Thank you for trying Sticky AMP!!

জয়ের উদ্যাপন করে ম্যাচ হারলেন তিনি!

গোল করে মুখোশ পরে উদ্‌যাপন হিমেনেজের। ছবি: এএফপি

গোল করে মুখোশ পরে উদ্‌যাপন করাটা নতুন কিছু নয়। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে ‘ব্যাটম্যান’ ও ‘রবিন’ হয়েছিলেন পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং ও মার্কো রয়েস। সান্তোসের হয়ে নেইমার তো নিজের মুখোশই পরেছিলেন উল্টো করে। নেইমারের ভক্ত ভিনিসিয়ুস জুনিয়রও ছোট ক্যারিয়ারে এ কাজ করে ফেলেছেন। রাউল হিমেনেজের তাই ইচ্ছে জেগেছিল মুখোশ পরার। এতে যে মানুষের হাসির পাত্র হবেন, সেটা তো আর বোঝেননি।

গতকাল এফএ কাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল উলভারহ্যাম্পটন ও ওয়াটফোর্ড। এ মৌসুমে উলভসদের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিমেনেজ কালও দলকে এনে দিয়েছেন মহাগুরুত্বপূর্ণ এক গোল। ৬১ মিনিটে তাঁর গোলেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল দল। মাত্র ৩০ মিনিট বাকি থাকা অবস্থায় দুই গোলে এগিয়ে গিয়ে আর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেনি দলটি। গোলের পর ম্যাক্সিকান স্ট্রাইকারের মুখে পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ম্যাক্সিকান রেসলারের মুখোশ। সে মুখোশ পরার পরই কিনা এমন মার খেতে হলো তাঁকে!

২-০ গোলে পিছিয়ে থাকা ওয়াটফোর্ড বদলি হিসেবে নামায় জেরার্ড দেউলোফেউকে। বার্সার একাডেমির এই উইঙ্গার নেমেই খেলার ধারা বদলে দিলেন। ৭৯ মিনিটে গোল করেন দেউলোফেউ। ৯৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা ফিরিয়েছেন অধিনায়ক ট্রয় ডিনি। ১০৪ মিনিটে দেউলোফেউর দ্বিতীয় গোল নিশ্চিত করে ৩৫ বছর পর ওয়াটফোর্ডের এফএ কাপের ফাইনালে ওঠা। ম্যাচ শেষে ডিনিকে তাই আয়েশ করে দেখানো হয়েছিল হিমেনেজের গোল উদ্‌যাপন করার দৃশ্য।

ম্যাচ শেষে মাঠ ছাড়তে হলো একরাশ হতাশা নিয়ে। ছবি: এএফপি

সেটা দেখে কতটা খেপেছেন, তা পরিষ্কার ডিনির ঝাঁজালো কথায়, ‘আমি আসলেই আগে (ম্যাচের ওই সময়ে) এটা দেখিনি। আমার খুব বাজে কিছু বলতে ইচ্ছা করছে, কিন্তু বলব না। তবে আমি খুশি, সে মুখোশটা পরেছিল। হারের পর এখন চাইলে আবারও পরতে পারে সেটা। তুমি মুখোশ নিয়ে থাকো, কিন্তু জিতেছি তো আমরাই।’

ম্যাচের উত্তেজনার মুহূর্তে ঘটনাটি দেখেননি বলে নিজেকে ভাগ্যবান বলছেন ডিনি। কারণ, ওই ঘটনা দেখলে নিজেকে সামলাতে পারতেন না এই স্ট্রাইকার, ‘আমি মুখোশের ঘটনা দেখিনি। ভাগ্যিস এখন দেখলাম, না হলে আমি নির্ঘাত মেজাজ হারাতাম সেটা দেখে। আমার মতে, আপনি তখনই মুখোশ পরে ওসব করবেন, যখন নিশ্চিত থাকবেন, আপনি ম্যাচ জিতেছেন।’

ম্যাচ না জিতে ওই উদ্‌যাপন করায় এখন নির্ঘাত আফসোস করছেন হিমেনেজ। প্রতিপক্ষের এমন কথা যদি গিলতে সক্ষম হনও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যে তাঁকে এটা ভুলতেই দিচ্ছে না। গতকাল রাত থেকেই টুইটার ও ফেসবুকে হিমেনেজের উদ্‌যাপন নিয়ে মজা করছে ফুটবল অনুসারীরা।