Thank you for trying Sticky AMP!!

তাঁর নাম বলতেই এক বছর কেটে যায়!

তাঁর নাম বলতে গেলে বিপত্তি আছে! সংগৃহীত ছবি

২০ বছর বয়সী এক স্ট্রাইকার আপাতত ট্রায়াল দিচ্ছেন আর্জেন্টিনার ক্লাব সান লরেঞ্জোতে। কোচ হোর্হে আলমিরনের ব্যক্তিগত অনুরোধ বলেই কলম্বিয়া থেকে ডেকে আনা হয়েছে এই স্ট্রাইকারকে। কিন্তু তাঁর নাম ধরে ডাকতে গেলেই বিপত্তি। এমনই সে নাম, তাঁকে পাস দেওয়ার জন্য ডাকতে ডাকতেই প্রতিপক্ষ বল কেড়ে নিতে পারে!

তাঁর পারিবারিক উপাধিটা নতুন কিছু নয়। স্প্যানিশ বা পর্তুগিজ ভাষাভাষীদের মধ্যে খুবই পরিচিত এক নাম, গঞ্জালেজ। কিন্তু তাঁর প্রথম নামটাই ঝামেলা বাধাচ্ছে। নামের ইংরেজি অক্ষরগুলো যখন পাশাপাশি লেখা হয়, মনে হয় মাত্রই লিখতে শিখেছে কেমন কোনো শিশু খেয়ালখুশি মতো একটানা কিছু অক্ষর লিখে গেছে। বলেই ফেলা যাক নামটি, ইএফএমএএমজেজেএএসওএনডি! কাছাকাছি বাংলা উচ্চারণযোগ্য খুশি মুখে আনতে চাইলে, এফম্যাম্‌হাসন্দ!

স্প্যানিশ ভাষাভাষীদের কাছেও নামটি অদ্ভুত। তবে তারা অন্তত এমন নামের অর্থ খুঁজে পাবেন। কারণ গঞ্জালেজের এই নাম দিয়ে আসলে পুরো এক বছরের কথা বলা হয়েছে। স্প্যানিশ ভাষায় বছরের ১২টি মাসের প্রথম অক্ষর বেছে নিয়েই এ নাম দেওয়া হয়েছে গঞ্জালেজকে। প্রথম মাস এনেরো থেকে ই, ফেব্রো থেকে এফ, মার্জো থেকে এম, এব্রিল থেকে এ, মায়ো থেকে নেওয়া হয়েছে এম। জুনিও ও জুলিও থেকে দুটি জে, অগস্তো থেকে এসেছে এ, সেপ্টিয়েম্ব্রে থেকে এস। অক্টুব্রে থেকে ও, নভিয়েম্ব্রে থেকে এন এবং ডিসিয়েম্ব্রে থেকে এসেছে ডি। এসব মিলিয়েই ইএফএমএএমজেজেএএসওএনডি বা এফম্যাম্‌হাসন্দ। যদিও অন্যদের সুবিধার্থে হাসন্দ নামেই পরিচয় দেন।

১৮ বছর বয়সেই কলম্বিয়াতে আলো ছড়িয়েছেন হাসন্দ। কোচ হোর্হে আলমিরনের অধীনে অ্যাটলেটিকো ন্যাসিওনালের হয়ে গ্রেমিওর মতো দলের বিপক্ষে গোলও করেছেন। কোচ আলমিরন অ্যাটলেটিকো ছেড়ে এই নভেম্বরেই সান লরেঞ্জোর দায়িত্ব নিয়েছেন। কোচের ডাকে বুয়েনেস এইরেসে হাজির হয়েছেন হাসন্দ। তবে বানান নয়, পায়ের কাজেই মানুষের কাছে নিজের নামটা স্মরণীয় করে রাখতে চাইবেন হাসন্দ।