Thank you for trying Sticky AMP!!

পিরলোকে ঘুমের কথা ভুলে যাওয়ার চাকরিতে স্বাগত জানালেন গাত্তুসো

সাবেক সতীর্থকে সতর্ক করলেন গাত্তুসো। ছবি: রয়টার্স

জুভেন্টাস সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে বোর্ড। ক্লাব কিংবদন্তি আন্দ্রেয়া পিরলোকে কোচ বানিয়ে এনেছে তারা। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নিয়ে সবাই শুভকামনা জানিয়েছেন পিরলোকে। জেনারো গাত্তুসোও জানিয়েছেন। তবে সাবেক সতীর্থকে একটু ভিন্ন উপায়েই শীর্ষ পর্যায়ের কোচিংয়ে স্বাগতম জানিয়েছেন। বলেছেন, শান্তির দিন শেষ, আরাম করে ঘুমানোর কথা ভুলে যাও!

ইতালিতে একক আধিপত্য বিস্তার করে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পণ করেছিল জুভেন্টাস। মরিসিও সারি সে কাজে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁকে কালই বরখাস্ত করেছে জুভেন্টাস। আর ক্লাবের আশা ভরসা দুই বছরের জন্য পিরলোর কাঁধে তুলে দিয়েছে বোর্ড। এর আগে শীর্ষ পর্যায়ে কোনো ক্লাবে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা না থাকা পিরলোকেই এখন জুভেন্টাসের মতো পরাক্রমশালী এক দলের ডাগআউট সামলাতে হবে।

জুভেন্টাসের হয়ে চার বছরে চারটি সিরি ‘আ’ ও একটি কোপা ইতালিয়া জিতে অবসর নিয়েছেন পিরলো। কিন্তু ক্যারিয়ারের বড় একটা অংশ এসি মিলানেই কাটিয়েছেন। ইতালি ও মিলানে তাঁর সঙ্গী হিসেবে নিয়মিতই মাঝমাঠ সামলেছেন গাত্তুসো। পিরলো একটু সময় নিলেও খেলোয়াড় থাকার সময়ই কোচিং বেছে নিয়েছিলেন গাত্তুসো। গত সাত বছরে পালের্মো, মিলান হয়ে এখন নাপোলির দায়িত্বে আছেন। মাঠে ছড়ি ঘোরানো ও ডাগআউটে দিক নির্দেশনার মধ্যে যে পার্থক্য আছে, সে সম্পর্কে পিরলোকে সতর্ক করেছেন গাত্তুসো। গতকাল বার্সেলোনার কাছে ৩-১ গোলের হারের পর স্কাই ইতালিয়াকে বলেছেন, ‘ওর সর্বনাশ হয়ে গেল...এই চাকরিটা সে রকমই। জুভেন্টাসের মতো ক্লাবে শুরু করতে পেরে ও ভাগ্যবান। কিন্তু এটা এমন এক পেশা যেখানে অসাধারণ খেলোয়াড় হওয়াটাই যথেষ্ট নয়। অনেক পড়াশোনা করতে হবে, কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং ভালো ঘুম হবে না।’

জুভেন্টাস স্কোয়াডে ভালো খেলোয়াড়ের অভাব নেই। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, পাওলো দিবালাদের মতো খেলোয়াড়দের সামলানোর জন্য ব্যক্তিত্বসম্পন্ন কোচ প্রয়োজন হয়। পিরলোর মতো কিংবদন্তিকে সে কারণেই হয়তো বেছে নিয়েছে জুভেন্টাস। তবে গাত্তুসো সতর্ক করে দিলেন, কাজটা এত সহজ নয়, ‘খেলোয়াড় ও কোচের ভূমিকা একদমই ভিন্ন। একদমই ভিন্ন পেশা এবং বই থেকে এসব শেখা যায় না। এই কাজে প্রথমে নামতে হয় এবং কাজ করতে হয়। এটা কঠিন এক জগৎ।’