েছে লুকার। ছবি: রয়টার্স
আরেক জিদানের অভিষেক হলো রিয়ালের জার্সিতে। কিন্তু অভিষেকটি অম্লমধুর লুকা জিদানের। গোলরক্ষক লুকা প্রথম ম্যাচেই যে দুই গোল হজম করেছেন


রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি হিসেবে ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সেরা দলবদল কোনটি?
সবার আগেই মাথায় আসে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নাম। ৯৪ মিলিয়ন ইউরোতে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকেই গোলবন্যা বইয়ে দিয়েছেন এই পর্তুগিজ তারকা। রেকর্ডের পর রেকর্ড করে দলকে তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগও এনে দিয়েছেন। রোনালদোর দলভুক্তিটা এমন সাফল্যময় হবে জানলে দরটা আরেকটু বাড়িয়ে দিতেও হয়তো আপত্তি করতেন না পেরেজ। তবে রোনালদোর চেয়েও সেরা দলবদল করেছেন পেরেজ—জিনেদিন জিদান।
দলবদলের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে জিদানকে টেনে এনে তারকাপুঞ্জ বানিয়েছিলেন পেরেজ। সেই তারকাপুঞ্জ শুধু একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও একটি লা লিগা দিয়েছে রিয়ালকে। কিন্তু মাদ্রিদের ক্লাবকে জিদানের দেওয়া উপহার কেবল ওই দুটি শিরোপাই নয়। কোচ হিসেবে এই ক্লাবের দায়িত্ব নিয়ে মাত্র দেড় মৌসুমে দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও একটি লা লিগা জিতিয়েছেন। এতেও থেমে যাননি তিনি। জিদানের সঙ্গে সঙ্গে যে তাঁর চার পুত্রকেও পেয়েছে রিয়াল! এক দলবদলেই পাঁচজন ফুটবলার ও একজন কোচ, পেরেজের আমলে সেরা দলবদল তো এটাই!
২০১৬ সালে কোপা ডেল রেতে রিয়ালের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল এনজো জিদানের। অভিষেক রাঙানো একটি গোলও করেছিলেন এনজো। তবে রিয়ালের ভরা মিডফিল্ডে জায়গা করতে পারেননি জিদানের বড় পুত্র। আলাভেস হয়ে সুইস ক্লাব লসানে-স্পোর্টে খেলছেন এখন।
জিদানের দ্বিতীয় পুত্র লুকার ক্ষেত্রে বাধাটা আরও বড়। এ মৌসুমেই রিয়ালের তৃতীয় গোলরক্ষক হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। একে কেইলর নাভাস ও কিকো কাসিয়ার কারণে খেলার সুযোগ ছিল না। এরপর চোটে ছয় মাস থাকতে হলো মাঠের বাইরে। অবশেষে লিগের শেষ ম্যাচে, গুরুত্বহীন হয়ে পড়া ভিয়ারিয়াল ম্যাচে সুযোগ হলো তাঁর। ২১তম জন্মদিনের এক সপ্তাহ পর রিয়ালের হয়ে লা লিগায় অভিষেক হলো লুকার। সে সঙ্গে বড় ভাইকেও টপকে গেলেন লুকা। রিয়ালের হয়ে কখনো লিগ ম্যাচে খেলেননি এনজো।
তবে অভিষেকের আনন্দটা ফিকে হয়ে গেছে দুই গোল হজম করায়। এ ছাড়া কিকো ক্যাসিয়াকে বাদ দিয়ে তাঁকে সুযোগ দেওয়ায় জিদানকে কথাও শুনতে হচ্ছে। লুকা অবশ্য ঠান্ডা মাথায় সব সামলেছেন, ‘যখন আমি খেলি, তখন আমি শুধুই লুকা, জিদান নই। অভিষেকের স্বাদটা একটু অম্লমধুর। বিশ্বের সেরা দলের হয়ে অভিষেক হওয়ায় গর্বিত কিন্তু ম্যাচের ফল (ড্র) অম্লমধুর স্বাদ দিচ্ছে।’
কোচ বাবার অধীনে পুত্রের অভিষেক খুব একটা দেখা না গেলেও একদম বিরল কিছু নয়। সিজার মালদিনির অধীনে ইতালির জার্সিতে পাওলোর অভিষেক কিংবা ইয়োহান ক্রুইফের অধীনে বার্সেলোনায় জর্ডির অভিষেক হয়েছিল।