Thank you for trying Sticky AMP!!

ব্রাজিলের অপেক্ষার অবসান হলো

>
এক যুগ পর কোপা আমেরিকার শিরোপা উদ্‌যাপন করছে ব্রাজিল। ছবি: এএফপি

কোপা আমেরিকার ফাইনালে পেরুর বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় পেয়েছে ব্রাজিল। ব্রাজিলের হয়ে একটি করে গোল করেছেন এভারটন, গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও রিকার্লিসন। পেনাল্টি থেকে পেরুর একমাত্র গোলটি করেন গুরেরো।

পরিসংখ্যান থেকে শুরু করে দুই দলের শক্তিমত্তা—সবকিছুতেই পেরুর চেয়ে কয়েক কদম এগিয়ে ব্রাজিল। অন্তত এই কোপা আমেরিকায় তো বটেই! এর আগে যে চারবার (১৯১৯, ১৯২২, ১৯৪৯ ও ১৯৮৯) নিজেদের মাটিতে কোপা আমেরিকা আয়োজন করেছিল ব্রাজিল, প্রতিবারই শিরোপাটা নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকেরা। এবার নয় কেন? আজকের ফাইনালেও ব্রাজিলই ছিল ফেবারিট। পুরো ম্যাচে তিতের শিষ্যরা খেলেছেনও ফেবারিটের মতো করেই। রক্ষণ-মাঝমাঠ-আক্রমণ প্রতিটি বিভাগেই ব্রাজিলের খেলোয়াড়েরা সুরে বাঁধা ছিলেন। ফলাফলটাও গেছে সেলেসাওদের পক্ষে। প্রথমার্ধেই প্রতিপক্ষের জালে ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া ব্রাজিল শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।


২০০৭ সালে শেষবার কোপা আমেরিকার শিরোপা ছুঁয়ে দেখেছিল ব্রাজিল। এরপর বিশ্বজুড়ে বদলেছে অনেক কিছুই। কিন্তু ব্রাজিলের আর কোপার শিরোপা জেতা হয়নি। ২০১৬ সালে এই পেরুর কাছে হেরেই তো কোপার গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল দুঙ্গার ব্রাজিল। এবার সেই পেরুকে হারিয়েই শিরোপা জয়ের উদ্‌যাপনটা করল তিতের ব্রাজিল। এবারের শিরোপা জয়টা ব্রাজিলের জন্য আরও একটা কারণে মনে রাখার মতো। কারণ, এবার যে ব্রাজিলের জন্য ‘অভিশপ্ত’ মারাকানাজোতেই শিরোপা জয়ের উল্লাসটা করলেন জেসুস-আলভেজরা।

এবারের কোপা আমেরিকার সেরা খেলোয়াড় হন আলভেজ। ছবি: এএফপি

ম্যাচের ১৫ মিনিটেই এভারটনের গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ডি বক্সের বাইরে থেকে জেসুসের লম্বা করে বাড়ানো বলে পা ছুঁয়ে জালে জড়ান এভারটন। ম্যাচের প্রথম সুযোগটিই কাজে লাগিয়ে আক্রমণ চালিয়ে যায় ব্রাজিল। বল দখলেও এগিয়ে থাকে জেসুসরা। ২৫তম মিনিটে এভারটনের বাড়ানো বলে শট নেন কুতিনহো। অল্পের জন্য রক্ষা পায় পেরু। ম্যাচের ৩০ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখা জেসুস প্রথমার্ধের যোগ হওয়া সময়ে ব্যবধান বাড়ান। জেসুসের গোলের আগে অবশ্য পেনাল্টি শটে সমতায় ফিরেছিল অতিথিরা। ডি বক্সের মধ্যে পড়ে গিয়ে বল হাতে লাগান ব্রাজিলের থিয়াগো সিলভা। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পরে ভিএআরের সাহায্যে নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। নিখুঁত স্পট কিকে বল জালে জড়ান গুরেরো। সমতায় ফিরে খানিকটা উজ্জীবিত হয় পেরু। কিন্তু পেরুর উল্লাস বেশিক্ষণ রাখতে দিলেন না জেসুস।

এক যুগ পর কোপা আমেরিকার শিরোপা উদ্‌যাপন করছে ব্রাজিল। ছবি: এএফপি

৭০তম মিনিটে পেরুর ডিফেন্ডারকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জেসুস। ১০ জনের ব্রাজিলকে পেয়েও কিছু করতে পারেনি পেরু। উল্টো ব্রাজিলের একের পর এক আক্রমণ সামলাতেই ব্যস্ত থাকতে হয় তাদের। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ মুহূর্তে পেরুর কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন রিকার্লিসন। পেরুর ডি বক্সে এভারটন ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। যোগ হওয়া সময়ে সফল স্পট কিক নেন ফিরমিনোর বদলি হিসেবে নামা রিকার্লিসন (৩-১)।