Thank you for trying Sticky AMP!!

ফিফাও নিষিদ্ধ করল আরামবাগের ফুটবলারদের

ফিফাও নিষিদ্ধ করল আরামবাগের ম্যাচ পাতানো ফুটবলারদের

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে আরামবাগের বিরুদ্ধে অনলাইন বেটিং, স্পট ফিক্সিংসহ ম্যাচ পাতানোর নানা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিল গত বছরের আগস্টে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) শৃঙ্খলা কমিটি সে সময় এ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকা ফুটবলার এবং কর্মকর্তাদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে আরামবাগ ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক এম স্পোর্টসের প্রধান স্বত্বাধিকারী মিনহাজুল ইসলাম, সাবেক দলীয় ম্যানেজার গওহর জাহাঙ্গীর রুশো, সাবেক ভারতীয় ফিটনেস ট্রেনার মাইদুল ইসলাম এবং সাবেক দলীয় ম্যানেজার আরিফ হোসেনকে ফুটবল থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আরও কয়েকজন ফুটবলারকেও দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা। বাফুফের শৃঙ্খলা কমিটির দেওয়া সেই শাস্তিই বহাল রেখেছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা।

বাফুফে সে সময়ই নিজেদের সিদ্ধান্ত ফিফাকে জানায়। সেই সঙ্গে আরামবাগের অপরাধী খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের বিশ্ব ফুটবল কার্যক্রম থেকেও নিষিদ্ধ করার আবেদন করে। ফিফা পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করে গতকাল নিজেদের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বাফুফের সিদ্ধান্তটি বহাল রাখে।

ফিফা আরামবাগের সাবেক ফিজিও ভারতীয় নাগরিক সঞ্জয় বোস ও সাবেক গেম অ্যানালিস্ট আজিজুল শেখকে ফুটবল–সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম থেকে আগামী ১০ বছর নিষিদ্ধ করেছে। এ ছাড়া আরামবাগের সাবেক ফুটবলার আপেল মাহমুদ, আবুল কাশেম, আল আমিন, মোহাম্মদ রকি, জাহিদ হোসেন, কাজী রাহাদ মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান, ওমর ফারুক, রাকিবুল ইসলাম, মেহেদি হাসান ও মিরাজ মোল্লাকে এক বছরের জন্য বিশ্ব ফুটবলে নিষিদ্ধ করেছে।

সাদাকালো জার্সির আরামবাগ এখন প্রথম বিভাগের দল

আরামবাগের বিদেশি ফুটবলার নাইজেরিয়ান ক্রিস্টোফার সিজোবা নিষিদ্ধ হয়েছেন দুই বছরের জন্য। এ ছাড়া ক্লাবটির সাবেক ফুটবলার শামীম রেজা, অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার ব্রাডি স্মিথকে তিন বছরের জন্য ফিফা সব ধরনের ফুটবলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আজীবন নিষেধাজ্ঞার শাস্তিও বহাল আছে সংশ্লিষ্টদের ব্যাপারে।

গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমিত হয়ে পেশাদার ফুটবলের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে নেমে যায় আরামবাগ। কিন্তু ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তি হিসেবে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগেও খেলতে পারবে না তারা। সেই হিসেবে প্রথম বিভাগে তাদের খেলতে হবে দুই বছর। ওই সময় ক্লাবটি ওপরের বিভাগে উত্তীর্ণ হলেও সেটি কার্যকর হবে না। তবে অবনমিত হলে দ্বিতীয় বিভাগে তারা নেমে যাবে। ফিফা অবশ্য ঘরোয়া ফুটবলে তাদের খেলার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।