Thank you for trying Sticky AMP!!

ব্যালন ডি'অর জেতার উপায় মেসি-রোনালদোকে খুন করা!

মেসি-রোনালদো থাকতে ব্যালন ডি`অর জেতার আশা করেন না বালোতেল্লি। ফাইল ছবি

প্রথমে শুনলে চমকে যেতে জয় বৈকি। কী বলে, খেলাধুলোর মধ্যে খুনোখুনি! তা–ও আবার বিশ্বের সেরা দুই ফুটবলারকে! তবে একটু ভাবলেই বোঝা যায়, কথাটা যে বলেছে তাতে কৌতুক থাকলেও মিশে আছে এই সময়ের সবচেয়ে বড় সত্যগুলোর একটি। ব্যালন ডি’অর জিততে চাইলে যে মেসি-রোনালদোকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিকল্প নেই!

দলগত খেলা ফুটবলে এই একটা ব্যক্তিগত ট্রফির জন্য মুখিয়ে থাকেন ফুটবলাররা। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের হাতে যে ওঠে এই ট্রফি। তবে পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে ট্রফিটার সংজ্ঞা দিতে হবে এভাবে : ব্যালন ডি’অর এমন এক ট্রফি, যেটা মেসি বা রোনালদো জেতেন। ২০০৮ সালের পর থেকে যে এই দুজনের বাইরে কেউ জেতেননি। এবারও নামটা মেসি বা রোনালদোরই কেউ হবে, তা–ও মোটামুটি নিশ্চিত। যদি না চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল বা কনফেডারেশনস কাপে বিশেষ কিছু ঘটে।
এই দুজনের আধিপত্যও বাকি ফুটবলাররা এমনভাবে মেনে নিয়েছেন, কেউ মনের ভেতরে পুরস্কারটা জেতার স্বপ্ন দেখলেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমে বলেন না। তবে মারিও বালোতেল্লি ছিলেন ব্যতিক্রম। একসময় বেশ ঘোষণার সুরে বলেছিলেন, আমি ব্যালন ডি’অর জিতব।
তা কী অবস্থা এখন তাঁর? ফ্রান্সের ক্লাব নিসেতে গিয়ে অনেকটা শান্ত-সুবোধ হওয়া ইতালিয়ান এই ফরোয়ার্ড এখন বলছেন, ‌‌‘এটা জিতলে হলে আমাকে ওই দুজনকে মেরে ফেলতে হবে।’ কৌতুক করে বলা কথাটার পরের অংশটা অবশ্য সরল উপলব্ধি, ‘এখন পর্যন্ত ক্যারিয়ারের শুরু থেকে যা কিছু করেছি, তা যথেষ্ট নয়। আমাকে আরও বেশি কিছু করে দেখাতে হবে।’
প্রতিশ্রুতিশীল কিন্তু খ্যাপাটে—শুরু থেকে এই পরিচয়েই পরিচিত হয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। এবার অবশ্য ফরাসি লিগে বেশ ভালো করেছেন। ২২ ম্যাচে ১৫ গোল। লিগে এক মৌসুমে এর বেশি গোল আগে কখনো করেননি। প্রতিভার অপচয় আর করবেন না বলেই হয়তো ঠিক করেছেন। মাঝেমধ্যেই তাঁর মধ্যে যে ঝলক দেখা গেছে, সেটির ধারাবাহিকতা ফিরিয়ে আনলে, কে জানে একদিন ব্যালন ডি’অরও হয়তো জিতবেন। ২৬ বছর বয়স, এর আর এমন কী!