Thank you for trying Sticky AMP!!

রিয়াল অ্যানফিল্ডে বেশি সুবিধা পাবে?

‘দর্শকবিহীন’ ম্যাচে লিভারপুলের চেয়ে সুবিধা রিয়ালের

দর্শকবিহীন ম্যাচই একালের ভবিতব্য। করোনার কারণে দর্শকদের উল্লাসধ্বনি এখন অতীতের বিষয়ই মনে হয়। খালি স্টেডিয়ামে আগুনের মতো সব ম্যাচে টেলিভিশন-দর্শকদের সঙ্গী কেবল খেলোয়াড়দের চিৎকার। আর ভুতুড়ে স্টেডিয়ামে সে চিৎকারের প্রতিধ্বনি। রাফায়েল বেনিতেজ বলছেন, আজ চ্যাম্পিয়নস লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এমন পরিবেশ লিভারপুলের চেয়ে রিয়াল মাদ্রিদকেই বেশি সুবিধা দেবে!

২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত লিভারপুলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। রিয়াল মাদ্রিদেরও কোচ ছিলেন সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য। তিনি দর্শকদের কথাটা বলছেন নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই। আজ রিয়াল লিভারপুলকে আতিথ্য দেবে। পরের সপ্তাহে অ্যানফিল্ডে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ। কিন্তু দ্বিতীয় লেগের খেলাটি নিজেদের সমর্থকদের সামনে খেলতে না পারার অসুবিধাটা ভালোই চোখরাঙানি দিচ্ছে লিভারপুলকে, ‘আমি যখন লিভারপুলের কোচ ছিলাম, সেটা ২০০৮-০৯ সালের কথা, বার্নাব্যুতে গিয়ে প্রথম ম্যাচে আমরা (লিভারপুল) জিতলাম ১-০ গোলে। জানতাম, অ্যানফিল্ডের দ্বিতীয় লেগটা গুরুত্বপূর্ণ, আর সেটা আমরা খেলব নিজেদের সমর্থকদের সামনে। সে ম্যাচে প্রথম মিনিট থেকেই আমরা রিয়ালকে প্রেস করা শুরু করি। সমর্থকদের উদ্দীপনা গায়ে মেখে আমরা ম্যাচটা জিতি ৪-০ গোলে। এবার এ সুবিধাটা লিভারপুল পাবে না। তাদের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ খেলতে হবে খালি স্টেডিয়ামে।’

বেনিতেজ চান আজ অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল নিয়ে ফিরুক লিভারপুল।

এখন রিয়ালের এই সুবিধা আরও বেড়ে যাবে যদি আজকের প্রথম লেগের ম্যাচে লিভারপুল গোল করতে না পারে, বেনিতেজের শঙ্কা এমনই, ‘লিভারপুলের আজকে গোল পাওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা করতে পারলে রিয়াল দ্বিতীয় লেগে খুবই আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করবে, তাতে তাদের রক্ষণ অনেকটাই উন্মুক্ত হয়ে যাবে, তখন সে সুবিধাটা নিতে পারবে লিভারপুল।’ বেনিতেজ দর্শকের প্রসঙ্গটা আনছেন এ কারণেই। গোল আর দর্শকের সুবিধা নিয়ে লিভারপুল অ্যানফিল্ডে রিয়ালের বিপক্ষে অনেক বেশি উজ্জীবিত হয়ে খেলতে পারত। কিন্তু দর্শকবিহীন ম্যাচ হওয়ার কারণে সেই সুবিধা পাবেন না ইয়ুর্গেন ক্লপ ও তাঁর দল।

লিভারপুল সাধারণত গতিময় ফুটবল খেলতে অভ্যস্ত। রিয়ালের আক্রমণে ওঠাটা সে অনুযায়ী কিছুটা ধীর। সুতরাং রিয়াল-লিভারপুল ম্যাচে শুরুতেই ছন্দ খুঁজে নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বেনিতেজ, ‘যদি লিভারপুল বেশি আক্রমণাত্মক হতে পারে, তাহলে রিয়াল সমস্যায় পড়ে যেতে পারে। আমার কাছে মনে হয় এই ম্যাচে ছন্দ খুঁজে নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত লিভারপুলের গতিতে আক্রমণে ওঠে না রিয়াল। লিভারপুল সেটি পেয়ে গেলেই রিয়াল সমস্যায় পড়বে।’

তবে রিয়ালের শক্তির দিকটাও দেখছেন বেনিতেজ, ‘রিয়াল নিজেদের মধ্যে আদান-প্রদান করে খেলায় খুব ভালো। বলের দখল রাখতে দলটা পছন্দ করে। ফাইনাল থার্ডে যদি রিয়ালের ফরোয়ার্ডরা পৌঁছে যেতে পারে, তাহলে দলটা লিভারপুলের জন্য খুবই বিপজ্জনক। রিয়ালের ফরোয়ার্ডরা বিভিন্ন ধরনের গোল করতে সিদ্ধহস্ত।’