Thank you for trying Sticky AMP!!

দ্বায়িত্ব নিয়েই তারকাদের সতর্ক করেছেন পচেত্তিনো।

নেইমার এমবাপ্পেদের সতর্ক করে দিলেন পচেত্তিনো

প্রতীক্ষা শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহ অপেক্ষা করে নতুন কোচের নাম ঘোষণা করেছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই। ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মরিসিও পচেত্তিনো। দেড় বছরের জন্য পিএসজির দায়িত্ব পেয়েছেন এই আর্জেন্টাইন। তাতে একটা স্বপ্ন পূরণও হলো তাঁর। ২০১৬ সালে টটেনহামের দায়িত্বে থাকার সময়েই বলেছিলেন সাবেক ক্লাবে ফেরার আগ্রহ আছে। ৫ বছর পর সে স্বপ্ন পূরণ হলো তাঁর।

দায়িত্ব পেয়ে আজই প্রথম ক্লাবের অনুশীলনে যোগ দেবেন পচেত্তিনো। নতুন দলের তারকাদের সঙ্গেও দেখা হবে আজই। পিএসজিতে তারকারও তো অভাব নেই। নেইমার আছেন, আছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। আনহেল দি মারিয়া, মাউরো ইকার্দি, মার্কো ভেরাত্তি, মারকিনিওসরাও কম যান না। দলে এত এত তারকার প্রভাব টের পাওয়া যায় ভালোভাবেই। তাই আগেভাগেই ড্রেসিংরুম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেন পচেত্তিনো। পিএসজির তারকাদের সতর্ক করে দিয়েছেন, নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন না করলে বিপদে পড়বেন খেলোয়াড়েরা।

গতকাল পচেত্তিনোর নিয়োগ পাওয়া নিশ্চিত করেছে পিএসজি। ক্লাবের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে পচেত্তিনোর আনন্দটা টের পাওয়া যাচ্ছিল, ‘প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের নতুন কোচ হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত ও গর্বিত। আমার ওপর আস্থা রাখায় ক্লাবকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আমার হৃদয়ে এ ক্লাবের জন্য বরাবরই বিশেষ জায়গা বরাদ্দ ছিল। দারুণ কিছু স্মৃতি আছে এ ক্লাবকে ঘিরে, বিশেষ করে পার্ক দে প্রিন্সেসের আবহ নিয়ে। অনেক প্রত্যাশা ও বিনয় নিয়ে ফিরছি আমি। বিশ্বের সেরা কিছু প্রতিভাবান ফুটবলারের সঙ্গে কাজ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’

টটেনহামের সবচেয়ে কঠিন সময়টাতে লন্ডনের ক্লাবের দায়িত্ব পেয়েছিলেন টটেনহাম। দলবদলের বাজারে হাত-পা বাঁধা ছিল তাঁর। এমন অবস্থাতেও টটেনহামকে ইংলিশ ফুটবলের শীর্ষ এক দলে পরিণত করেছিলেন। ক্লাবটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলার স্বাদ এনে দিয়েছিলেন পচেত্তিনো। এমন এক কোচকে পিএসজির মতো অর্থবলে মহা শক্তিশালী এক দলের দায়িত্ব নিতে দেখে তাই নড়েচড়ে বসছেন সবাই। পচেত্তিনোর অধীনে নেইমার, এমবাপ্পে ও দি মারিয়াদের খেলা দেখার অপেক্ষায় আছেন সবাই।

নতুন কোচের সঙ্গে জমবে তো নেইমারদের?

পচেত্তিনো অবশ্য দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ক্লাবের তারকাদের সতর্ক করেছেন। কিছুদিন পরপরই ক্লাবের তারকাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের খবর বেরিয়ে পড়ে। বার্সেলোনার সময় থেকেই নেইমারের মাঠের বাইরের জীবনটা সংবাদ শিরোনাম হচ্ছে। ইদানীং নেইমারের সঙ্গে এমবাপ্পে কিংবা মারিয়াদের ভুলের কারণে খবরের শিরোনাম হতে দেখা যায়। মাঠেও তারকাখ্যাতির প্রভাব দেখা যায়। এমবাপ্পে-নেইমারের মতো তারকাদের সামলাতে না পেরেই যে চাকরি হারিয়েছিলেন টমাস টুখেল। তাই দায়িত্ব নিয়েই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন পচেত্তিনো। বলেছেন, ‘শৃঙ্খলা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সম্মান ও বন্ধুত্ব থাকতে হবে, শুধু খেলোয়াড়দের মধ্যে নয়, স্টাফদের মধ্যেও। সবাই নিজেকে ক্লাব ও প্রকল্পের অংশ মনে করছে, আমার কাছে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’