Thank you for trying Sticky AMP!!

দিবালারা আক্রান্ত, দেশে পালালেন জুভেন্টাস সতীর্থ

জুভেন্টাসে কোয়ারেন্টিনের নিয়ম ভেঙে দেশে ফেরাদের দলে নাম লেখালেন কস্তা (বাঁয়ে)। ফাইল ছবি

জুভেন্টাস ক্লাব দিন দিন খালি হয়ে পড়ছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তো জরুরি অবস্থার আগেই ছেড়েছেন ইতালি। একে একে তুরিনের বুড়িদের ‘টা টা’ বলে দিয়েছেন মিরালেম পিয়ানিচ, স্যামি খেদিরা, গঞ্জালো হিগুয়েইন। এবার সে পথেই হেঁটেছেন ডগলাস কস্তাও। সেটাও আবার তাঁর সতীর্থ পাওলো দিবালা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার দিনেই।

জুভেন্টাসের তিনজন ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রোনালদো মাকে দেখতে পর্তুগালে যাওয়ার পরই খবর আসে ডিফেন্ডার দানিয়েলে রুগানি কোভিড-১৯ পজিটিভ। এর পর জুভেন্টাসের সব খেলোয়াড়কে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। এর পর দিবালা পজিটিভ হয়েছেন এমন গুজব ছড়ালেও সেটি তখন সত্য প্রমাণিত হয়নি। এর মাঝেই আবার আক্রান্ত হয়েছেন মিডফিল্ডার ব্লেইজ মাতুইদি। আর কাল রাতে নিজেকে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন দিবালা।

রুগানি করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা ছিল সবার। এর অর্থ বাসা থেকেও বের হওয়া যাবে না। কিন্তু জুভেন্টাস এর মাঝেই কয়েকজন খেলোয়াড়কে দেশ ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে। পিয়ানিচ গিয়েছেন লুক্সেমবার্গে আর খেদিরা গিয়েছেন নিজ দেশ জার্মানিতে। আর হিগুয়েইনের দেশ ছাড়ার ঘটনা তো বেশ নাটকীয়। প্রথমে পুলিশ আটকেছিল তাঁকে। কিন্তু মায়ের অসুস্থতার কথা বলে বেশ কয়েকবার উড়োজাহাজ পাল্টে তবেই আর্জেন্টিনা পৌঁছেছেন। সেখানে গিয়ে অবশ্য গৃহবন্দীই হতে হয়েছে তাঁকে। এর মাঝেই আজ আবার এলো ডগলাস কস্তার ইতালি ছাড়া খবর।

গত ১২ মার্চ রুগানির করোনা আক্রান্তের খবর এসেছিল। এর পর এখনো ১৪ দিন শেষ হয়নি। এর মাঝে দেশটির করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃতের সংখ্যা এখন ইতালিতে। প্রতিদিন মৃতের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বাড়ছে। এ অবস্থায় নিয়ম ভেঙে কীভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা খেলোয়াড়দের দেশ ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে সেটা বুঝে উঠতে পারছেন না ইতালিয়ান আইনজীবী রিনালদো রোমানেল্লি, ‘এই ঘটনা আমাকে স্তব্ধ করে দিচ্ছে। কোয়ারেন্টিনের সময় ১৪ দিন। স্বাস্থ্য মন্ত্রীর ডিক্রিতে সেটাই বলা আছে। কোনো ছাড়ের কথা সেখানে বলা হয়নি। রুগানির সতীর্থদের কমপক্ষে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। ১৪ দিন পর্যন্ত নয় , কোনো কম বা অন্য কোন নিয়মও সেখানে বলা নেই।’

শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা সামরিক বিশেষজ্ঞদের দ্রুত দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হলেই নাকি কোয়ারেন্টিনের নিয়মে হেরফের হতে পারে জানিয়েছেন রোমানেল্লি। কোরিয়েরে দেল্লো স্পোর্তকে বলেছেন, ‘আমি যেটা জানতে চাই, তা হলো কে এই অনুমতি দিয়েছে? কোথাও এমন নিয়ম নেই যে কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ার আগে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে, আর দেশ ছাড়া তো দূরের কথা। একজন সতীর্থ পরীক্ষায় পজিটিভ হওয়ার মাত্র সাত-আট দিন পরেই তাদের দেশ চাড়ার অনুমতি দেওয়ার ঘটনা বিস্ময়কর। আমি আশা করি যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে পরিস্থিতি বুঝেই নিয়েছে, আইনি দিকগুলো জেনে তারপর দিয়েছে।’

ইতালিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা গতকাল ৪ হাজার ৮ শ ছাড়িয়েছে। ব্রাজিলেও এরই মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এরই মাঝে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে নেইমার-কস্তাদের দেশে।