Thank you for trying Sticky AMP!!

এখন আর আগের মতো উলভারহ্যাম্পটনের আদামা ত্রাওরেকে (বাঁয়ে) মাঠে খুব বেশি ফেলে দিতে পারে না প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়েরা।

ত্রাওরের সাফল্যের রহস্য ‘বেবি অয়েল’

ইংল্যান্ডের ফুটবলে আদামা ত্রাওরের প্রবেশ ২০১৫ সালে, অ্যাস্টন ভিলার হয়ে। ক্লাবটিতে দুই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়নশিপ মিলিয়ে ১২টি ম্যাচ খেলেছেন বার্সেলোনার একাডেমির উইঙ্গার। বলার মতো তেমন কিছু করতে পারেননি। অ্যাস্টন ভিলা থেকে নাম লেখান মিডলসবরোতে। দলটির হয়ে ৭১ ম্যাচ খেলে পাঁচটি গোল করার পাশাপাশি দু-একটি গোলে সহায়তাও ছিল তাঁর। এই ত্রাওরেই উলভারহ্যাম্পটনে নাম লিখিয়ে সাফল্য পেতে থাকেন রাতারাতি। বিশেষ করে গত মৌসুমে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৪টি ম্যাচ খেলে করেছেন পাঁচ গোল, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৯ গোল।

উলভসে ত্রাওরের এমন সাফল্যের রহস্য কী? অ্যাস্টন ভিলা, মিডলসবরো বা উলভসে প্রথম মৌসুমে ত্রাওরের ক্ষেত্রে একটা দৃশ্য ছিল নিয়মিত। দ্রুতগতির বিশালদেহী এই উইঙ্গারকে থামাতে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়েরা হাত বা কাঁধ টেনে ধরত আর তিনি পড়ে যেতেন মাঠে। এখন আর তাঁকে টেনে খুব একটা ফেলতে পারছে না প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়েরা। ত্রাওরের সাফল্য বা উন্নতির রহস্য এখানেই।

কিন্তু এমনটা হলো কী করে? সেই রহস্য সম্প্রতি জানিয়েছেন ত্রাওরে। সেটা আর কিছু নয়, বেবি অয়েল! এই চিকিৎসাটাই ত্রাওরেকে দিয়েছেন উলভারহ্যাম্পটনের এক চিকিৎসক। মালিয়ান বংশোদ্ভূত স্প্যানিশ ফুটবলার বলেছেন, ‘এখানকার স্টাফরা খুব চতুর। তারা বুঝতে পেরেছে কাঁধ নিয়ে আমার সমস্যা হচ্ছে। তারা লক্ষ্য করেছে আমাকে থামাতে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়েরা হাত টেনে ধরে। আমার কাঁধে ধাক্কা দেয়। গায়ে তেল মাখলে আমাকে ধরাটা তাদের জন্য মুশকিল হয়। বিশেষ করে আমি যদি তখন গতিতে থাকি।’

এই পর্যবেক্ষণ থেকেই ম্যাচের আগে ত্রাওরেকে উলভসের চিকিৎসকেরা বেবি ওয়েল হাতে-কাঁধে মেখে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথম দিকে বিষয়টিতে বেশ মজাও পেতেন ত্রাওরে, ‘প্রথম ম্যাচে তো এটা বেশ মজার ছিল। কারণ প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়েরা আমার হাত ধরতে চাইত, কিন্তু ধরে পারত না। তারা আমাকে জিজ্ঞেসও করেছে, “কী ব্যাপার?” আমি শুধু বলে গেছি আমি কী জানি!’

আদামা ত্রাওরে (বাঁয়ে) এখন ম্যাচ খেলতে নামেন হাতে বেবি ওয়েল মেখে।

বেবি ওয়েলের বিষয়টি কীভাবে কাজ করছে সেটাও বলেছেন ত্রাওরে, ‘এখন বিষয়টা সবাই জানে। কিন্তু এটা কোনো ব্যাপার নয়। আমার জন্য এটা খুব উপকারী। কারণ, প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের এখন অন্য কৌশল নিতে হয়। আমি তো আমার হাতে বেবি ওয়েল মেখে রাখি। সহজেই তাই ওদের ফসকে যেতে পারি।’

বেবি ওয়েল মাখাটা একটা কৌশল, তবে মাঠে ত্রাওরের বড় সম্পদ গতি। অনেকেই আবার মনে করেন এই গতিই তাঁর একমাত্র সম্পদ। কিন্তু ত্রাওরের কথা—ফুটবল স্কিল তাঁর কম নেই, ‘মানুষ কী বলল তাতে আমার কিছু আসে-যায় না। কারণ আমি তো জানি, আমার কী কী আছে আর আমি কীভাবে খেলি। মানুষ যদি মনে করে গতিই আমার একমাত্র সম্বল, সমস্যা নেই। ওরা এভাবে ভাবতে থাকুক।’