Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলাদেশের ফুটবলে কোচিং করিয়ে ৫০ লাখ!

সাইফুল বারি টিটু বাংলাদেশের ফুটবলে একজন দামী কোচ। ফাইল ছবি
>
  • দেশের ক্লাবগুলো এখন কোচদের ভালোই পারিশ্রমিক দিচ্ছে।
  • এই অঙ্কটা ইতিমধ্যেই ৪০ লাখ ছুঁয়েছে।
  • সামনের মৌসুমে অঙ্কটা ৫০ লাখ হয়ে যাবে।
  • দেশীয় কোচদের জন্য এটা দারুণ এক খবর।

বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলে কোচ হওয়াটা একসময় ছিল আর্থিকভাবে সবচেয়ে অনিরাপদ চাকরি। গড়পড়তা অনেক খেলোয়াড়ের চেয়েও কোচের অর্থমূল্য ছিল অনেকটাই কম। চাকরিও ছিল অনিশ্চিত—এই আছে তো এই নেই। এমন অবস্থা ছিল ১০ বছর আগেও। সেই দৃশ্যটা বদলে গেছে হালে। বড় ক্লাবের কোচ হয়েই এখন মৌসুমে পাওয়া যায় মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক। নিয়োগ কিংবা ছাঁটাই প্রক্রিয়াতেও এসেছে পেশাদারি। বাজারে জোর গুঞ্জন শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের কোচ হিসেবে এই মৌসুমে নাকি ৫০ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন জাতীয় দলের সাবেক তারকা সাইফুল বারি টিটু।
বেশ কয়েক বছর ধরে ভালো দল গঠন করলেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাচ্ছে না শেখ রাসেল। তাই নতুন মৌসুমে কোচ বদল করেছে তারা। শফিকুল ইসলাম মানিকের জায়গায় নেওয়া হয়েছে টিটুকে। শেখ রাসেলের কোচ হওয়ার কথা নিজেই জানালেন, ‘মৌখিকভাবে কথাবার্তা চূড়ান্ত। শেখ রাসেলের হয়ে আগামী মৌসুমে ডাগ আউটে থাকব—এটা নিশ্চিত।’
টাকার অঙ্কটা সরাসরি না বললেও আগের চেয়ে বেশিই পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। শেষ মৌসুমে চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে পেয়েছিলেন ৪০ লাখ টাকা। বিশ্বস্ত সূত্রের মতে, নতুন মৌসুমে টাকার অঙ্কটা ৫০ লাখ ছুঁয়ে যাবে।
বর্তমানে টিটু আবাহনী লিমিটেডের কোচ হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করছেন। এএফসি কাপ উপলক্ষে গত মাসেই যোগ দিয়েছেন আবাহনীতে। আগামী মে মাসে চুক্তি শেষ হলে শেখ রাসেলের হয়ে নতুন মৌসুমের জন্য মাঠে নামবেন। এর আগে মোহামেডান, শেখ জামাল ও আরামবাগের দায়িত্ব পালন করেছিলেন দেশের অন্যতম সেরা এ কোচ। জাতীয় দলের কোচের দায়িত্বেও ছিলেন বিভিন্ন সময়।
আশির দশকে ধানমন্ডি ক্লাব (বর্তমানের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব) দিয়ে ঢাকার ফুটবলে জায়গা শক্ত করে নিয়েছিলেন টিটু। পরে ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে যোগ দেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে। মোহামেডানে খেলেছেন একটানা ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত। জাতীয় দলেও এ সময়ের মধ্যেই জায়গা করে নেন। দেশের জার্সি গায়ে খেলেছেন ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত। ১৯৯৪ সালে যোগ দেন ‘বিদ্রোহী’ মুক্তিযোদ্ধায়। সেখানে খেলেন বেশ কয়েক বছর। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে মোহামেডানে ফিরেছিলেন। ২০০১ সালে খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় বলেন তিনি।
২০০৫ সালে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন মোহামেডানের সহকারী কোচ হিসেবে। ২০০৭ সালে প্রথম জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেন। এএফসি ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ টিটু সাবেক ফুটবলারদের কোচিং পেশায় আসার দারুণ এক উদাহরণই।