Thank you for trying Sticky AMP!!

নির্বাচনী ইশতেহারে সালাউদ্দিন এবার বাস্তববাদী

‘বিশ্বকাপ’ নয়, সালাউদ্দিনের নতুন লক্ষ্য ‘১৫০’

২০২২ বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। ২০১২ সালের নভেম্বরে সে কথা বলার পর পেরিয়ে গেছে ৮ বছর। ২০২২ সন্নিকটে। বিশ্বকাপ দূরে থাক এশিয়ান কাপের চূড়ান্তপর্বও বাংলাদেশের কাছে অনেক দূরের ব্যাপার। লক্ষ্যের কথা বলে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা না করা, উদ্যোগ না নেওয়ার অভিযোগে এখন অভিযুক্ত বাফুফে সভাপতি।

কাতার বিশ্বকাপকে লক্ষ্য বানানোর সময় সালাউদ্দিন দ্বিতীয় মেয়াদে ছিলেন বাফুফের মসনদে। এরপর ২০১৬ সালে তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচন করে সে মেয়াদও শেষ করেছেন। চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচন করার আগে এবার আর সালাউদ্দিনের মুখে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নের কথা শোনা গেল না। এবার নিজের পা বাস্তবের জমিনেই রেখেছেন তিনি। বলেছেন, চতুর্থ মেয়াদ শেষে তিনি বাংলাদেশকে ফিফার তালিকায় ১৫০তম স্থানের নিচে রাখতে চান।

আপাতত তাঁর লক্ষ্য বাংলাদেশকে ১৫০ তম স্থানে নিয়ে যাওয়া

বাফুফের সভাপতি হিসেবে ১২ বছর অতিক্রান্ত করেছেন সালাউদ্দিন। এই এক যুগে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, অনেক কিছুকে লক্ষ্য বানিয়েছেন। কিন্তু সে সব প্রতিশ্রুতির খুব কমই বাস্তবায়ন করতে দেখা গেছে। আগামী ৩ অক্টোবরের বাফুফে নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ ৩৬ দফার ইশতেহার ঘোষণা করেছেন সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ। ১৮৭ তম স্থানে থাকা বাংলাদেশকে আপাতত ১৫০-এর নিচে নামিয়ে আনাকেই সালাউদ্দিন মনে করছেন বড় লক্ষ্যই। তাঁর সময়ই যে ফিফার তালিকায় ১৯৭-এ নেমে গিয়েছিল বাংলাদেশ।

সালাউদ্দিনকে আজ মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে খেলার সেই লক্ষ্যের কথা। তিনি অবশ্য আজ বলেছেন, সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার কথা তিনি কখনোই বলেননি। তিনি বলেছিলেন একটা লক্ষ্য স্থির করার কথা, ‘এখানে একটা কনফিউশন আছে। আমি বলেছি, আমরা বিশ্বকাপ খেলার চেষ্টা করব। একটা টার্গেট নিয়ে নামতে হবে তো। আমি যদি মক্কায় যেতে চাই, তাহলে মক্কার রাস্তাতেই হাঁটতে হবে। আমরা কাজ শুরু করেছি বাস্তবিকভাবে।’

বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে সালাউদ্দিনের সম্মিলিত পরিষদ নির্বাচনী ইশতেহারে বলছে র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির কথা, ‘আগামী অক্টোবর ২০২৪ এর মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের উন্নতির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। যাতে করে ফিফায় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলকে ১৫০ এর নিচে নিয়ে যাওয়া যায়।’